হাশেমিয়া কামিল মাদ্রাসা কক্সবাজার
হাশেমিয়া কামিল মাদ্রাসা কক্সবাজার বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার সদর উপজেলার একটি আলিয়া মাদ্রাসা।[১] মাদ্রাসাটি ১৯৫২ সালে মুজহের আহমদ রেক্টর হুজুর মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন।[২] মাদ্রাসাটি বর্তমানে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কামিল মাদ্রাসা এবং মাদ্রাসার দাখিল ও আলিম স্তর বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের আওতাধীন পরিচালিত হয়ে থাকে। মাদ্রাসার ইনস্টিটিউট কোড EIIN নাম্বার ১০৬২৯৪ এবং এমপিও নম্বর ৩০২০২২৪০২।[৩] মাদ্রাসাটিকে মাঝে মাঝে উম্মুল মাদারিস বা মাদ্রাসাসমূহের মা বলে উল্লেখ করা হয়। এটি কক্সবাজার জেলার প্রথম কামিল মাদ্রাসা। মাদ্রাসার বর্তমান অধ্যক্ষের নাম রহমত সালাম।[৪]
ধরন | এমপিও ভুক্ত |
---|---|
স্থাপিত | ১ জানুয়ারি ১৯৫২ |
প্রতিষ্ঠাতা | মুজহের আহমদ রেক্টর হুজুর |
প্রাতিষ্ঠানিক অধিভুক্তি | ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া (২০০৬- ২০১৬) ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় (২০১৬- বর্তমান) |
অধ্যক্ষ | রহমত সালাম |
মাধ্যমিক অন্তর্ভুক্তি | বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড |
শিক্ষার্থী | আনু. ১০০০ |
ঠিকানা | রঘুনাথপুর, রমালিরচর রোড , , , |
শিক্ষাঙ্গন | শহুরে |
EIIN সংখ্যা | ১০৬২৯৪ |
ক্রীড়া | ক্রিকেট, ফুটবল, ভলিবল, ব্যাটমিন্টন |
এমপিও সংখ্যা | ৩০২০২২৪০২ |
ওয়েবসাইট | https://106294.ebmeb.gov.bd/ |
ইতিহাস
সম্পাদনাকক্সবাজার অঞ্চলে ইসলামি আধুনিক শিক্ষার বিস্তার ঘটাতে এই মাদ্রাসাটি চালু করা হয়, তৎকালীন সময়ে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠায় জমি ও অর্থ দিয়ে সাহায্য করেছিলেন কলিমুল্লাহ কন্ট্রাক্টর।[৫] ২০২১ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগে "ইসলামী শিক্ষা বিস্তারে কক্সবাজার হাশেমিয়া কামিল মাদ্রাসার ভূমিকা" শিরোনামে একটি এমফিল গবেষণা করা হয়, সেখানে দেখানো হয় মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠার পরে কক্সবাজার জেলায় ইসলামি শিক্ষার অবদান ঘটাতে সক্ষম হয়েছে।
২০০৬ সালের পূর্বে বাংলাদেশের আলিয়া মাদ্রাসার পরীক্ষা বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড নিয়ন্ত্রণ করত। তবে ২০০৬ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংশোধনী আইন, ২০০৬ অনুযায়ী সারাদেশের ফাযিল (স্নাতক ডিগ্রি) ও কামিল (স্নাতকোত্তর) মাদ্রাসা কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত লাভ করে।[৬] তখন এই মাদ্রাসাটিও ইবি অধিভুক্তি লাভ করে। এরপর ২০১৬ সালে মাদ্রাসাটি ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তরিত করা হয়।[৭]
শিক্ষা কার্যক্রম
সম্পাদনা১৯৫২ সালে মাদ্রাসার শিক্ষা কার্যক্রম একটি ইবতেদায়ী শাখা দিয়ে শুরু হলেও দ্রুতই মাদ্রাসাটি পূর্ব পাকিস্তান সরকারের অনুমোদন লাভ করে। এরপরে কার্যক্রম বৃদ্ধি পেলে দাখিল স্তরের লাভ করে। এবং ধীরে ধীরে মাদ্রাসাটি আলিম ও ফাজিল শ্রেণীর অনুমোদন লাভ করে। এই মাদ্রাসায় ফাজিল ও কামিল শ্রেণীতে আল কুরআন, আল হাদিস ও আল ফিকহ বিভাগে পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে। মাদ্রাসার দাখিল ও আলিম শ্রেণীতে মানবিক ও বিজ্ঞান উভয় শাখা চালু রয়েছে। মাদ্রাসাটির ফলাফল প্রায়ই কক্সবাজার জেলার শীর্ষস্থানে দেখা যায়।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Kubi, Sham (২০২৩-০১-১৭)। "কক্সবাজার হাশেমিয়া কামিল মাদ্রাসার সবক প্রদান অনুষ্ঠান সম্পন্ন"। পানকৌড়ি নিউজ - Pankouri News। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-২৯।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "বিদায়ী স্মরণিকা"। মাদ্রাসার প্রকাশনা বিভাগ। কক্সবাজার হাসেমিয়া কামিল মাদ্রাসা। ২য় অধ্যায়। ১৯৯৪।
- ↑ "Cox's Bazar Hashemia Kamil Masters Madrasha,cox's Bazar - Sohopathi | সহপাঠী" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৭-০২। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-১৭।
- ↑ "হাশেমিয়া কামিল মাদ্রাসার নতুন অধ্যক্ষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রহমত সালাম"। www.bd-bulletin.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-২৯।
- ↑ "আলোর ঝলক হাশেমিয়া মাদরাসা"। ctn24.com। ২০১৬-০৩-২৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-১৭।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "আলিয়া মাদরাসার উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ"। lekhapora24.net। ২০২১-০৮-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১৭।
- ↑ "মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়নে প্রত্যাশা"। SAMAKAL (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০৬-১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-১০।