হ্যাল বিমানবন্দর
এইচএএল বিমানবন্দর বা হ্যাল বিমানবন্দর (আইসিএও: ভিওবিজি), ভারতের কর্ণাটক, রাজ্যের ব্যাঙ্গালোরে অবস্থিত একটি বিমানবন্দর। এটি হিন্দুস্তান বিমানবন্দর নামেও পরিচিত। শহরের কেন্দ্রস্থলে তার অবস্থানের কারণে এটি সাধারণ এবং ব্যবসায়িক বিমানের জন্য পছন্দের স্থান। বিমানবন্দরটি হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড এবং ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী দ্বারা একটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার স্থান হিসাবে ব্যবহৃত হয়। এটি ২৪ মে ২০০৮ সালে পর্যন্ত বেঙ্গালুরু শহরের জন্য অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে কাজ করেছে। পরে বিমানবন্দরটি দেবনাহাল্লীতে নির্মিত নতুন কেম্পেগৌড়া আন্তৰ্জাতিক বিমানবন্দর দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়। বর্তমানে বিমানবন্দরটি থেকে বাণিজ্যিক উড়ান পরিষেবা পুনঃসূচনা করার জন্য বারবার চেষ্টা করা হয়েছে।
হ্যাল বিমানবন্দর | |||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
সংক্ষিপ্ত বিবরণ | |||||||||||
বিমানবন্দরের ধরন | বেসামরিক / সামরিক | ||||||||||
পরিচালক | |||||||||||
অবস্থান | বেঙ্গালুরু, কর্ণাটক, ভারতী | ||||||||||
এএমএসএল উচ্চতা | ২,৯১২ ফুট / ৮৮৮ মিটার | ||||||||||
স্থানাঙ্ক | ১২°৫৭′০″ উত্তর ৭৭°৪০′৬″ পূর্ব / ১২.৯৫০০০° উত্তর ৭৭.৬৬৮৩৩° পূর্ব | ||||||||||
মানচিত্র | |||||||||||
রানওয়ে | |||||||||||
|
ইতিহাস
সম্পাদনাবিমানবন্দরটি ১৯৪০ সালে হিন্দুস্থান এয়ারক্রাফট কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা (বর্তমানে হিন্দুস্তান এয়ারোনটিক্স লিমিটেড), ওয়ালচাঁদ হিরাচাঁদ কর্তৃক নির্মিত হয়েছিল, একটি বিমান বা উড়োজাহাজ উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে। দুই বছর পর, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের আক্রমণ থেকে ভারতকে রক্ষার জন্য রয়্যাল এয়ার ফোর্স কর্তৃক বিমানবন্দরটি ব্যবহারের জন্য ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিয়েছিল। [১][২]
১৯৬৪ সালে বিমানবন্দরটি নতুন প্রতিষ্ঠিত হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড দ্বারা অধিগ্রহণ করা হয়। [৩][৪] শুধুমাত্র অন্তর্দেশীয় বাণিজ্যিক উড়ানগুলি, প্রাথমিকভাবে, ১৯৮০ সালে শুরু হয়। [৩]
হ্যাল বিমানবন্দর থেকে প্রথম আন্তর্জাতিক উড়ান পরিচালনা ১৯৯৭ সালে শুরু হয়েছিল। [৫] ২০০১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে, লুফথানসা, ফ্রাঙ্কফুর্ট এবং বেঙ্গালুরুর মধ্যে উড়ান শুরু করে, যা বিমানবন্দরের সঙ্গে ইউরোপের প্রথম ননস্টপ সংযোগ হিসাবে চিহ্নিত করে। [৬] ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ এবং এয়ার ফ্রান্স অক্টোবর ২০০৫ সালে বিমানবন্দরটি থেকে যথাক্রমে লন্ডন এবং প্যারিসের মধ্যে উড়ান চালু করে। [৭][৮]
বেসামরিক উড়ান স্থানান্তর
সম্পাদনা২০০০-এর দশকে, হ্যাল বিমানবন্দরের বাণিজ্যিক যাত্রী পরিবহন প্রতি বছর প্রায় ৩৫% হারে বৃদ্ধি পেয়েছিল। ২০০৬ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত বিমানবন্দরটি ৮.২ মিলিয়ন যাত্রী পরিবহন করেছে, যা তার যাত্রী পরিবহন ক্ষমতা ৩.৬ মিলিয়নেরও থেকে অনেক বেশি। [৯]
এই কারণে, জুলাই ২০০৪ সালে ভারত সরকার বেঙ্গালুরু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর লিমিটেড (বিআইএএল, বিমানবন্দর পরিচালনাকারী সংস্থা) সাথে একটি অংশিদারিথ্ব চুক্তি পর বেঙ্গালুরুতে আরেকটি বিমানবন্দর নির্মাণের অনুমোদন দেয়। নতুন বিমানবন্দরটি শহরের ৩০ কিলোমিটার (১৯ মাইল) মধ্যে নির্মানের পরিকল্পনা করা হয়। [১০][১১] ২৮ মে ২০০৮ সালে কেম্পেগৌড়া আন্তৰ্জাতিক বিমানবন্দর (কেআইএবি) নামে নতুন বিমানবন্দরটি চালু হয়। ১৫০ কিলোমিটার (৯৩ মাইল) ব্যাসার্ধের মধ্যে কোনও বাণিজ্যিক বিমানবন্দর থাকবে না বলে সরকারের প্রতি অনুরোধ করা হয়েছে এবং সব যাত্রীবাহী উড়ান হ্যাল বিমানবন্দরের থেকে নতুন বিমানবন্দরে স্থানান্তর করা হয়েছে।
সু্যোগ - সুবিধা
সম্পাদনাহ্যাল বিমানবন্দরটির একটি রানওয়ে রয়েছে। রানওয়েটি ০৯/২৭ ভিত্তিতে ৩,৩০৭ মিটার (১০,৮৫০ ফুট) দীর্ঘ। ই২ (প্রিমিয়াম) এবং ই১ নামের পূর্ব দিকে ২ টি ট্যাক্সিওয়, একইভাবে পশ্চিম দিকে ডব্লিউ১ (ঘের) এবং ডব্লিউ২ নামে ২ টি ট্যাক্সিওয় সহ মোট ৪ টি প্রবেশ/প্রস্থান ট্যাক্সিওয়ে রয়েছে। উপরন্তু, বিমানবন্দরে ছয়টি অ্যাপ্রন আছে।
বন্ধ কাঠামো
সম্পাদনাযাত্রীবাহী টার্মিনাল বিমানবন্দর উত্তর দিকে অবস্থিত ছিল। বিমানবন্দরে দুটি জেটওয়ে'সহ অন্তর্দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক উড়ানের জন্য পৃথক বিভাগ রয়েছে। যাত্রীবাহী উড়ানের বৃদ্ধি সত্ত্বেও, টার্মিনালটি প্রসারিত করার জন্য কোনও জায়গা ছিল না এবং টার্মিনালের সামনের বিমান দাড়ানোর স্থানটি কেবল ছয়টি উড়োজাহাজকে ধারণ করতে পারে। [১২]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "HAL airport wears desert look after BIA launch"। Oneindia। ২৪ মে ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ৪ অক্টোবর ২০১৫।
- ↑ "Our History"। Hindustan Aeronautics Limited। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ অক্টোবর ২০১৫।
- ↑ ক খ "Airport Services Centre Bangalore: Brief History"। Hindustan Aeronautics Limited। ৮ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ অক্টোবর ২০১৫।
- ↑ Mukherjee, Andy (২ জুন ২০০৮)। "New Bangalore airport is a dream going sour"। livemint.com। সংগ্রহের তারিখ ৪ অক্টোবর ২০১৫।
- ↑ Hollis, Leo (2013). Cities are Good for You: The Genius of the Metropolis. London: Bloomsbury Publishing. p. 109.
- ↑ Lufthansa services from Bangalore. The Hindu. 3 September 2001. Archived from the original on 6 November 2004. Retrieved 3 October 2015.
- ↑ "Explore our past: 2000 - 2009"। British Airways। সংগ্রহের তারিখ ৪ অক্টোবর ২০১৫।
- ↑ AIR FRANCE CONTINUES TO EXPAND SERVICES TO INDIA WITH A NEW ROUTE TO BANGALORE, ITS FIFTH DESTINATION IN INDIA, LAUNCHED ON 30 OCTOBER 2005. Air France. 14 December 2005. Archived from the original on 6 January 2011. Retrieved 3 October 2015.
- ↑ "Passenger traffic grows 35% at Bangalore airport"। The Hindu Business Line। ২৯ ডিসেম্বর ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ৪ অক্টোবর ২০১৫।
- ↑ "Pact for Bangalore airport signed"। The Economic Times। ৫ জুলাই ২০০৪। ৫ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ অক্টোবর ২০১৫।
- ↑ David, Stephen (২৯ জুলাই ২০০৪)। "On the runway: Bangalore International Airport to be India's first private sector-led project"। India Today। সংগ্রহের তারিখ ৪ অক্টোবর ২০১৫।
- ↑ "Hard times ahead for city airport authorities". The Hindu. 31 October 2005. Retrieved 9 March 2016.