ডেভ মোহাম্মদ
ডেভ মোহাম্মদ (ইংরেজি: Dave Mohammed; জন্ম: ৮ অক্টোবর, ১৯৭৯) ত্রিনিদাদের প্রিন্সেস স্ট্রিট এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০১০-এর দশকে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।[১][২][৩]
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ডেভ মোহাম্মদ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | প্রিন্সেস স্ট্রিট, ত্রিনিদাদ, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো | ৮ অক্টোবর ১৯৭৯|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | টেডপোল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | স্লো লেফট-আর্ম রিস্ট-স্পিন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২৫৪) | ২ জানুয়ারি ২০০৪ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৯ নভেম্বর ২০০৬ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১৩১) | ১০ মে ২০০৬ বনাম জিম্বাবুয়ে | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২৪ আগস্ট ২০০৮ বনাম কানাডা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০১ - ২০১১ | ত্রিনিদাদ ও টোবাগো | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, অ্যান্টিগুয়া হকসবিলস, স্ট্যানফোর্ড সুপারস্টার্স দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ স্লো লেফট-আর্ম রিস্ট-স্পিন বোলিং করতেন। এছাড়াও, বামহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন ‘টেডপোল’ ডাকনামে পরিচিত ডেভ মোহাম্মদ।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
সম্পাদনা২০০০-০১ মৌসুম থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ডেভ মোহাম্মদের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। পরিবারের দশ সন্তানের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ ছিলেন তিনি। নিখুঁত আকারে আক্রমণধর্মী চায়নাম্যান বোলিংয়ে অভ্যস্ত ছিলেন ও আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতেন। প্রথম-শ্রেণীর খেলার ধরনে খুব কমই ধ্বংসাত্মক প্রভাব ফেলেন। তাসত্ত্বেও, ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন।
ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর পক্ষে মাত্র তিনটি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলায় অংশগ্রহণের পরপরই ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে খেলার জন্যে আমন্ত্রিত হন। ২০০৬ সালের ঘরোয়া ক্রিকেটে দূর্দান্ত খেলা উপহার দেন।
২০০৯ সালে ভারতের বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়ন্স লীগ টি২০ প্রতিযোগিতায় ত্রিনিদাদ ও টোবাগো দলের সদস্যরূপে সমারসেটের বিপক্ষে খেলেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সম্পাদনাসমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে পাঁচটিমাত্র টেস্ট ও সাতটিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন ডেভ মোহাম্মদ। ২ জানুয়ারি, ২০০৪ তারিখে কেপ টাউনে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১৯ নভেম্বর, ২০০৬ তারিখে মুলতানে স্বাগতিক পাকিস্তান দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
মার্চ, ২০০১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্ট খেলার জন্যে তাকে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তবে, জানুয়ারি, ২০০৪ সালের পূর্ব-পর্যন্ত তার টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়নি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক হয়।
অভিষেট টেস্টের প্রথম ইনিংসে তিন উইকেট লাভ করেন। তন্মধ্যে, সাত বলের ব্যবধানে দুই উইকেট লাভে সক্ষমতা দেখান। কিন্তু, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলিংয়ের দূর্বলতার কারণে স্বাগতিক দলের বিপক্ষে পুরো সিরিজেই নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। একই বছরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিজস্ব দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন।
ইংল্যান্ডের মুখোমুখি
সম্পাদনাইংল্যান্ডের বিপক্ষে আরও একটি টেস্টে অংশ নেয়ার পর অপর স্পিনার ওমরি ব্যাঙ্কসের কাছে তার স্থানচ্যূতি ঘটে। এরপর, ২০০৬ সালের পূর্ব-পর্যন্ত তাকে দলের বাইরে রাখা হয়। ঘরোয়া ক্রিকেটে সুন্দর ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ ওয়েস্ট ইন্ডিজের একদিনের দলে তাকে ফিরিয়ে আনা হয়। এরপর, ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে তাকে খেলানো হয়। সিরিজের চূড়ান্ত ওডিআইয়ে দলের জয়ে ভূমিকা রাখেন।
ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে সাধারণমানের বোলিং করেন। তবে, সেন্ট জোন্সে পাল্টা আক্রমণ খেলা উপহার দিয়ে ৫২ রানের নিজস্ব প্রথম ও একমাত্র অর্ধ-শতরানের ইনিংস খেলে নাটকীয়ভাবে ড্রয়ের পথে নিয়ে যেতে বাধ্য করেন। অ্যান্টিগুয়া রিক্রিয়েশন গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত সিরিজের প্রথম টেস্টে অর্ধ-শতরানের অসাধারণ ইনিংস খেলে এক উইকেট বাদে খেলাটি ড্রয়ে পরিণত করেন। পরবর্তীতে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে খেলেন। এখানেও তিনি নিচেরসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে কার্যকরী ভূমিকা পালন করেন।
দুই বছর আন্তর্জাতিক খেলা থেকে দূরে থাকার পর আগস্ট, ২০০৮ সালে কানাডায় অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজে অংশ নেয়ার উদ্দেশ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের একদিনের দলে খেলার জন্যে তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে উপেক্ষিত হলেও স্ট্যানফোর্ড সুপারস্টার্স দলের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড দলকে পরাজিত করেন।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ List of West Indies Test Cricketers
- ↑ "West Indies – Test Batting Averages"। ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০।
- ↑ "West Indies – Test Bowling Averages"। ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০।
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে ডেভ মোহাম্মদ (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে ডেভ মোহাম্মদ (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)