সুন্নি তেহরিক

পাকিস্তানের রাজনৈতিক দল

সুন্নি তেহরিক একটি পাকিস্তানি বেরলভী সংগঠন। দেওবন্দিওহাবি সংগঠনের দ্বারা বেরলভী মসজিদগুলো যাতে দখল করা না হয় সেজন্য ১৯৯০ সালে মুহাম্মদ সেলিম কাদরী সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন।[২] এটি নিজেদেরকে দেওবন্দি ও ওহাবি মুসলমানদের আক্রমণ থেকে বেরলভীদের রক্ষাকারী হিসেবেও উপস্থাপন করে।[৩]

সুন্নি তেহরিক
سنی تحریک
প্রতিষ্ঠাতামুহাম্মদ সালিম কাদরী
প্রতিষ্ঠা১৯৯০ (1990)
ভাবাদর্শ
রাজনৈতিক অবস্থানডানপন্থী
ধর্মসুন্নি ইসলাম (নির্দিষ্টভাবে, বেরলভী)
আনুষ্ঠানিক রঙ     সবুজ
নির্বাচনী প্রতীক
টেবিল বাতি (পিএসটি অংশ)[১]
ঘড়ি (এসটি অংশ)[১]
ওয়েবসাইট
প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট
পাকিস্তানের রাজনীতি

ইসলামপন্থী গোষ্ঠীটি পাকিস্তানের বিতর্কিত ব্লাসফেমি আইনের দৃঢ় সমর্থনের এবং ব্লাসফেমির অভিযোগে অভিযুক্তদের মৃত্যুদণ্ডের মতো কঠোর শাস্তির সমর্থনের জন্য পরিচিত।[৪] সুন্নি তেহরিক মুমতাজ কাদরীর সমর্থনে সোচ্চার, যিনি পাঞ্জাবের গভর্নর সালমান তাসিরকে হত্যা করেছিলেন, যখন তাসির ব্লাসফেমি আইন সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছিলেন৷[৫] সংগঠনের সমর্থকরা জনপ্রিয় প্রাক্তন পপ-তারকা জুনায়েদ জামশেদকে লাঞ্ছিত করে এবং ব্লাসফেমি আইনে তার বিচারের দাবিও জানায়।[৬]

ইতিহাস সম্পাদনা

মুত্তাহিদা কওমি আন্দোলনের বিভক্তি ও পতনের পর, পাকিস্তান সুন্নি তেহরিক নিজামুদ্দিন শামজাই-এর নেতৃত্বে দেওবন্দি-ওয়াহাবি বানুরি মসজিদের প্রাথমিক বিরোধী হিসেবে আবির্ভূত হয়। পাকিস্তান সুন্নি তেহরিক দেওবন্দিদের গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় পদ দেওয়ার তীব্র বিরোধিতা করেছে। লাহোরে সংগঠনটি প্রকাশ্যে একজন দেওবন্দি আলেমকে বাদশাহী মসজিদের খতিব হিসেবে নিয়োগ এবং অন্যান্য অনুরূপ নিয়োগের বিরোধিতা করেছে।[৭]

পিএসটি ও এসটি হিসাবে বিভক্তি সম্পাদনা

অভ্যন্তরীণ বিরোধের কারণে, সুন্নি তেহরিক পরবর্তীতে দুটি প্রধান উপদলে বিভক্ত হয়।[৮] সারওয়াত এজাজ কাদরি,[৯] এর অন্যতম প্রধান নেতা যিনি একটি অনেক বড় দল গঠন করেছিলেন যা পরবর্তীতে পাকিস্তান সুন্নি তেহরিক (পিএসটি) নামে নামকরণ করা হয়।[১০] একই সময়ে আহমেদ বিলাল কাদরী (এসটি এর প্রতিষ্ঠাতা সালিম কাদরির পুত্র) তার নিজস্ব দল গঠন করেন এবং তার দল সংগঠনের পুরানো নামটিই ব্যবহার করে।[১১] [১২]

বিতর্ক সম্পাদনা

২০০১ সালের মে মাসে, সুন্নি তেহরিক নেতা সেলিম কাদরীকে শিয়া-বিরোধী দেওবন্দি জঙ্গি ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠী সিপাহ-ই-সাহাবা পাকিস্তান কর্তৃক হত্যা করার পর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। তার উত্তরসূরি, আব্বাস কাদরি, রাষ্ট্রপতি আসিফ আলি জারদারির বিরুদ্ধে "সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষকতার" অভিযোগ এনেছেন।[১৩]

এপ্রিল ২০০৭ সালে, কথিত সুন্নি তেহরিকের সদস্যরা করাচিতে একটি আহলে হাদিস মসজিদে গুলি চালায়, যেখানে হামলায় একজন মুসল্লি নিহত হয়।[১৪] হামলার পর, পশ্চিমা বিশ্লেষকরা এই আন্দোলনকে ভারতীয় উপমহাদেশে ঐতিহ্যগত বিশ্বাসের উগ্রকরণ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Pakistan Election 2018: List of Political Parties and their Symbols for General Election 2018"www.thenews.com.pk (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-৩০ 
  2. "Karachi suicide blasts have Al-Qaida links"The Times of India। মার্চ ২, ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৪-১৩ 
  3. Yusuf, Huma (জুলাই ২০১২)। "Sectarian violence: Pakistan's greatest security threat?" (পিডিএফ)। Norwegian Peacebuilding Resource Centre। সংগ্রহের তারিখ ৭ অক্টোবর ২০২০ 
  4. "Ditching the tag of mysticism, Barelvi militancy rears head in form of Sunni Tehreek"। Geo TV। ২ এপ্রিল ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৫ জানুয়ারি ২০১৭ 
  5. "Sunni Tehreek demands police charge Shaan Taseer with blasphemy"। Pakistan Today। ২০১৭-০১-০৩। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০২-০২ 
  6. "Who is Junaid Jamshed? Pakistan singer feared dead in plane crash"। Coventry Telegraph। ৭ ডিসেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৫ জানুয়ারি ২০১৭ 
  7. [sacw] SACW Dispatch | 9 Sept. 00
  8. "Ditching the tag of mysticism, Barelvi militancy rears head in form of Sunni Tehreek"The News International। ২০১৬-০৪-০২। 
  9. "Sarwat Ejaz Qadri | President Sunni Tehreek"। PakistanHerald.com। ২০১০-০১-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০১-৩০ 
  10. "Sunni Tehreek is now a political party"Pakistan Today। ২০১৬-০৪-০২। 
  11. "Sunni Tehreek chief taken into custody"The Express Tribune (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০২-১৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-৩০ 
  12. "ECP - Election Commission of Pakistan"www.ecp.gov.pk। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-১০ 
  13. "South Asia Monitor >"। ৫ জানুয়ারি ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ এপ্রিল ২০২২ 
  14. Staff report (১১ এপ্রিল ২০০৭)। "One dead as ST tries to take control of Ahle Hadith mosque"Daily Times। ৭ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ ডিসেম্বর ২০১১ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা