সিকান্দর খান গাজী

সিকান্দর খান গাজী (আরবি: سکندر خان غازی) ছিলেন সোনারগাঁও ও লখনৌতির সুলতানিয়ার অধীনে সিলেটের প্রথম উজির[] এর আগে তিনি শাহ জালাল এর সাথে ১৩০৩ সালে শ্রীহট্টর বিজয়তে অংশ নিয়েছিলেন।[] প্রাথমিকভাবে ফার্সী পান্ডুলিপি এবং শাহ জালাল সম্পর্কিত শিলালিপিতে সিকান্দর খান গাজীর নামও যুদ্ধের সেনাপতি হিসাবে তুলে ধরেছিল।[]

সিকান্দর
১৩০৩-?
শ্রীহট্টর উজির
সার্বভৌম শাসকশামসুদ্দিন ফিরোজ শাহ
পূর্বসূরীরাজা গৌড় গোবিন্দ
উত্তরসূরীহায়দর গাজী
ব্যক্তিগত বিবরণ
মৃত্যু১৩৪৬ এর পূর্বে
সুরমা নদী

পটভূমি

সম্পাদনা

সিকান্দর খান গাজীর মামা ছিলেন লখনৌতির সুলতান শামসুদ্দিন ফিরোজ শাহ[] তিনি তুরুক-ফার্সী ঐতিহ্য অনুসরণ করতেন এবং বরাবর বাংলায় প্রবেশ করেছিলেন।

মৃত্যু

সম্পাদনা

সিকান্দর খান গাজী বদরপুরের সুরমা, বরাক এবং কুশিয়ারা নদীর সংযোগস্থলে মাছ ধরার জন্য সফর করার সময় নৌকায় ডুবে যান এবং তাঁর লাশ কখনও পাওয়া যায়নি।[] এ কারণে তাকে ইসলামে একজন শহীদ হিসাবে অখ্যা দেয়া হয়েছে।[] তার বাদে শাহ জালাল নিজে হায়দর গাজীর নিয়োগ করেছিলেন শ্রীহট্টের দ্বিতীয় উজির হিসাবে।[] এটি ধারণা করা হয় যে খানের মৃত্যু ১৩৪৬ সালের আগে হয়েছিল যা শাহ জালালের মৃত্যুর বছর ছিল।[] শাহ জালালের জীবনী, তারিক-ই-জালালির একটি কবিতা পাওয়া গেছে যাতে ঘটনার উল্লেখ রয়েছে।

পূর্বসূরী
গৌড় গোবিন্দ
সিলেটের উজির
১৩০৩
উত্তরসূরী
হায়দর গাজী

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Choudhury, Achyutcharan। "1"। Sreehatter Itibritta – Purbangsho (A History of Sylhet), Part 21। Mustafa Selim; Source publication, 2004। 
  2. আবদুল করিম (২০১২)। "শাহ জালাল (রঃ)"ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিআইএসবিএন 9843205901ওএল 30677644Mওসিএলসি 883871743 
  3. Hanif, N (২০০০)। Biographical Encyclopaedia of Sufis: South Asia । পৃষ্ঠা 170-171। 
  4. Bhattasali, Nalinikanta (১৩ অক্টো ২০১৮)। Coins and Chronology of the Early Independent Sultans of Bengal। Creative Media Partners। 
  5. Barbhuiya, Atiqur Rahman (২৭ জানু ২০২০)। Indigenous People of Barak Valley। Notion Press। 
  6. সহীহ বুখারী, ৪:৫২:৮২ (ইংরেজি)
  7. Syed Murtaza Ali (১৯৬৫)। Hazrat Shah Jalal O Sylheter itihas। University Press।