স্যামি গুইলেন
সিম্পসন ক্লেয়ারমন্ট স্যামি গুইলেন (ইংরেজি: Sammy Guillen; জন্ম: ২৪ সেপ্টেম্বর, ১৯২৪ - মৃত্যু: ১ মার্চ, ২০১৩) পোর্ট অব স্পেনে জন্মগ্রহণকারী ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ও নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলসহ নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৫১ থেকে ১৯৫৬ সময়কালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে তার দৃপ্ত পদচারণা ছিল।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | সিম্পসন ক্লেয়ারমন্ট গুইলেন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | পোর্ট অব স্পেন | ২৪ সেপ্টেম্বর ১৯২৪|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ১ মার্চ ২০১৩ ক্রাইস্টচার্চ, নিউজিল্যান্ড | (বয়স ৮৮)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | উইকেট-রক্ষক-ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | ভিক্টর গুইলেন (পিতা) নোয়েল গুইলেন (ভ্রাতা) জাস্টিন গুইলেন (নাতি) লোগান ফন বীক (নাতি) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৭৩/৭৮) | ২২ ডিসেম্বর ১৯৫১ ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৯ মার্চ ১৯৫৬ নিউজিল্যান্ড বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৪০ - ১৯৫০ | ত্রিনিদাদ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৫৩ - ১৯৬১ | ক্যান্টারবারি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ |
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ত্রিনিদাদ এবং নিউজিল্যান্ডীয় প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ক্যান্টারবারির প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে মূলতঃ উইকেট-রক্ষক ও ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন স্যামি গুইলেন।
টেস্ট ক্রিকেট
সম্পাদনা২২ ডিসেম্বর, ১৯৫১ তারিখে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক ঘটে। স্বল্প কয়েকজন ক্রিকেটারের অন্যতম হিসেবে একাধিক দলের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন স্যামি গুইলেন। ১৯৫০-এর দশকে সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে আট টেস্টে অংশগ্রহণের সৌভাগ্য হয় তার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে পাঁচটি ও নিউজিল্যান্ডের পক্ষে তিনটি টেস্টে খেলেছেন। তন্মধ্যে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অংশ নিয়ে নিউজিল্যান্ড দলের ইতিহাসের প্রথম বিজয়ে প্রভূতঃ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
অন্যান্য
সম্পাদনাক্রিকেট খেলার পাশাপাশি ফুটবলেও অংশ নিয়েছেন স্যামি গুইলেন। নিউজিল্যান্ডের প্রিমিয়ার ফুটবল প্রতিযোগিতা চাথাম কাপে খেলার সুযোগ পেয়েছেন। ১৯৫৪ সালের ঐ প্রতিযোগিতায় ওয়েস্টার্ন এএফসি দলের সদস্যরূপে রানার্স-আপ এনে দেন। ক্রিকেটে উইকেট-রক্ষকের দায়িত্ব পালন করায় দলটিতে তিনি গোলরক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন।
ব্যক্তিগত জীবন
সম্পাদনা২৪ সেপ্টেম্বর, ১৯২৪ তারিখে পোর্ট অব স্পেনে জন্মগ্রহণকারী গুইলেন এক ক্রিকেট পরিবার থেকে এসেছেন। পিতা ভিক্টর গুইলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে টেস্টে আম্পায়ারিত্ব করেছেন।[১] ভাই নোয়েল গুইলেন প্রথিতযশা ক্রিকেটার ছিলেন ও তার সম্মানে কুইন্স পার্ক ওভালের বহিরাংশের অনুশীলনী এলাকায় নামাঙ্কিত করা হয়।[২] এবং জাস্টিন ও লোগান ভন বিক নামীয় নাতিদ্বয় প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন। পুত্র জেফ্রি গুইলেন আবাসন প্রতিষ্ঠানের সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব। কিশোর অবস্থায় প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলতেন ও ত্রিশ বছর বয়সেও এ ধারা বহমান ছিল। সাবেক খেলোয়াড় চার্লস গুইলেন অল-রাউন্ডার ডোয়েন ব্র্যাভোকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর অল-রাউন্ডার ছিলেন জাস্টিন গুইলেন। নাতি লোগান ভন বিক ক্যান্টারবারি উইজার্ডসের পক্ষে ক্রিকেট[৩] ও ক্রাইস্টচার্চ কোগার্সের পক্ষে এনবিএলে বাস্কেটবল খেলেছেন। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নেদারল্যান্ডসের পক্ষে ক্রিকেটেও অংশ নিয়েছেন লোগান।
ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত স্যামি গুইলেন ক্যান্টারবারি মহিলা দলের সাবেক উইকেট-রক্ষক ভ্যাল গুইলেনের সাথে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন। ২০০৪ সালে আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘ক্যালিপ্সো কিউই’ শীর্ষক গ্রন্থ প্রকাশ করেন।[৪]
২৪ এপ্রিল, ২০১১ তারিখে কলিন স্নেডেনের মৃত্যুর ফলে স্যামি গুইলেন নিউজিল্যান্ডের বয়োজ্যষ্ঠ জীবিত টেস্ট ক্রিকেটারের মর্যাদা লাভ করতে থাকেন। এছাড়াও তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় বয়োজ্যষ্ঠ জীবিত টেস্ট ক্রিকেটার ছিলেন। ১ মার্চ, ২০১৩ তারিখে ৮৮ বছর বয়সে ক্রাইস্টচার্চে তার দেহাবসান ঘটে।[৫]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Victor Guillen at Cricket Archive
- ↑ Noel Guillen at Cricket Archive
- ↑ Logan van Beek at Cricket Archive
- ↑ " 'Calypso Kiwi' Sam Guillen" Retrieved 27 May 2013 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৫ মার্চ ২০১৪ তারিখে
- ↑ ESPNCricinfo Sammy Guillen dies aged 88
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে স্যামি গুইলেন (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে স্যামি গুইলেন (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)
- Obituary by Bryan Davis