হরি নদী (আফগানিস্তান)

আফগানিস্তানের নদী

হরি বা হরী নদী (দারি : هری رود হরি যষ্টি; পশতু: د هري سیند) অথবা হেরাত নদী ১,১০০ কিলোমিটার (৬৮০ মা) দীর্ঘ ধরে প্রবাহিত হয়েছে। এটি আফগানিস্তানের একটি নদী, নদীটি মধ্য আফগানিস্তান থেকে তুর্কমেনিস্তানের পর্বতমালা থেকে উৎপত্তি হয়েছে। যেখানে এটি তেজেন্ড মরুদ্যান তৈরি করেছে এবং পরে নদীটি করাকুম মরুভূমিতে গিয়ে মিশে গেছে। ফার্সি ভাষাতে রড শব্দের অর্থ "নদী"।

হেরাতের নিকটবর্তী হরি নদী

তুর্কমেনিস্তানে এটি তেজেন বা টেডজেন নদী নামে পরিচিত এবং এটি টেডজেন শহরের নিকটবর্তী একটি নদী। প্রাচীন গ্রীকদের কাছে এই নদীটি আরিয়াস নামে পরিচিত ছিল।[১] লাতিন ভাষায় নদীটি টারিয়াস নামে বেশি পরিচিত ছিল।

নদীপথ সম্পাদনা

 
হরি জামের মিনার

হরি নদীটি হিন্দু কুশ ব্যবস্থার একটি অংশ বাবানা পর্বতমালা থেকে উৎপন্ন বা তৈরি হয়েছে। এবং উৎপত্তি হওয়ার পরে নদীটি পশ্চিমে অপেক্ষাকৃত সরল পথ অনুসরণ করে প্রবাহিত হয়েছে।

এখনও হেরাত থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার (১২০ মাইল) দূরে উজানের উপর দিয়ে এই নদীটি জামের মিনারের নিকটবর্তী স্থানে জাম নদীর সাথে মিলিত হয়েছে। জামের মিনার বিশ্বের দ্বিতীয় দীর্ঘতম মিনার, মিনারটি উচ্চতায় প্রায় ৬৫ মিটার (২১৩ ফুট) লম্বা।

পশ্চিম আফগানিস্তানে হরি রুদ হেরাতের দক্ষিণ দিক দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। হেরাতের আশেপাশের উপত্যকার জমিতে ঐতিহ্যগতভাবে বেশ উর্বরতা রয়েছে এবং কৃষি চাষাবাদের জন্য বেশ বিখ্যাত ছিল। হেরাতের পরে নদীটি হেরাতের উত্তর-পশ্চিমে এবং তারপর উত্তর দিক দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। নদীটি আফগানিস্তান ও ইরানের সীমান্তের নিকটে উত্তরের অংশ তৈরি করেছে। আরও উত্তরে এটি ইরান ও তুর্কমেনিস্তানের সীমান্তের কাছে নদীর দক্ষিণ-পূর্ব অংশ গঠন করেছে। হরি নদীর উপরে নির্মিত ইরান-তুর্কমেনিস্তান বন্ধুত্ব বা মৈত্রী বাঁধ আছে।[২]

আফগান-ভারত মৈত্রী বাঁধ (সালমা বাঁধ) পশ্চিম আফগানিস্তানের হেরত প্রদেশের চিশতী শরীফ জেলার হরি রডে অবস্থিত এবং এটি একটি জলবিদ্যুৎ এবং পানি সেচ বাঁধ প্রকল্প।

২০০০ সালে সংগঠিত ১০ মাসের খরার সময় এই নদীটি পুরোপুরি শুকিয়ে গিয়েছিল।[৩]

প্রাচীন সূত্র সম্পাদনা

ঋগ্বেদ নদী সরযূ নদীর সাথে সংযুক্ত আছে বলে মনে করা হয়।[৪] আবেস্তায় হোরায়ু নদীর কথাও বলা হয়েছে।[৫] বৌদ্ধ ধর্মের বিস্তারের সময় হেরেরুদ নদীর স্রোত উপেক্ষা করা প্রথম শতাব্দীতে একটি বৌদ্ধ বিহার ছিল। এখানের কৃত্রিম গুহাগুলো বৌদ্ধ ভিক্ষুদের দৈনন্দিন বসবাসের সাক্ষ্য প্রকাশ করে।[৬]

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

আরো দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. George Rawlinson (১৮৭৩)। The sixth great Oriental monarchy; or The geography, history, & antiquities of Parthia, collected and illustrated from ancient and modern sources। পৃষ্ঠা 69, 444(index)। 
  2. Shroder, John F. (২০১৬)। "Hari Rud – Murghab River Basin"। Transboundary Water Resources in Afghanistan: Climate Change and Land-Use Implications। Elsevier। পৃষ্ঠা 410–412। আইএসবিএন 978-0-12-801861-3 
  3. "Parvand News Jan 3, 2001"। নভেম্বর ৯, ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ৯, ২০১৯ 
  4. Early Aryans of India, 3100-1400 B.C. By S. B. Roy Page 76
  5. Legend of Ram: antiquity to janmabhumi debate By Sanujit Ghose.Page 77
  6. Lithuanian archeologists make discovery in Afghanistan, The Baltic Times, May 22, 2008; Archaeologists make new discoveries about ancient Afghan cultures, Top News, 23 May 2008.