সামিউল হক

পাকিস্তানী রাজনীতিবিদ

মাওলানা সামিউল হক (উর্দু: مولانا سمیع الحق‎‎, Samī'u’l-Ḥaq; ১৮ ডিসেম্বর ১৯৩৭ – ২রা নভেম্বর ২০১৮) ছিলেন একজন পাকিস্তানি আলেম এবং সিনেটর[১] তিনি পাকিস্তানে "তালিবানের পিতা" নামে প্রসিদ্ধ ছিলেন।[২] তিনি ১৯৮৫ থেকে ১৯৯৭ এবং পুনরায় ২০০৩ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত দুই দুইবার পাকিস্তান সিনেটের সদস্য ছিলেন।[৩]

সামিউল হক
سمیع الحق
দিফা-এ-পাকিস্তান কাউন্সিল চেয়ারম্যান
কাজের মেয়াদ
অক্টোবর ২০১১ – ২রা নভেম্বর ২০১৮
দারুল উলুম হাক্কানিয়ার ২য় মুহতামিম
কাজের মেয়াদ
৭ সেপ্টেম্বর ১৯৮৮ – ২রা নভেম্বর ২০১৮
পূর্বসূরীআব্দুল হক
উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের সিনেটর (পাকিস্তান)
কাজের মেয়াদ
মার্চ ২০০৩ – মার্চ ২০০৯
ফেব্রুয়ারি ১৯৮৫ – মার্চ ১৯৯৭
মজলিশে শুরা পাকিস্তানের সদস্য
কাজের মেয়াদ
১৯৮৩ – ১৯৮৫
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম১৮ ডিসেম্বর ১৯৩৭
আকোড়া খাট্টাক, ব্রিটিশ ইন্ডিয়া
মৃত্যু২ নভেম্বর ২০১৮(2018-11-02) (বয়স ৮০)
রাওয়ালপিন্ডি, পাকিস্তান
মৃত্যুর কারণগুপ্তহত্যা, ছুরিকাঘাতে বিভিন্ন ক্ষতস্থান থেকে অধিক রক্তক্ষরণ
জাতীয়তাপাকিস্তানি
রাজনৈতিক দলইসলামি জমহুরি ইত্তেহাদ
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম (এফ)
মুত্তাহিদা মজলিশে আমাল[১]
পিতাআব্দুল হক
প্রাক্তন শিক্ষার্থীদারুল উলুম হাক্কানিয়া

প্রাথমিক জীবন সম্পাদনা

সামিউল হক ১৮ই ডিসেম্বর ১৯৩৭ ব্রিটিশ ইন্ডিয়ার উত্তর-পশ্চিম সীমান্তপ্রদেশের আকোড়া খাট্টাকে (বর্তমান- খাইবার পাখতুনখোয়া, পাকিস্তানে অবস্থিত) জন্মগ্রহণ করেন।[৩] তার পিতা ছিলেন মাওলানা আব্দুল হক, যিনি ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে স্নাতক করেছেন। সামিউল হক ১৩৬৬ হিজরিতে (১৯৪৬ অথবা ১৯৪৭ ঈসাব্দ) তার পিতার প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসা দারুল উলুম হাক্কানিয়াতে পড়ালেখা শুরু করেন।[৪][৫] সামিউল হক আরবি ভাষায় বেশ পারদর্শী ছিলেন। এছাড়া পাকিস্তানের জাতীয় ভাষা উর্দু এবং স্থানীয় ভাষা পশতুও ব্যবহার করতেন।[৬]

ক্যারিয়ার সম্পাদনা

সামিউল হক "তালিবানের পিতা" হিসেবে প্রসিদ্ধ ছিলেন।[২][৭] এবং তালিবান নেতা মোল্লা মুহাম্মাদ ওমরের সাথে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল।[৬][৮][৯] সামিউল হক দারুল উলুম হাক্কানিয়ার আচার্য ছিলেন। হাক্কানিয়া দেওবন্দি সিলেবাসভুক্ত একটি বিদ্যাপীঠ, যেখান থেকে মোল্লা ওমরসহ অনেক বিশিষ্ট তালিবান সদস্য স্নাতক করেছেন।[৮][১০] সামিউল হক দিফা-এ-পাকিস্তান কাউন্সিলের সভাপতি ছিলেন। এবং নিজস্ব রাজনৈতিক দল জমিয়ত উলামায়ে ইসলামের নেতৃত্ব দিতেন; যা জেইউআই-এস নামে প্রসিদ্ধ।[১১] এছাড়া, সামিউল হক ইসলামি ছয় দলীয় ঐক্যজোট মুত্তাহিদা মজলিশে আমালের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। ২০০২ সালের পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে জোটটি এগিয়ে ছিল।[১][১২]

