সিরাজুল হক খান
সিরাজুল হক খান (১ জানুয়ারি ১৯২৪ - ১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও শহীদ বুদ্ধিজীবী।[১] তিনি ফেনীতে জন্মগ্রহণ করেন।[২] ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে পাকিস্তান সেনাবাহিনী, রাজাকার ও আল-বদর বাহিনীর বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ডের অংশ হিসাবে তিনি অপহৃত ও পরে শহীদ হন।[৩]
সিরাজুল হক খান | |
---|---|
জন্ম | ফেনী জেলা,পরশুরাম উপজেলা | ১ জানুয়ারি ১৯২৪
মৃত্যু | ১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১ Dhaka | (বয়স ৪৭)
পেশা | শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
নাগরিকত্ব | পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে) বাংলাদেশ |
জন্ম ও শিক্ষাজীবন
সম্পাদনাসিরাজুল হক খানের জন্ম ফেনী জেলা পরশুরাম উপজেলার সাতকুচিয়া গ্রামে। ১৯২৪ সালের ১ জানুয়ারি। বাবা চাঁদ মিয়া খান, মা ইজ্জাতননেছা। ফুলগাজী হাইস্কুল থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক (১৯৩৯), ফেনী কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে আইএ (১৯৪১), কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিস্টিংশনসহ বিএ (১৯৪৩)। ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে প্রথম স্থান অর্জন করে বিটি (১৯৪৯), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান পেয়ে এমএড। পরে যুক্তরাষ্ট্রের নর্দান কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৯ সালে ডক্টরেট অব এডুকেশন ডিগ্রি গ্রহণ।
পরিবার
সম্পাদনাসিরাজুল হক খান পাঁচ ছেলে, তিন মেয়ের জনক। ছেলে এনামুল হক খান, একরামুল হক খান (স্থপতি), মাহমুদুল হক খান (প্রকৌশলী), মজিবুল হক খান (ফার্মাসিস্ট) ও মাহবুবুল হক খান (ব্যাংকার)। মেয়ে সুলতানা খানম (ব্যাংকার), হামিদা খানম (প্রবাসী) ও সেলিনা খানম (প্রবাসী)। স্ত্রী সুরাইয়া খানম।
১৯৭১ সালে অবস্থান
সম্পাদনা১৪ ডিসেম্বর সিরাজুল হক খান, গিয়াসউদ্দিন আহমদ, ড. আবুল খায়ের, সন্তোষ স্যার, ইংরেজির অধ্যাপক রশিদুল হাসান, বাংলার অধ্যাপক আনোয়ার পাশা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাক্তার গোলাম মর্তুজা, আইইআরে বাবার সহকর্মী ড. ফয়জুল মহী এবং পাকিস্তানিদের সহযোগী হিসেবে পরিচিত আরবির অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমানের শ্যালক যিনি ছিলেন জামায়াতপন্থী সংবাদপত্র সংগ্রামের কর্মচারী। ঘাতকরা একমাত্র তাকেই ছেড়ে দেয়। সবাইকে রাজাকাররা তুলে নিয়ে যায়।
কর্মজীবন
সম্পাদনাকর্মজীবনের প্রায় ১৭ বছর বিভিন্ন সরকারি স্কুলে শিক্ষকতা করার পর ১৯৬৮ সালের ১১ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা কেন্দ্রের সহকারী অধ্যাপক নিযুক্ত হন।
বুদ্ধিজীবী হত্যার রায়
সম্পাদনা৩রা নভেম্বর, ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, চৌধুরী মুঈনুদ্দীন এবং আশরাফুজ্জামান খান কে ১৯৭১ সালের ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সিরাজুল হক খান সহ ১৮ জন বুদ্ধিজীবীকে অপহরণের পর হত্যার দায়ে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।[৩]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ বুদ্ধিজীবী হত্যার ৪২ বছর পরে ন্যায়বিচার ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৬ মে ২০১৪ তারিখে, অশোকেশ রায়, বাংলানিউজটুয়েন্টিফোর।কম, ঢাকা, ৩রা নভেম্বর, ২০১৩।
- ↑ [১] ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে Profiles of martyred intellectuals, দি ডেইলি স্টার, তারিখঃ ১৪ ডিসেম্বর, ২০০৬, সংগৃহীতঃ ১০ নভেম্বর, ২০১৩
- ↑ ক খ বুদ্ধিজীবী হত্যার সাজা ফাঁসি, প্রথম আলো দৈনিক পত্রিকা, লেখকঃ কুন্তল রায় ও মোছাব্বের হোসেন, ৪ঠা নভেম্বর, ২০১৩।
- ↑ মুঈনুদ্দীন ও আশরাফুজ্জামান খানের মৃত্যুদণ্ড, আকবর হোসেন, বিবিসি বাংলা, ঢাকা, ৩রা নভেম্বর, ২০১৩।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |