সাপ্তাহিক বিপ্লব বাংলাদেশের একটি অধুনালুপ্ত সাপ্তাহিক পত্রিকা। ১৯৮২ খ্রিষ্টাব্দে দৈনিক দেশ পত্রিকার সহযোগী প্রকাশনা হিসাবে এটি আত্মপ্রকাশ করে।[] তখন থেকে শুরু করে নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি পর্যন্ত এটি বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় পত্রিকা হিসাবে চালু ছিল। এটি ন্যাশনালিস্ট গ্রুপ কর্তৃক প্রকাশিত হত। এটি ম্যাগাজিন আকারে, অর্থাৎ ডাবলডিমাই ১/৪ আকারে মুদ্রিত হয় এবং পৃষ্ঠা সংখ্যা ছিল ৬৪। কবি সিকদার আমিনুল হক এই পত্রিকাটির সম্পাদক হিসাবে নিয়োজিত ছিলেন।[][][]

সাপ্তাহিক বিপ্লব
ধরনসাপ্তাহিক পত্রিকা (বর্তমানে বিলুপ্ত)
ফরম্যাটডাবলডিমাই
মালিকন্যাশনালিস্ট গ্রুপ
প্রতিষ্ঠাতাএকেএম মাঈদুল ইসলাম
প্রকাশকবেগম মরিয়ম
সম্পাদকসিকদার আমিনুল হক
প্রতিষ্ঠাকাল২৪ জুন ১৯৮২; ৪২ বছর আগে (1982-06-24)
ভাষাবাংলা
সদর দপ্তর৫, সেগুনবাগিচা, ঢাকা-১০০০
দেশবাংলাদেশ
সহোদর সংবাদপত্রদৈনিক দেশ

ইতিহাস

সম্পাদনা

১৯৮২ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকাস্থ সেগুনবাগিচার একটি পুরানো দ্বিতল বাড়িতে সাপ্তাহিক বিপ্লব প্রতিষ্ঠিত হয়, একসময় যেখানে দৈনিক দেশ-এর অফিস ছিল এবং মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত সেগুনবাগিচার ওই বাড়িতেই।[] ১৯৮২ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ জুন সাপ্তাহিক বিপ্লবের ১ম বর্ষ, প্রথম সংখ্যার (নব পর্যায়) আত্মপ্রকাশ ঘটে। এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন কবি সিকদার আমিনুল হক। পত্রিকাটির প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী একেএম মাঈদুল ইসলাম, তিনি অধূনালুপ্ত দৈনিক দেশ পত্রিকারও প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ছিলেন।[][][] ফারুক মাহমুদ, আবু কায়সার, মাসুক হেলাল, আফজাল হোসেন, আবু কায়সার, বাশার মাহমুদ প্রমুখ এই পত্রিকার সাথে জড়িত ছিলেন।[][] প্রথম সংখ্যার প্রচ্ছদে ছিলেন আবৃত্তিশিল্পী ক্যামেলিয়া মুস্তফা। পত্রিকাটির প্রথম সংখ্যায় লিখেছিলেন শামসুর রাহমান, আব্দুল মান্নান সৈয়দ, জগলুল আলম, শহীদ কাদরী সহ আরো অনেকে।[]

সাপ্তাহিক বিপ্লব পত্রিকায় দেশের বুদ্ধিজীবী, লেখক, কবি, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, অভিনেতা, অভিনেত্রী, রাজনীতিবিদ দের সম্মিলন ঘটত। এর মধ্যে ছিলেন কথাশিল্পী শওকত ওসমান, সৈয়দ শামসুল হক, রাহাত খান, শামসুল ইসলাম, সানাউল হক খান, মাকিদ হায়দার, জাহিদুল হক, হেলাল হাফিজ, শিহাব সরকার সহ আরও অনেকে। এছাড়া তরুণ কবিদের ভিড় লেগেই থাকতো।[]

পত্রিকাটিতে বেশ কয়েকটি বিভাগ ছিলো। সেগুলো হলো:

  • রাজনীতি,
  • অর্থনীতি,
  • সপ্তাহ,
  • শিক্ষাঙ্গন,
  • বৈদেশিকী,
  • প্রচ্ছদকাহিনী,
  • সাহিত্য,
  • বিনোদন,
  • খেলাধুলা,
  • চিঠিপত্র,
  • জীবনযাপন,
  • প্রবাসীর পত্র,
  • বিচিত্র,
  • শুভ সংবাদ।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "কবি সিকদার আমিনুল হক'এর ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল"বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)। ২০১৮-০৫-১৬। ২০২৪-০৩-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৩-১৯ 
  2. "কবি সিকদার আমিনুল হক'এর ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল"কালের কণ্ঠ। ২০১৮-০৫-১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৩-২০ 
  3. "বিরাশির বিপ্লব যেভাবে হারিয়ে গেল"দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড। ২০২২-০৫-২৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৩-১৯ 
  4. লিখন মাহমুদ (২০২৪-০২-০১)। নিভৃত নিবন্ধ। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মাদারিপুর। পৃষ্ঠা ৩১। আইএসবিএন 97898499069-57 
  5. "আমাদের সিকদার আমিনুল হক"ভোরের কাগজ। ২০১৯-১২-০৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৩-১৯ 
  6. "লেখকঃ এ.কে.এম. মাঈদুল ইসলাম মুকুল এম.পি | পাঠাগার"pathagar.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৩-১৯ 
  7. "আমাদের এমপি একেএম মাঈদুল ইসলাম মুকুল | Ulipur.com"স্থানীয় খবরের ডিজিটাল মুখপত্র। ২০১৬-০৫-২৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৩-১৯ 
  8. "কবিতায় বেঁচে থাকা কবি"বাংলা ট্রিবিউন। ২০১৭-১২-০৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৩-১৯