এছাড়াও তিনি পাকিস্তান সিনেটের একজন সদস্য।[১৩][১৪] তিনি ২০১৩ সালের পাকিস্তানের সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মুত্তাহিদা দ্বীনি মাহায (অর্থ: ধর্মীয় ঐক্যফ্রন্ট) নামে একটি ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক জোট গঠন করেন।[১৫][১৬]

মাওলানা সামিউল হক জানান, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের পারিপার্শ্বিক অবস্থা সম্পর্কে আলোচনা করতে ২০১৩ সালের জুলাইতে পাকিস্তানে অবস্থানরত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রিচার্ড জি অলসন তার সাথে সাক্ষাত করেন।[৬] সামিউল হক তালিবানের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, "তাদেরকে শুধুমাত্র একবছর সময় দিলে তারা পুরো আফগানিস্তানের অবস্থার উন্নয়ন ঘটাবে। এবং পুরো আফগানিস্তান তাদেরকে সমর্থন জানাবে। ....মার্কিন জোট আফগানিস্তান ত্যাগ করলে একবছরের মধ্যেই আফগানিরা সুখী হবে... যতদিন জোট সেখানে থাকবে আফগানিদেরকে ততদিন তাদের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করে যেতে হবে।" সামিউল হক আরো বলেন, "এই যুদ্ধ স্বাধীনতার জন্য, যতদিন বহিরাগতরা আফগানিস্তান ত্যাগ না করবে, ততদিন এই যুদ্ধ বন্ধ হবে না।"[৬]

২০১৮ সালের অক্টোবরে পাকিস্তানে অবস্থানরত আশরাফ গনি সরকারের প্রতিনিধিত্ব করা কূটনীতিক সামিউল হকের সাথে দেখা করেন ও আফগান তালিবানকে সংলাপ টেবিলে ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে আফগানিস্তানে শান্তি পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে তাকে ভূমিকা রাখতে বলেন।[১৭]

কেলেঙ্কারি সম্পাদনা

১৯৯১ সালের নভেম্বর মাসে মাদাম তাহিরা নাম্নী ৩৫ বছর বয়সী এক নর্তকী ইসলামাবাদে গ্রেফতার হয়, সে নয় বছর যাবত একটি পতিতালয় চালিয়ে আসছিলো। কর্মকর্তারা তাহিরার বাড়ি ঘেরাও করে এবং তাকে অবৈধ অস্ত্র এবং পানীয় রাখার অভিযোগে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানায়, তারা তার ডায়েরিও বাজেয়াপ্ত করেছে। যেখানে তার খদ্দেরদের তালিকা, নামকরা ব্যবসায়ী, নেতৃস্থানীয় লোক এবং ইসলামাবাদস্থ কূটনৈতিকদের ভিজিটিং কার্ড ছিল। তাহিরা দাবি করেছিলো, সে যদি সমস্যায় পড়ে তাহলে সে অন্যদেরও সমস্যায় ফেলবে। তাহিরা মাওলানা সামিউল হকসহ অন্তত একজন সাংসদ এবং একজন ক্যাবিনেট মন্ত্রীসহ তার সবচেয়ে নিকটবর্তী খদ্দেরদের নাম জানায়। মাওলানা সামিউল হক এসবে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে ইসলামি গণতান্ত্রিক জোটের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদ থেকে ইস্তফা দেন। এবং সিনেট থেকেও পদত্যাগ করেন।[১৮] তিনি মন্ত্রীসভায় বলেন, "আমি নিরপরাধ, আমাকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হবার কারণে সরকার কর্তৃক কেলেঙ্কারিতে জড়ানো হয়েছে।" কিন্তু পরে তিনি পদত্যাগ করেন।[১৯] তবে পরবর্তী নির্বাচনে তিনি পুনরায় সিনেটর হিসেবে নির্বাচিত হন।

