১৯৮৮ যুব ক্রিকেট বিশ্বকাপ
১৯৮৮ ম্যাকডোনাল্ড'স দ্বিশতবার্ষিকী যুব ক্রিকেট বিশ্বকাপ হল আন্তর্জাতিক অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট প্রতিযোগিতা, যা অস্ট্রেলিয়াতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই প্রতিযোগিতাটি অস্ট্রেলীয় দ্বিশতবার্ষিকী উদযাপনের একটি অংশ ছিল। এটিকে অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের প্রথম আসর রূপে গণ্য করা হয়।
তারিখ | ২৮ ফেব্রুয়ারি – ১৩ মার্চ ১৯৮৮ |
---|---|
তত্ত্বাবধায়ক | আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল |
ক্রিকেটের ধরন | অনূর্ধ্ব-১৯ ওডিআই (৫০-ওভার) |
প্রতিযোগিতার ধরন | রাউন্ড-রবিন ও নক-আউট |
আয়োজক | অস্ট্রেলিয়া |
বিজয়ী | অস্ট্রেলিয়া (১ম শিরোপা) |
রানার-আপ | পাকিস্তান |
অংশগ্রহণকারী দলসংখ্যা | ৮ |
খেলার সংখ্যা | ৩১ |
সর্বাধিক রান সংগ্রহকারী | ব্রেট উইলিয়ামস (৪৭১) |
সর্বাধিক উইকেটধারী | ওয়েন হোল্ডসওয়ার্থ মুশতাক আহমেদ (প্রত্যেকে ১৯) |
প্রতিযোগিতাটিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কনফারেন্সের প্রথা মেনে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট বোর্ড একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে ফরম্যাট হিসেবে ঘোষণা করে।[১]
১৭৮৮ সালে ক্যাপ্টেন আর্থার ফিলিপের ১১টি জাহাজ নিয়ে সিডনি হার্বারে প্রত্যাবর্তনের ২০০ বছর উদ্যাপন উপলক্ষে ১৯৮৮ সালে "ম্যাকডোনাল্ড'স বাইসেন্টিনিয়াল ইয়ুথ ওয়ার্ল্ড কাপ" অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ৭টি টেস্ট ক্রিকেটভূক্ত দেশসহ আইসিসি'র সহযোগী সদস্য একাদশ দলসমূহ রাউন্ড-রবিন পদ্ধতিতে খেলায় অংশ নেয়। অস্ট্রেলিয়া পাকিস্তানকে চূড়ান্ত খেলায় পরাভূত করেছিল।[২]
এ প্রতিযোগিতায় উল্লেখযোগ্যসংখ্যক খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করেছিলেন যারা পরবর্তীকালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলোয়াড় হিসেবে আবির্ভূত হন। তারা হলেন - ইংল্যান্ডের অধিনায়ক নাসের হুসেন এবং মাইকেল অ্যাথারটন, ভারতের স্পিনার ভেঙ্কটাপতি রাজু, নিউজিল্যান্ডের অল-রাউন্ডার ক্রিস কেয়ার্নস, পাকিস্তানের মুশতাক আহমেদ এবং ইনজামাম-উল-হক, শ্রীলঙ্কার সনাথ জয়াসুরিয়া এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্রায়ান লারা, রিডলি জ্যাকবস ও জিমি এডামস।[৩]
৫২.৩৩ রান গড়ে ৪৭১ রান নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ব্রেট উইলিয়ামস সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী এবং ১৯ উইকেট নিয়ে ওয়েন হোল্ডসওয়ার্থ (অস্ট্রেলিয়া) ও মুশতাক আহমেদ যথাক্রমে ১২.৫২ ও ১৬.২১ রান দিয়ে সংগ্রহ করেন।[৪]
দল
সম্পাদনানিম্নলিখিত দলগুলি অংশগ্রহণ করে:
লিগ পর্ব
সম্পাদনাপয়েন্ট তালিকা
সম্পাদনাদল | খে | জ | হ | টা | ফহ | প | র.র |
---|---|---|---|---|---|---|---|
অস্ট্রেলিয়া | ৭ | ৬ | ১ | ০ | ০ | ১২ | ৪.৫৭৭ |
ওয়েস্ট ইন্ডিজ | ৭ | ৫ | ২ | ০ | ০ | ১০ | ৩.৭১১ |
পাকিস্তান | ৭ | ৫ | ২ | ০ | ০ | ১০ | ৩.৩৭১ |
ইংল্যান্ড | ৭ | ৪ | ৩ | ০ | ০ | ৮ | ৩.১৯৪ |
শ্রীলঙ্কা | ৭ | ৩ | ৪ | ০ | ০ | ৬ | ৩.৪৭৫ |
ভারত | ৭ | ৩ | ৪ | ০ | ০ | ৬ | ২.৯৫১ |
নিউজিল্যান্ড | ৭ | ২ | ৫ | ০ | ০ | ৪ | ৩.৫২৬ |
আইসিসি সহযোগী একাদশ | ৭ | ০ | ৭ | ০ | ০ | ০ | ২.৯৬৯ |
উৎস: ক্রিকেট আর্কাইভ |
- সেমি-ফাইনালে উত্তীর্ণ
ম্যাচসমূহ
সম্পাদনাপর্ব ১
সম্পাদনাপর্ব ২
সম্পাদনাপর্ব ৩
সম্পাদনাপর্ব ৪
সম্পাদনাপর্ব ৫
সম্পাদনাপর্ব ৬
সম্পাদনাপর্ব ৭
সম্পাদনানক-আউট পর্ব
সম্পাদনাসেমি-ফাইনাল
সম্পাদনাফাইনাল
সম্পাদনা ১৩ মার্চ
স্কোরকার্ড |
ব
|
||
ব্রেট উইলিয়ামস ১০৮ (১৩৪)
মুশতাক আহমেদ ২/৫৯ (১০ ওভার) |
- অস্ট্রেলিয়া টসে জয়ী হয় ও ফিল্ডিং-এর সিদ্ধান্ত নেয়।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ (13 December 2013). "1988: The First Step" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে – ICC. Retrieved 9 November 2015.
- ↑ "Under-19 World Cup in Australia, February–March 1988"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৪-০৫।
- ↑ "Australia 1998"। ICC। ২০০৭-০৪-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৪-০৫।
- ↑ "McDonald's Bicentennial Youth World Cup 1987/88"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৪-০৫।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]