হায়দর গাজী
হায়দর গাজী (আরবি: حيدر غازی) ছিলেন সোনারগাঁও ও লখনৌতির সুলতানিয়ার অধীনে শ্রীহট্টের দ্বিতীয় উজির।[১] এর আগে তিনি শাহ জালাল এর সাথে ১৩০৩ সালে শ্রীহট্ট বিজয়তে অংশ নিয়েছিলেন।[২]
হায়দার গাজী | |
---|---|
শ্রীহট্টের উজির | |
সার্বভৌম শাসক | ফখরুদ্দীন মুবারক শাহ |
পূর্বসূরী | সিকান্দর খান গাজী |
উত্তরসূরী | অজানা |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
মৃত্যু | সোনারগাঁও |
পটভূমি
সম্পাদনাইয়েমেনের হজরমউত দিকে শাহ জালালের অভিযানের সময় শাহ জালালের সাথে হায়দররের দেখা হয় এবং হায়দর তার যাত্রায় তার সাথে যোগ দিয়েছিলেন।[৩] তবে মধ্যপ্রাচ্যে হায়দার ঠিক কোথায় ছিলেন তা জানা যায়নি। তার আসল নাম নিয়ে কিছুটা বিতর্ক রয়েছে। সৈয়দ মুর্তাজা আলী বলেন যে তাঁর নাম ছিল সাঈদী আল-হোসেনী,[৪] অন্যান্য সূত্রগুলিতে সাঈদ আল-হোসেনী[১] এবং সাঈদ আল-হাসানী কথা উল্লেখ করা হয়েছে।[৫]
পেশা
সম্পাদনাশাহ জালালকে সুলতান শামসুদ্দিন ফিরোজ শাহ কর্তৃক রাজা গৌড় গোবিন্দের বিরুদ্ধে শ্রীহট্ট বিজয় লাভের জন্য ডেকে আনা হওয়ার পরে হায়দর ও অন্যান্য সঙ্গীরা তাঁর সাথে যোগ দিয়েছিলেন।[৩]
শ্রীহট্টের উজির সিকান্দর খান গাজীর ওফাতের বাদে শ্রীহট্ট সরদারীহীন হয়ে পড়ে। শাহ জালাল তখন হায়দর গাজীকে শ্রীহট্টের উপরে কাজ করার জন্য দ্বিতীয় উজির নিযুক্ত করেছিলেন। হায়দরের শাসনকাজ কতকাল ছিল তা অজানা তবে ইতিহাসবিদরা অনুমান করেন যে শাহ জালালের ওফাতের কিছু বাদে ১৩৪৬ সালে পর্যন্ত তিনি উজীরী করেছেন। শ্রীহট্টের পরবর্তী পরিচিত উজির ছিলেন ১৪৪০ সালে মুকাবিল খান।
শ্রীহট্টে তাঁর উজীরীর বাদে, হায়দর সোনারগাঁও চলে আসেন যেখানে তিনি তাঁর সারা জীবন কাটিয়েছিলেন।[৬] তাঁর মাজারটি সোনারগাঁয়ে (ঢাকা বিভাগে) রয়ে গেছে।[৪][৭]
আওলাদ
সম্পাদনাহায়দর গাজীর বংশধর শেখ আলী শের বাঙ্গালী একটি বই লিখেছিলেন (আরবি: شرح نزهة الأرواح, প্রতিবর্ণীকৃত: শরহে নুজহতুল আরোয়াহ) যার মাঝে শ্রীহট্ট বিজয়ের প্রথম লিখিত ইতিহাস পাওয়া যায়।[৬][৮][৯][১০][১১]
রাজনৈতিক দপ্তর | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী সিকান্দর খান গাজী |
১৪শ শতাব্দীর শ্রীহাতের উজির |
উত্তরসূরী অজানা |
উজির
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ Khandaker, Haroonur Rasheed (২৩ জানু ২০১৪)। প্রাচীন জৈন্তিয়ারাজ্যে ইসলামের প্রসার। Jamia Madania, Bishwanath: Weekly Sonar Bangla।
- ↑ "List of Shah Jalal's 360 Companions"। Mazaar। ১০ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মে ২০২১।
- ↑ ক খ Choudhury, Achyut Charan (১৯১০)। Srihattar Itibritta: Purbangsho শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত - পূর্বাংশ। Calcutta: Mustafa Selim – উইকিসংকলন-এর মাধ্যমে।
- ↑ ক খ Ali, Syed Murtaza (১৯৬৫)। হজরত শাহ জালাল ও সিলেটের ইতিহাস [Hazrat Shah Jalal and the History of Sylhet]। Dhaka: University Press।
- ↑ Siddeeqi, K S (১১ আগস্ট ২০১৭)। হজরত শাহ জালাল (রহ.) সম্পর্কে তথ্য বিভ্রাট। Daily Inqilab।
- ↑ ক খ Hanif, N (২০০০)। "Jalal, Shaikh (d.1357 A.D.)"। Biographical Encyclopaedia of Sufis: South Asia। Sarup & Sons। পৃষ্ঠা 165–167।
- ↑ Khan, Mohammad Akram (১৯৫৬)। Muslim Banglar Samajik Itihas। পৃষ্ঠা 66।
- ↑ আবদুল করিম (২০১২)। "শাহ জালাল (রঃ)"। ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন 9843205901। ওএল 30677644M। ওসিএলসি 883871743।
- ↑ Ali (1965, p. 17)
- ↑ Ali (1965, p. 62)
- ↑ Muhammad Mojlum Khan (২১ অক্টোবর ২০১৩)। "Shah Jalal"। The Muslim Heritage of Bengal: The Lives, Thoughts and Achievements of Great Muslim Scholars, Writers and Reformers of Bangladesh and West Bengal। Kube Publishing। পৃষ্ঠা 23।