ফাতওয়া সম্পাদনা

তেহরিকে তালিবান পাকিস্তান পোলিও টিকার বিরুদ্ধে প্রচারণা করে হাজার হাজার শিশুকে টিকাগ্রহণ থেকে বিরত রাখে। তখন ২০১৩ সালের ৯ই ডিসেম্বর মাওলানা সামিউল হক পোলিও টিকাকে অনুমোদন করে ফাতওয়া প্রদান করেন।[২০][২১] এই ফাতওয়ায় তিনি বলেন, "মারাত্মক রোগের প্রতিরোধে পোলিও টিকা অত্যন্ত কার্যকর। এটি প্রখ্যাত চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের গবেষণা দ্বারা প্রমাণিত। তারা বলেন, এই রোগপ্রতিরোধকারী টিকায় ক্ষতিকর কোনো প্রভাব নেই।"[২২]

হত্যা সম্পাদনা

২০১৮ সালের ২রা নভেম্বর সামিউল হক পাকিস্তানের সময় অনুযায়ী ৭টার দিকে রাওয়ালপিন্ডির বাহরিয়া টাউনে নিজ বাসস্থানে নিহত হন।[২৩] তাকে ছুরি দিয়ে বেশ কয়েকটি আঘাত করা হয়েছিলো।[২৪] তাকে নিকটবর্তী সাফারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তার মৃত্যুর কারণ ছিল, দেহের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ।[২৫] তার দেহরক্ষী জানায়, তিনি ইসলামাবাদে আসিয়া বিবিকে বেকসুর খালাস দেওয়ার বিরুদ্ধে বিক্ষোভে যোগ দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সড়ক অবরোধের কারণে তিনি সেখানে যেতে ব্যর্থ হন।[২৬]

এই হত্যার কারণে, খাইবার পাখতুনখোয়া সরকার একদিন শোক পালনের ঘোষণা দেয়।[২৭] প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এই হত্যার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘‘এই দেশ একটি বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হল।’’[২৮]

২০১৮ সালের ৩রা নভেম্বর তিনি তার শহর আকোড়া খাট্টাকে দারুল উলুম হাক্কানিয়ার প্রাঙ্গণে সমাহিত হন। তার জানাযার নামাজ খুশাল খান ডিগ্রি কলেজে তার সন্তান মাওলানা হামিদুল হকের ইমামতিতে সমাপ্ত হয়।[২৭] তার জানাযায় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও তার অনুসারীদের বিশাল একটি সংখ্যা অংশগ্রহণ করে। তদন্তের অংশ হিসেবে পুলিশ তার ঘরের লোকদের জিজ্ঞাসাবাদ করে।[২৯]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "VOICES FROM THE WHIRLWIND: Assessing Musharraf's Predicament - Sami ul-Haq: Powerful Religious Leader"Public Broadcasting Service (US Public TV website)Public Broadcasting Service। মার্চ ২০০৪। সংগ্রহের তারিখ ২১ মে ২০১৮ 
  2. Ali, Imtiaz (২৩ মে ২০০৭)। "The Father of the Taliban: An Interview with Maulana Sami ul-Haq"Spotlight on TerrorThe Jamestown Foundation website। সংগ্রহের তারিখ ২১ মে ২০১৮ 
  3. Maulana Sami-ul-Haq, Senate of Pakistan
  4. Hussain, Zahid (২০০৮-০৭-০১)। Frontline Pakistan: The Struggle with Militant Islam (ইংরেজি ভাষায়)। Columbia University Press। আইএসবিএন 9780231142250 
  5. Westhead, Rick (মে ১৩, ২০০৯)। "Inside Pakistan's Jihad U"The Toronto Star"This is not a (terrorist) training centre," says Rashid ul-Haq. His grandfather established the madrassa in 1947 and his father, Maulana Sami ul-Haq, was a Pakistani senator for 18 years and is one of Haqqani's directors. 
  6. "Pakistani 'Father of Taliban' keeps watch over loyal disciples"Maria Golovnina and Sheree SardarReuters News Agency website। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২১ মে ২০১৮... Haq said, alternating between Pakistan’s official Urdu and his native Pashto language. Haq, who speaks fluent Arabic, ... 
  7. Ali, Imtiaz (২৭ জানুয়ারি ২০০৯)। "Maulana Sami ul-Haq: Father of the Taliban" (audio)Post-Conflict Reconstruction ProjectCenter for Strategic and International Studies। সংগ্রহের তারিখ ২১ মে ২০১৮ 
  8. "Taliban Training the Pakistan"Deutsche Welle। ২৩ মে ২০১৫। 
  9. Westhead, Rick (মে ১৩, ২০০৯)। "Inside Pakistan's Jihad U"The Toronto StarIn 1997, Sami ul-Haq received a phone call from Omar, the Taliban leader. The Taliban had been defeated in an attempt to capture Mazar-e-Sharif in northern Afghanistan and Omar needed reinforcements. "Mullah Omar personally rang me to request that I let these students go to Afghanistan on leave since they are needed there," ul-Haq was quoted as saying in Pakistan journalist Ahmed Rashid's book, Taliban. Ul-Haq agreed to help Omar and briefly shut down his school to help his students arrange passage through the Khyber Pass to Afghanistan. 
  10. Dalrymple, William। "Inside the Madrasas"The New York Review of BooksHere, straddling the noisy, truck-thundering Islamabad highway, stands the Haqqania, one of the most radical of the religious schools called madrasas. Many of the Taliban leaders, including Mullah Omar, were trained at this institution. 
  11. Siddiqui, Taha (১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২)। "Tahreek-e-Labbaiyak Pakistan Part 1/2: Jihadis itch for resurgence"The Express Tribune (newspaper)। সংগ্রহের তারিখ ২১ মে ২০১৮ 
  12. "Five DPC parties plan new electoral alliance"Dawn। ডিসেম্বর ৬, ২০১২। Maulana Sami was also among the founders of a six-party religious alliance, Muttahida Majlis Amal ahead of 2002 polls that later ruled Khyber Pakhtunkhwa and Balochistan under Musharraf regime. 
  13. "Maulana Sami-ul-Haq"। www.senate.gov.pk। ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ মে ২০১৮ 
  14. "Maulana Samiul Haq"। www.senate.gov.pk। ৯ ডিসেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ মে ২০১৮ 
  15. Wasim, Amir (এপ্রিল ২০, ২০১৩)। "Few election alliances this time"DawnThe Muttahida Deeni Mahaz (MDM), a group of five small religious parties and groups headed by Maulana Samiul Haq of the Jamiat-Ulema-i-Islam-Sami (JUI-S), is the only electoral alliance that is fielding its candidates in the May 11 elections. 
  16. "Muttahida Deeni Mahaz–another Political Alliance Formed"jamhuriat.pk। ১৬ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ মে ২০১৮ 
  17. "Afghan govt approaches Samiul Haq to mediate in peace talks with Taliban"The Express Tribune। অক্টোবর ১, ২০১৮। 
  18. Gannon, Kathy (নভেম্বর ১৪, ১৯৯১)। "Religious Cleric Leaves Government After Linked To Sex Scandal"apnews.com। নভেম্বর ৩, ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  19. Nasir, Abbas (ডিসেম্বর ১৫, ১৯৯১)। "Clergy rocked by Madame Tahira's startling revelations"India Today 
  20. "Pakistan cleric Maulana Sami ul-Haq backs polio campaign"BBC। ১০ ডিসেম্বর ২০১৩। 
  21. Khan, Ismail (২০১৮-১১-০৩)। "Obituary: 'Father of Afghan Taliban' who supported polio drive at home"DAWN.COM (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-০৩ 
  22. "One drop at a time: Fatwa issued in favour of polio vaccination campaign"The Express Tribune। ১০ ডিসেম্বর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২১ মে ২০১৮ 
  23. "JUI-S chief Maulana Samiul Haq assassinated in Rawalpindi"Geo News। সংগ্রহের তারিখ ২ নভেম্বর ২০১৮ 
  24. "Maulana Samiul Haq assassinated at Rawalpindi residence"Dawn 
  25. "Slain Maulana Samiul Haq laid to rest in Darul Uloom Haqqania"The News International। নভেম্বর ৩, ২০১৮। 
  26. "'Father of Taliban' Mullah Sami Ul-Haq Killed in Pakistan: Deputy"The New York Times। ৩ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসেম্বর ২০১৮ 
  27. Farooq, Umer (নভেম্বর ৩, ২০১৮)। "Maulana Samiul Haq laid to rest"The Express Tribune 
  28. "Politicians condemn brutal murder of JUI-S chief Maulana Samiul Haq"Dawn। নভেম্বর ২, ২০১৮। 
  29. Naseer, Tahir (৩ নভেম্বর ২০১৮)। "Maulana Samiul Haq laid to rest, domestic staff interrogated in connection with his murder"DAWN.COM (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-০৩ 

উৎস সম্পাদনা