হজরত মুহম্মদ (স.) জীবনচরিত ও ধর্মনীতি

হজরত মুহম্মদ (স.) জীবনচরিত ও ধর্মনীতি শেখ আবদুর রহিম কর্তৃক রচিত ইসলামের শেষ নবী মুহাম্মাদের জীবনীর উপর লেখা একটি উল্লেখযোগ্য নন-ফিকশন বই।[১] বইটি ১৮৮৮ সালে প্রথম প্রকাশিত হয় এবং প্রকাশের পরেই গ্রন্থ সমালোচক মন্তব্য করেছেন বইটি শেখ আবদুর রহিম শ্রেষ্ঠ কীর্তি ও বাংলা সাহিত্যের অন্যতম রচনা।[২] গ্রন্থটি বাঙালি মুসলমান রচিত হযরত মুহাম্মদের উপর প্রথম জীবনীগ্ৰন্থ।[৩] ২০১৮ সালে জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের উদ্যোগে বইটি আবিষ্কার পাবলিকেশন থেকে পুনরায় প্রকাশ করা হয়। আনিসুজ্জামান মূলত লেখক শেখ আবদুর রহিমের দৌহিত্র ছিলেন, তার পিতামহের বইটি সবার সামনে নিয়ে আসার জন্য তিনি নিজ উদ্যমী হয়ে বইটি পুনরায় প্রকাশের উদ্যোগি হোন।

হজরত মুহম্মদ (স.) জীবনচরিত ও ধর্মনীতি
হজরত মুহম্মদ (স.) জীবনচরিত ও ধর্মনীতি কভার
বইয়ের প্রচ্ছদ
লেখকশেখ আব্দুর রহিম
দেশবাংলাদেশ
ভাষাবাংলা
বিষয়সিরাত, মুহাম্মাদের জীবনী
ধরনঅ-কাল্পনিক বই
প্রকাশিত
  • ১৮৮৮ (প্রথম প্রকাশ)
  • আবিষ্কার পাবলিকেশন (২০১৮)
প্রকাশকআবিষ্কার পাবলিকেশন
মিডিয়া ধরনমুদ্রিত গ্রন্থ (শক্তমলাট)
পৃষ্ঠাসংখ্যা৬৭৯
আইএসবিএন৯৮৭৯৮৪৯২৯৮২৫০ {{ISBNT}} এ প্যারামিটার ত্রুটি: অবৈধ উপসর্গ
পরবর্তী বইইসলাম ইতিবৃত্ত (১৯১০) 

বিষয়বস্তু সম্পাদনা

লেখক বইটিতে শেষ নবী মুহাম্মাদের জিবনী সম্পর্কে নানা উপকরণ সংগ্রহ ও পরিবেশনের নৈপুণ্যে দেখিয়েছেন। ১৯৮৮ সালে বইটি ৪০৪ পেজে প্রকাশিত হয়েছিলো।[৪] বর্তমানে আবিষ্কার পাবলিকেশন থেকে প্রকাশিত বইটিতে সর্বমোট ৬৭৯ পৃষ্ঠা রয়েছে। বইয়ে মুহাম্মাদের ব্যক্তিজীবন ও ধর্মজীবন নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোকপাত করা হয়েছে। তিনি মূলত ১৯ শতাব্দীর প্রথমে বাঙালি মুসলমান সমাজে ইসলামি চেতনা জাগ্রত করার ইচ্ছায় মুহাম্মাদের জীবনীকে সামনে নিয়ে আসেন।

রচনাশৈলী সম্পাদনা

বইটি রচনায় লেখকের বস্তুনিষ্ঠ গবেষণা ও পরিশ্রমের স্বাক্ষর রয়েছে। বইটি রচনায় তিনি আরবি ও ফার্সি ভাষার গ্রন্থ, সৈয়দ আমির আলী, শাহ ওয়ালীউল্লাহ, শিবলী নোমানি, চেরাগ আলী, মাওলানা মুহাম্মাদ আলী, ওটি ডাব্লিউ প্রভৃতি ব্যক্তির রচনাবলীর সাহায্য নিয়েছেন। তিনি বিশেষ করে শিবলী নোমানীর সিরাতুন নবী গ্রন্থটির উপর নির্ভর করেছেন, এছাড়াও শিবলী নোমানীর আল-ফারুকআল-কালাম গ্রন্থ থেকেও অনেক বক্তব্য ও উদ্ধৃতি উল্লেখ করেছেন। তিনি মূলত ইসলামি আন্দোলনের ভাবধারা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে বইটি রচনা করেছিলেন। বইটিতে তিনি যুক্তিতর্ক দিয়ে ইউরোপীয় পণ্ডিতদের মতামত আলোচনা ও খণ্ডন করেছেন।[৫]

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "মহানবীর স. জীবনী রচনার হাজার বছর"রকমারি ব্লগ (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-১২-২৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-১৬ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. "শেখ আবদুর রহিমের 'হজরত মুহম্মদ স. জীবনচরিত ও ধর্মনীতি'"NTV Online (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০২-২৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-১৬ 
  3. "বাংলা ভাষায় মহানবী (সা.)-এর জীবনচরিত"www.kalerkantho.com। ২০১৬-০২-১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-১৬ 
  4. হক, মনযূরুল (২০২০-১১-১১)। "মহানবী (সা.)–এর জীবনী রচনার হাজার বছর"Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-১৬ 
  5. "হজরত মুহম্মদ স. জীবনচরিত ও ধর্মনীতি - শেখ আবদুর রহিম"www.rokomari.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-১৬