সৈয়দ মমতাজ আলী
সৈয়দ মমতাজ আলি দেওবন্দী (২ সেপ্টেম্বর ১৮৬০ - ১৫ জুন ১৯৩৫) একজন ভারতীয় সুন্নি মুসলিম পণ্ডিত। তিনি দারুল উলুম দেওবন্দের প্রাক্তন ছাত্র ছিলেন। তিনি তার স্ত্রীর সাথে শুরু মুহাম্মাদি বেগম নারী অধিকার কাজ অগ্রগামীর করা বলা যেতে পারে।[১]
মাওলানা সৈয়দ মমতাজ আলি | |
---|---|
উপাধি | শামস আল-উলামা |
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | ২৭ সেপ্টেম্বর ১৮৬০ দেওবন্দ, ব্রিটিশ ভারত |
মৃত্যু | ১৫ জুন ১৯৩৫ লাহোর, ব্রিটিশ ভারত | (বয়স ৭৪)
ধর্ম | ইসলাম |
দাম্পত্য সঙ্গী | মুহাম্মাদি বেগম |
সন্তান | ইমতিয়াজ আলি তাজ |
আখ্যা | সুন্নি ইসলাম |
আন্দোলন | দেওবন্দি |
উল্লেখযোগ্য কাজ | তেহজিব-ই-নিসওয়ান, হক-ই-নিসওয়ান, তাজকিরাতুলানবিইয়া, তাফসিল আল-বায়ান ফি মসজিদ আল কুরআন (৬টি খণ্ড) |
যেখানের শিক্ষার্থী | দারুল উলুম দেওবন্দ |
শিক্ষক | মুহাম্মদ ইয়াকুব নানুতুবি ও মুহাম্মদ কাসেম নানুতুবি |
আত্মীয় | নাইম তাহির (নাতি), ফারান তাহির (নাতির-সন্তান) |
জীবনী
সম্পাদনাসৈয়দ মমতাজ আলি ১৯৬০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর দেওবন্দে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।[২] তিনি মাহমুদ হাসান দেওবন্দির সহকর্মী এবং সমসাময়িক ছিলেন এবং মুহাম্মদ ইয়াকুব নানুতুবি ও মুহাম্মদ কাসেম নানুতুবির নিকট দারুল উলুম দেওবন্দে পড়াশোনা করেছিলেন।[৩]
দেওবন্দ মাদ্রাসা থেকে স্নাতক শেষ করার পরে মমতাজ আলি লাহোরে চলে যান এবং একটি প্রকাশনা সংস্থা "দারুল ইসহাত" প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৯৮ সালের ১ জুলাই তিনি স্ত্রী মুহাম্মদি বেগমের সম্পাদনায় তাহজিব-ই-নিসওয়ান একটি সাময়িকী প্রকাশ করেন।[৪] এই সাময়িকীটি পরে ১৯৪৯ সালে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ১৯৯৮ সালে, তিনি লাহোরে "রিফাহ-এ-আম প্রেস" নামে একটি প্রকাশনা শুরু করেন যা লাহোরের প্রথম প্রেসে বলা হয় যার মালিক ছিলেন একজন মুসলিম।[৫] ১৯০৫ সালে তিনি একটি সাময়িকী, মুশর-ই-মাদার (মাতা উপদেষ্টা) , এবং ১৯০৯ সালে শিশুদের সাময়িকী ফুল প্রকাশের মাধ্যমে[২] উর্দু ভাষায় শিশুদের সাহিত্যের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
মমতাজ আলি ১৯৩৪ সালে ব্রিটিশ ভারত সরকার দ্বারা "শামস-উল-উলামা" উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন। [৪] [৫]
মমতাজ আলি ১৯৩৫ সালের ১৫ জুন লাহোরে মারা যান।[২]
সাহিত্যিক কাজ
সম্পাদনা- হুকূক-ই-নিসওয়ান
- তাজকিরাতুলানবিইয়া
- তাফসিল আল-বায়ান ফি মসজিদ আল কুরআন (৬টি খণ্ড)
- নকশ বো ঊঠে[৬]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Moaddel, Mansoor (১৯৯৮)। "Religion and Women: Islamic Modernism versus Fundamentalism": 116। জেস্টোর 1388032। ডিওআই:10.2307/1388032।
- ↑ ক খ গ Asir Adrawi। Tazkirah Mashāhīr-e-Hind: Karwān-e-Rafta (Urdu ভাষায়) (2nd, April 2016 সংস্করণ)। Darul Moallifeen। পৃষ্ঠা 246।
- ↑ Sarkar, Sumit; Sarkar, Tanika (২০০৮)। Women and Social Reform in Modern India: A Reader। আইএসবিএন 9780253352699। সংগ্রহের তারিখ ২০ আগস্ট ২০২০।
- ↑ ক খ Nayab Hasan Qasmi। "Mawlana Sayyid Mumtaz Ali Deobandi"। Darul Uloom Deoband Ka Sahafati ManzarNama। Idara Tehqeeq-e-Islami, Deoband। পৃষ্ঠা 147–151।
- ↑ ক খ Tahir Kamran (৮ জুলাই ২০১৮)। "Re-imagining of Muslim Women - II"। thenews.com.pk। The News International। সংগ্রহের তারিখ ২০ আগস্ট ২০২০।
- ↑ Minault, Gail (১৯৯০)। "Sayyid Mumtaz Ali and 'Huquq un-Niswan': An Advocate of Women's Rights in Islam in the Late Nineteenth Century": 147–172। জেস্টোর 312505। ডিওআই:10.1017/S0026749X00001190 ।