সিদি রামাদান মসজিদ

সিদি রামাদান মসজিদ (আরবি: مسجد سيدي رمضان) আলজিয়ার্স শহরের একটি ঐতিহাসিক মসজিদ। ১০৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত মসজিদটি আলজিয়ার্সের কাসবাহে অবস্থিত।[১][২] মসজিদের আয়তন আয়তন ৪০০ বর্গমিটার এবং মিনারটির উচ্চতা ৩২ মিটার। মসজিদটিকে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা (ইউনেস্কো) বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের মর্যাদা দেয়।[৩][৪]

সিদি রামাদান মসজিদ
مسجد سيدي رمضان‎
সিদি রামাদান মসজিদের মিনারের ছবি
সিদি রামাদান মসজিদের মিনার
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিইসলাম
জেলাআলজিয়ার্স
অবস্থান
অবস্থানআলজিয়ার্স, আলজেরিয়া
দেশআলজেরিয়া
মানচিত্রে মসজিদের অবস্থান
মানচিত্রে মসজিদের অবস্থান
আলজেরিয়াতে মসজিদের অবস্থান
স্থানাঙ্ক৩৬°৪৭′০″ উত্তর ৩°৩′৩৭″ পূর্ব / ৩৬.৭৮৩৩৩° উত্তর ৩.০৬০২৮° পূর্ব / 36.78333; 3.06028
স্থাপত্য
ধরনমসজিদ
স্থাপত্য শৈলীমুরিশ স্থাপত্য
প্রতিষ্ঠার তারিখ১০৯৭

ব্যুৎপত্তি সম্পাদনা

উকবা ইবনে নাফির নেতৃত্বে উত্তর আফ্রিকার প্রাথমিক মুসলিম বিজয়গুলিতে অংশ নেওয়া বীরযোদ্ধাের মধ্যে অন্যতম সিদি রামাদানের নামানুসারে মসজিদটির নামকরণ করা হয়। আলজিয়ার্স বিজয়ের পরে রামাদানকে উকবা শহরের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করেন। মৃত্যুর পরে তাকে মসজিদের স্তম্ভের নিচে সমাহিত করা হয়। নামকরণের উৎসের আরেকটি বিবরণে বলা হয়েছে যে সিদি রমাদান ছিল বিসক্রা শহরের মহৎ ওয়ালি[২] শেখ আবদুর রহমান আল-গিলানী বলেছেন মসজিদের আসল নাম আল-কায়েদ রমাদান মসজিদ এবং ইসলাম প্রচারের ভিত্তি প্রতিষ্ঠায় ব্যাপক অবদান রাখা ইবনে আল-মুফতার নাম উল্লেখ করেছেন।

ইতিহাস সম্পাদনা

মসজিদটি প্রথমে ১০৯৭ সালে বুলুগিন ইবনে জিরির যুগে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং মসজিদটি পুরো ক্যাসবাহ এবং শহরের অন্যতম প্রাচীন মসজিদ হিসেবে পরিচিত। এটি শহরের উপরের অংশে অবস্থিত এবং অ্যামেজিগ উপজাতিদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ক্যাসবাহের পুরাতন সীমানা প্রাচীরের নিকটে অবস্থিত।[২]

১৯০৪ সালে মসজিদটি আলজেরিয়ার জাতীয় ঐতিহ্যবাহী স্থানের মর্যাদা পায়।[৫][৬] এটি ১৯৯২ সালে আলজিয়ার্সের ক্যাসবাহের অংশ হিসেবে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা (ইউনেস্কো) বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের মর্যাদা দেয়।[৪]

চিত্র সম্পাদনা

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. مسجد سيدي رمضان صرح ديني…ومعلم أثري…يقاوم عواصف الزمن ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৬ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে. El Hiwardz. Retrieved January 6, 2018.
  2. "مسجد سيدي رمضان صرح ديني…ومعلم أثري…يقاوم عواصف الزمن – الحوار الجزائرية" (আরবি ভাষায়)। ২০১৮-০১-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-২৯ 
  3. المحور اليومي - القصبة... معلم ومتحف تاريخي مفتوح يحكي فصول الصمود ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৪ আগস্ট ২০১৭ তারিখে. El Mihwar. Retrieved January 6, 2018.
  4. "المحور اليومي - القصبة... معلم ومتحف تاريخي مفتوح يحكي فصول الصمود"elmihwar.com (আরবি ভাষায়)। ২০১৭-০৮-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-২৯ 
  5. رغم تصنيفها ضمن التراث العالمي لليونسكو: قصبة الجزائر معلم تاريخي في وضع كارثي. Radio Algerie. Retrieved January 6, 2018.
  6. "رغم تصنيفها ضمن التراث العالمي لليونسكو: قصبة الجزائر معلم تاريخي في وضع كارثي | الإذاعة الجزائرية"www.radioalgerie.dz (আরবি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-২৯ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা