১৯৮৩–৮৪ বুন্দেসলিগা
১৯৮৩–৮৪ বুন্দেসলিগা পশ্চিম জার্মানির পেশাদার ফুটবল লিগের শীর্ষ স্তর বুন্দেসলিগার ২১তম মৌসুম ছিল। এই মৌসুমটি ১৯৮৩ সালের ১২ই আগস্ট তারিখে শুরু হয়ে ১৯৮৪ সালের ২৬শে মে তারিখে সম্পন্ন হয়েছিল।[১][২] আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টের সুয়েডীয় মধ্যমাঠের খেলোয়াড় ইয়ান সভেনসন এই মৌসুমের প্রথম গোল করেছিলেন।[৩]
| মৌসুম | ১৯৮৩–৮৪ |
|---|---|
| তারিখ | ১২ আগস্ট ১৯৮৩ – ২৬ মে ১৯৮৪ |
| চ্যাম্পিয়ন | স্টুটগার্ট ১ম বুন্দেসলিগা শিরোপা ৩য় জার্মান শিরোপা |
| অবনমন | কিকার্স অফেনবাখ নুর্নবার্গ |
| ইউরোপীয় কাপ | স্টুটগার্ট |
| কাপ উইনার্স কাপ | বায়ার্ন মিউনিখ |
| উয়েফা কাপ | হামবুর্গার বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ ভেয়ার্ডার ব্রেমেন কলন |
| মোট খেলা | ৩০৬ |
| মোট গোলসংখ্যা | ১০৮৪ (ম্যাচ প্রতি ৩.৫৪টি) |
| শীর্ষ গোলদাতা |  কার্ল-হাইন্ৎস রুমেনিগে (২৬টি গোল) |
| সবচেয়ে বড় হোম জয় | বায়ার্ন মিউনিখ ৯–০ অফেনবাখ (১৩ মার্চ ১৯৮৪) |
| সবচেয়ে বড় অ্যাওয়ে জয় | নুর্নবার্গ ০–৬ স্টুটগার্ট (২৭ এপ্রিল ১৯৮৪) |
| সর্বোচ্চ স্কোরিং | উরডিঙ্গেন ৪–৬ কলন (১৯ মে ১৯৮৪) অফেনবাখ ৩–৭ ভেয়ার্ডার ব্রেমেন (১১ মে ১৯৮৪) |
← ১৯৮২–৮৩ ১৯৮৪–৮৫ → | |
হামবুর্গার বুন্দেসলিগার পূর্ববর্তী আসরের চ্যাম্পিয়ন, যারা ১৯৮২–৮৩ মৌসুমে ৫২ পয়েন্ট অর্জন করে এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে ৩য় বারের মতো শিরোপা জয়লাভ করেছিল।
এই মৌসুমে ৪৮ পয়েন্ট অর্জন করে স্টুটগার্ট ১ম বারের মতো বুন্দেসলিগা এবং ৩য় বারের মতো জার্মান শিরোপা জয়লাভ করেছিল। বায়ার্ন মিউনিখের জার্মান আক্রমণভাগের খেলোয়াড় কার্ল-হাইন্ৎস রুমেনিগে ২৬ গোল করে এই মৌসুমের শীর্ষ গোলদাতার পুরস্কার জয়লাভ করেছিলেন।
প্রতিযোগিতার ধরনসম্পাদনা
প্রতিটি ক্লাব একে অপরের বিরুদ্ধে দুইটি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল; একটি নিজেদের মাঠে এবং অপরটি প্রতিপক্ষ দলের মাঠে। ক্লাবগুলো প্রতিটি জয়ের জন্য দুই পয়েন্ট এবং ড্রয়ের জন্য এক পয়েন্ট করে অর্জন করেছিল। যদি দুই বা ততোধিক ক্লাব সমান পয়েন্ট অর্জন করে থাকে, তবে গোল পার্থক্যের মাধ্যমে পয়েন্ট তালিকায় তাদের অবস্থান নির্ধারণ করা হয়েছিল। সর্বাধিক পয়েন্ট অর্জনকারী ক্লাবটি চ্যাম্পিয়ন হিসেবে শিরোপা জয়লাভ করেছিল এবং সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জনকারী দুইটি ক্লাব ২. বুন্দেসলিগায় অবনমিত হয়েছিল। পয়েন্ট তালিকায় তৃতীয় সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জনকারী ক্লাবটি ২. বুন্দেসলিগায় তৃতীয় স্থান অধিকারী ক্লাবের বিরুদ্ধে দুই লেগের অবনমন/উন্নয়ন প্লে-অফে অংশগ্রহণ করেছিল, যেখানে বিজয়ী ক্লাব পরবর্তী মৌসুমে বুন্দেসলিগায় অংশগ্রহণের জন্য উত্তীর্ণ হয়েছিল।
