সূরা হাজ্জ্ব

কুরআন শরীফের ২২তম সূরা
(সূরা আল-হাজ্জ্ব থেকে পুনর্নির্দেশিত)

সুরা আল হাজ্জ্ব (আরবি: سورة الحج, "তীর্থযাত্রা, হজ্জ") কুরআনের ২২তম সূরা। সূরাটির মাক্কী সূরামাদানী সূরা হওয়ার ব্যাপারে মতভেদ রয়েছে। সঠিক মত হল এর কিছু অংশ মাক্কী ও কিছু মাদানী -এ কথা বলেছেন কুরতবী। (ফাতহুল কাদীর) আর এটি কুরআনের এমন একটি সূরা যাতে তেলাঅতের দুটি সিজদাহ রয়েছে। এর আয়াত সংখ্যা ৭৮। সুরাটি মূলত মুসলমানদের অবশ্য পালনীয় ধর্মীয় কর্ম হাজ্জ্ব এবং হাজ্জ্ব সংক্রান্ত দিকটি বেশি উম্মচিত হয়েছে।

আল হাজ্জ্ব
سورة الحج
শ্রেণীমাদানী সূরা
নামের অর্থতীর্থযাত্রা
পরিসংখ্যান
সূরার ক্রম২২
রুকুর সংখ্যা১০
সিজদাহ্‌র সংখ্যা২ (আয়াত ১৮ ও ৭৭)
← পূর্ববর্তী সূরাসূরা আম্বিয়া
পরবর্তী সূরা →সূরা মু'মিনূন
আরবি পাঠ্য · বাংলা অনুবাদ

নামকরণ

সম্পাদনা

চতুর্থ রুকূ’র দ্বিতীয় আয়াত থেকে এই সূরার নাম গৃহীত হয়েছে।

শানে নুযুল

সম্পাদনা

এই সূরাটি মক্কায় নাযিল না মদীনায় নাযিল, সে সম্পর্কে তাফসীরবিদগণ ভিন্ন ভিন্ন মত পোষণ করেন। ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকেই উভয় প্রকার রেওয়ায়েত বর্ণিত আছে। অধিকসংখ্যক তাফসীরবিদগণ বলেনঃ এই সূরাটি মিশ্র। এতে মক্কায় নাযিল ও মদীনায় নাযিল উভয় প্রকার আয়াতের সমাবেশ ঘটেছে। কুরতুবী এই উক্তিকেই বিশুদ্ধতম আখ্যা দিয়েছেন। কোন কোন মুফাসসির এই সূরার কতিপয় বৈচিত্ৰ্য উল্লেখ করে বলেনঃ এর কিছু আয়াত রাতে, কিছু দিনে, কিছু সফরে, কিছু গৃহে অবস্থানকালে, কিছু মক্কায়, কিছু মদীনায় এবং কিছু যুদ্ধাবস্থায় ও কিছু শান্তিকালে নাযিল হয়েছে। এছাড়া এর কিছু আয়াত রহিতকারী, কিছু আয়াত রহিত এবং কিছু মুহকাম তথা সুস্পষ্ট ও কিছু মুতাশাবিহু তথা অস্পষ্ট। সূরাটিতে আয়াত নাযিলের সব প্রকারই

আয়াতসমূহ

সম্পাদনা
আরবি ভাষায় উচ্চারণ বাংলায় অনুবাদ
বিস্‌মিল্লাহির রাহ্‌মানির রাহীম

يٰٓأَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوا رَبَّكُمْ ۚ إِنَّ زَلْزَلَةَ السَّاعَةِ شَىْءٌ عَظِيمٌ
يَوْمَ تَرَوْنَهَا تَذْهَلُ كُلُّ مُرْضِعَةٍ عَمَّآ أَرْضَعَتْ وَتَضَعُ كُلُّ ذَاتِ حَمْلٍ حَمْلَهَا وَتَرَى النَّاسَ سُكٰرٰى وَمَا هُم بِسُكٰرٰى وَلٰكِنَّ عَذَابَ اللَّهِ شَدِيدٌ
وَمِنَ النَّاسِ مَن يُجٰدِلُ فِى اللَّهِ بِغَيْرِ عِلْمٍ وَيَتَّبِعُ كُلَّ شَيْطٰنٍ مَّرِيدٍ
يٰٓأَيُّهَا النَّاسُ إِن كُنتُمْ فِى رَيْبٍ مِّنَ الْبَعْثِ فَإِنَّا خَلَقْنٰكُم مِّن تُرَابٍ ثُمَّ مِن نُّطْفَةٍ ثُمَّ مِنْ عَلَقَةٍ ثُمَّ مِن مُّضْغَةٍ مُّخَلَّقَةٍ وَغَيْرِ مُخَلَّقَةٍ لِّنُبَيِّنَ لَكُمْ ۚ وَنُقِرُّ فِى الْأَرْحَامِ مَا نَشَآءُ إِلٰىٓ أَجَلٍ مُّسَمًّى ثُمَّ نُخْرِجُكُمْ طِفْلًا ثُمَّ لِتَبْلُغُوٓا أَشُدَّكُمْ ۖ وَمِنكُم مَّن يُتَوَفّٰى وَمِنكُم مَّن يُرَدُّ إِلٰىٓ أَرْذَلِ الْعُمُرِ لِكَيْلَا يَعْلَمَ مِنۢ بَعْدِ عِلْمٍ شَيْـًٔا ۚ وَتَرَى الْأَرْضَ هَامِدَةً فَإِذَآ أَنزَلْنَا عَلَيْهَا الْمَآءَ اهْتَزَّتْ وَرَبَتْ وَأَنۢبَتَتْ مِن كُلِّ زَوْجٍۭ بَهِيجٍ

হে মানবমন্ডলী! তোমরা ভয় কর তোমাদের রাব্বকে; (জেনে রেখ) কিয়ামাতের প্রকম্পন এক ভয়ানক ব্যাপার।
যেদিন তোমরা তা দেখবে সেদিন প্রত্যেক স্তন্য দানকারিনী আপন দুগ্ধপোষ্য শিশুকে ভুলে যাবে এবং প্রত্যেক গর্ভধারিণী তার গর্ভপাত করে ফেলবে, তুমি দেখবে মানুষকে মাতাল সদৃশ, অথচ তারা মাতাল নয়। তবে আল্লাহর আযাবই কঠিন।
মানুষের মধ্যে কতক আল্লাহ সম্পর্কে তর্ক-বিতর্ক করে না জেনে এবং সে অনুসরণ করে প্রত্যেক বিদ্রোহী শয়তানের।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা