স্মিতা রাজন (জন্ম: ১৯৬৯) তিনি কেরালার একজন মোহিনীয়াত্তম নৃত্য শিল্পী এবং কিংবদন্তি ভারতীয় ধ্রুপদী নৃত্যশিল্পী দম্পতি পদ্মশ্রী কালামান্দালাম কৃষ্ণন নায়ারকালামান্দালাম কল্যাণিকুট্টি আম্মার নাতনী। তাঁর মা শ্রীদেবী রাজন হলেন একজন প্রখ্যাত মোহিনীয়ত্তম গুরু এবং স্মিতার শিক্ষক। তাঁর বাবা ছিলেন প্রয়াত টি আর রাজাপ্পান।

স্মিতা রাজন
একটি মোহিনীয়ত্তম ভঙ্গিমায় স্মিতা রাজন
একটি মোহিনীয়ত্তম ভঙ্গিমায় স্মিতা রাজন
প্রাথমিক তথ্য
উদ্ভবকেরালা, ভারত
ধরনমোহিনীয়ত্তম, ভরতনাট্যম, কথাকলি, কুচিপুড়ি
ওয়েবসাইটhttp://www.smitharajan.com/

পরিলেখ সম্পাদনা

স্মিতা রাজন কোচির বাইরে ত্রিপুনিথুরায় তাঁর মাতামহের বাসায় নাচের প্রশিক্ষণ শুরু করেছিলেন। নাচ এবং সংগীতের নিখুঁত পরিবেশে বড় হয়ে ওঠা তরুণ স্মিতার জন্য, নাচ শেখা এমন একটি বিষয়, যা মাতৃভাষায় কথা বলতে শেখার মতোই স্বাভাবিক ছিল। স্মিতার খালা, কলা বিজয়ন (মোহিনীঅট্টমের সংগীত নাটক আকাদেমি পুরস্কার প্রাপ্ত) প্রথম ব্যক্তি যিনি তরুণ স্মিতার প্রতিভা খেয়াল করেন। ত্রিপুনিথুরায় তাঁর পিতামহের প্রতিষ্ঠান, কেরালা কালালিয়ামে মাস্টার ক্লাস চলাকালীন, তাঁর চাচী বরিষ্ঠ শিক্ষার্থীদের সাথে ছোট্ট স্মিতাকে একটি পূর্ণ চোলকেট্টু (একটি সাধারণ মোহিনীয়াত্তামের প্রথম মুদ্রা) সম্পাদন করতে দেখেন। তখন থেকেই গুরু কলা বিজয়ন তাঁকে ভারতনাট্যমে প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেন এবং স্মিতা তাঁর ৪ বছর বয়সে ভারতনাট্যমে আরঙ্গেত্রম করেছিলেন। তাঁর মা, গুরু শ্রীদেবী রাজন, স্মিতাকে মোহিনীয়ত্তমে প্রথম পাঠ শিখিয়েছিলেন এবং স্মিতা তাঁর বয়স ৬ বছর বয়সে মোহিনীয়ত্তমে আরঙ্গেত্রম করেছিলেন। পরে তিনি তাঁর কিংবদন্তি নানীর কাছ থেকে মোহিনীয়ত্তমে স্নাতকোত্তর করেছিলেন। তাঁর নানা, গুরু কালামান্দালাম কৃষ্ণন নায়ারের কাছ থেকে তিনি কথাকলি শিখেছিলেন এবং তিনি তাঁকে মুখজাভিনয়ের (মুখের ভাব) সূক্ষ্ম ভাবগুলি শেখান। [১] অধ্যাপক কল্যাণসুন্দরমের অধীনে ক্লাসিকাল কর্ণাটকী সংগীতের প্রশিক্ষণও পেয়েছেন স্মিতা। তিনি ১৯৮৩ সাল থেকে, মাত্র ১৪ বছর বয়সে, তাঁর মূল প্রতিষ্ঠান কেরালা কলালয়মে শিক্ষকতা শুরু করেছিলেন যা ১৯৯০ সাল পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।

তিনি ১২ বছর বয়সে পেশাদার নৃত্যশিল্পী হয়েছিলেন এবং ১৯৮০ সালে মোহিনীয়ত্তমকে জনপ্রিয় করার জন্য তাঁর দাদীমা, তাঁর মা এবং তাঁর খালার সাথে ভারত এবং বিদেশ জুড়ে বহু জায়গায় গিয়েছেন। তিনি ১৯৭৯ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত কেরালার কলালয়মের শীর্ষ নৃত্যবিদ ছিলেন। তিনি তাঁর মা, ঠাকুরমা এবং তাঁর খালাকে আজকের বেশ কয়েকজন নৃত্যশিল্পীদের মোহিনীয়ত্তম শেখানোর ক্ষেত্রে সহায়তা করেছেন। বলা হয়, মোহিনীয়াত্তমে তিনি তাঁর দাদীর শিক্ষার সম্পূর্ণ অংশ পেয়েছেন। তাঁর গুরু কালামান্দালাম কল্যাণিকুট্টি আম্মার কালামান্দালাম মোহিনীয়াত্তম শৈলীর যে শিক্ষাকে উন্নত ও জনপ্রিয় করেছেন, তিনি তার প্রধান ধারক এবং নৃত্যশিল্পী হিসাবে বিবেচিত।। [২] আজ, স্মিতা তাঁর পরিবার সহ যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরির সেন্ট লুইসে বাস করেন এবং তাঁর প্রতিষ্ঠান 'নৃত্যক্ষেত্র' অর্থাৎ "নৃত্যের মন্দির" [৩] পরিচালনা করছেন। এই নৃত্য মন্দির প্রতিষ্ঠানটি গুরু শ্রীদেবী রাজনের প্রতিষ্ঠান, যেটি তিনি কোচিতে শুরু করেছিলেন তার একটি শাখা, যা আবার এর অভিভাবক প্রতিষ্ঠান কেরালা কলালয়মের সহায়তায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। [৪]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Interview: A Journey in Mohiniyattam"। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জানু ২০০৪ 
  2. "The Hindu: Penchant For Abhinaya"। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জানু ২০০৯ 
  3. "New York Times: To Become Another Being"। সংগ্রহের তারিখ ১৪ আগস্ট ২০১৪ 
  4. "Official Site of Smitha Rajan"। ১৮ আগস্ট ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মে ২০১০