দলসম্পাদনা
১৯৮২–৮৩ মৌসুম শেষে কার্লস্রুহার এবং হের্টা মৌসুমে সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জন করে পয়েন্ট তালিকার সর্বনিম্ন অবস্থানে থাকা দুই ক্লাব হিসেবে বুন্দেসলিগা হতে সরাসরি অবনমিত হয়েছিল। অন্যদিকে, তাদের বদলে ভাল্ডহফ মানহাইম এবং কিকার্স অফেনবাখ বুন্দেসলিগায় উন্নীত হয়েছিল। পয়েন্ট তালিকায় তৃতীয় সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জনকারী ক্লাব হিসেবে শালকে ২. বুন্দেসলিগায় তৃতীয় স্থান অধিকারী ক্লাব বায়ার ০৫ উরডিঙ্গেনের বিরুদ্ধে দুই লেগের অবনমন/উন্নয়ন প্লে-অফে অংশগ্রহণ করেছিল, যেখানে জয়লাভ করে বায়ার ০৫ উরডিঙ্গেন বুন্দেসলিগার এই মৌসুমে অংশগ্রহণের জন্য উত্তীর্ণ হয়েছিল। পূর্ববর্তী মৌসুমের মতো এই মৌসুমেও ১৮টি ক্লাব প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল।
পয়েন্ট তালিকাসম্পাদনা
| অব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | যোগ্যতা অর্জন বা অবনমন |
|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
| ১ | স্টুটগার্ট (C) | ৩৪ | ১৯ | ১০ | ৫ | ৭৯ | ৩৩ | +৪৬ | ৪৮ | ইউরোপীয় কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ |
| ২ | হামবুর্গার | ৩৪ | ২১ | ৬ | ৭ | ৭৫ | ৩৬ | +৩৯ | ৪৮ | উয়েফা কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ[ক] |
| ৩ | বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | ৩৪ | ২১ | ৬ | ৭ | ৮১ | ৪৮ | +৩৩ | ৪৮ | |
| ৪ | বায়ার্ন মিউনিখ | ৩৪ | ২০ | ৭ | ৭ | ৮৪ | ৪১ | +৪৩ | ৪৭ | কাপ উইনার্স কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ |
| ৫ | ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | ৩৪ | ১৯ | ৭ | ৮ | ৭৯ | ৪৬ | +৩৩ | ৪৫ | উয়েফা কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ[ক] |
| ৬ | কলন | ৩৪ | ১৬ | ৬ | ১২ | ৭০ | ৫৭ | +১৩ | ৩৮ | |
| ৭ | বায়ার লেভারকুজেন | ৩৪ | ১৩ | ৮ | ১৩ | ৫০ | ৫০ | ০ | ৩৪ | |
| ৮ | আরমিনিয়া বিলেফেল্ড | ৩৪ | ১২ | ৯ | ১৩ | ৪০ | ৪৯ | −৯ | ৩৩ | |
| ৯ | আইন্ট্রাখট ব্রাউনশভাইগ | ৩৪ | ১৩ | ৬ | ১৫ | ৫৪ | ৬৯ | −১৫ | ৩২ | |
| ১০ | বায়ার ০৫ উরডিঙ্গেন | ৩৪ | ১২ | ৭ | ১৫ | ৬৬ | ৭৯ | −১৩ | ৩১ | |
| ১১ | ভাল্ডহফ মানহাইম | ৩৪ | ১০ | ১১ | ১৩ | ৪৫ | ৫৮ | −১৩ | ৩১ | |
| ১২ | কাইজারস্লাউটার্ন | ৩৪ | ১২ | ৬ | ১৬ | ৬৮ | ৬৯ | −১ | ৩০ | |
| ১৩ | বরুসিয়া ডর্টমুন্ড | ৩৪ | ১১ | ৮ | ১৫ | ৫৪ | ৬৫ | −১১ | ৩০ | |
| ১৪ | ফর্টুনা ডুসেলডর্ফ | ৩৪ | ১১ | ৭ | ১৬ | ৬৩ | ৭৫ | −১২ | ২৯ | |
| ১৫ | বোখুম | ৩৪ | ১০ | ৮ | ১৬ | ৫৮ | ৭০ | −১২ | ২৮ | |
| ১৬ | আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট | ৩৪ | ৭ | ১৩ | ১৪ | ৪৫ | ৬১ | −১৬ | ২৭ | অবনমন প্লে-অফে উত্তীর্ণ |
| ১৭ | কিকার্স অফেনবাখ (R) | ৩৪ | ৭ | ৫ | ২২ | ৪৮ | ১০৬ | −৫৮ | ১৯ | ২. বুন্দেসলিগায় অবনমিত |
| ১৮ | নুর্নবার্গ (R) | ৩৪ | ৬ | ২ | ২৬ | ৩৮ | ৮৫ | −৪৭ | ১৪ |
শ্রেণীবিভাগের নিয়মাবলী: ১) পয়েন্ট; ২) গোল পার্থক্য; ৩) স্বপক্ষে গোল।
(C) চ্যাম্পিয়ন; (R) অবনমিত।
টীকা:
- ↑ ক খ বায়ার্ন মিউনিখ কাপ উইনার্স কাপের জন্য উত্তীর্ণ হওয়ায় উয়েফা কাপে তাদের বরাদ্দকৃত স্থানটি কলনকে প্রদান করা হয়েছিল।
ফলাফলসম্পাদনা
শীর্ষ গোলদাতাসম্পাদনা
| অবস্থান | খেলোয়াড় | ক্লাব | গোল |
|---|---|---|---|
| ১ | কার্ল-হাইন্ৎস রুমেনিগে |
বায়ার্ন মিউনিখ | ২৬ |
| ২ | ক্লাউস আলোফস |
কলন | ২০ |
| ৩ | ফ্রাঙ্ক মিল |
বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | ১৯ |
| ৪ | ক্রিস্টিয়ান শ্রাইয়ার |
বোখুম | ১৮ |
| ৫ | রুডি ফোলার |
ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | |
| ৬ | পিয়ের লিটবারস্কি |
কলন | ১৭ |
| ৭ | ফ্রিৎস ভাল্টার |
ভাল্ডহফ মানহাইম | ১৬ |
| ৮ | ফ্রিডহেম ফুনকেল |
বায়ার ০৫ উরডিঙ্গেন | ১৫ |
| ৯ | ডিটার শাৎসশ্নাইডার |
হামবুর্গার | |
| ১০ | হারবার্ট ভাস |
বায়ার লেভারকুজেন |
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ "Schedule Round 1"। DFB। ৮ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "Archive 1983/1984 Round 34"। DFB। ৮ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "Eintracht Frankfurt - Borussia Dortmund 2:2 (Bundesliga 1983/1984, 1. Round)"। worldfootball.net। ৭ মার্চ ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০২২।
- ↑ ক খ Grüne, Hardy (২০০১)। Enzyklopädie des deutschen Ligafußballs, Band 7: Vereinslexikon (জার্মান ভাষায়)। Kassel: AGON Sportverlag। আইএসবিএন 3-89784-147-9।
বহিঃসংযোগসম্পাদনা
- ডিএফবি আর্কাইভে ১৯৮৩–৮৪ বুন্দেসলিগা (জার্মান)