সিকদার আমিনুল হক

বাংলাদেশি কবি

সিকদার আমিনুল হক (৬ ডিসেম্বর ১৯৪২ - ১৭ মে ২০০৩) একজন বাংলাদেশি কবি ছিলেন।[][] ভাষা ও সাহিত্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০২০ সালে মরণোত্তর একুশে পদক প্রদান করে।[]

সিকদার আমিনুল হক
কবি সিকদার আমিনুল হক
জন্ম(১৯৪২-১২-০৬)৬ ডিসেম্বর ১৯৪২
মৃত্যু১৭ মে ২০০৩(2003-05-17) (বয়স ৬০)
নাগরিকত্বব্রিটিশ ভারতীয় (১৯৪২-১৯৪৭)
পাকিস্তানি (১৯৪৭-১৯৭১)
বাংলাদেশী (১৯৭১-২০০৩)
শিক্ষাবিএ
মাতৃশিক্ষায়তনজগন্নাথ কলেজ
পেশাকবি, বেসরকারি চাকুরীজীবী
পুরস্কারকবি আহসান হাবিব পুরস্কার
বাংলা একাডেমী পুরস্কার

জন্ম, শৈশব ও শিক্ষা

সম্পাদনা

সিকদার আমিনুল হক জন্মগ্রহণ করেন ১৯৪২ সালের ৬ ডিসেম্বর কলকাতার কাঁচড়াপাড়ায়। তার শৈশব কেটেছে কলকাতায়। ঢাকার জগন্নাথ কলেজ থেকে তিনি ১৯৬৫ সালে বিএ পাশ করেন।

দেশী-বিদেশী বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে সিকদার আমিনুল হক চাকরি করেছেন। তিনি সাপ্তাহিক বিপ্লব পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া ষাটের দশকের সাড়া জাগানো সাপ্তাহিক পত্রিকা 'স্বাক্ষর' এর অন্যতম প্রতিষ্ঠা সম্পাদক ছিলেন।

প্রকাশিত গ্রন্থ

সম্পাদনা

প্রবন্ধ, কবিতা ও ছড়া এই তিনটি শাখায় সিকদার আমিনুল হক মোট ২২ টি গ্রন্থ রচনা করেছেন। তার উল্লেখযোগ্য বইঃ

  • দূরের কার্নিশ (১৯৭৫)
  • তিন পাপড়ির ফুল (১৯৭৯)
  • পারাবত এই প্রাচীরের শেষ কবিতা (১৯৮২)
  • আমি সেই ইলেক্ট্রা (১৯৮৫)
  • বহুদিন উপেক্ষায় বহুদিন অন্ধকার (১৯৮৭)
  • পাত্রে তুমি প্রতিদিন জল (১৯৮৭)
  • এক রাত্রি এক ঋতু (১৯৯১)
  • সতত ডানার মানুষ (১৯৯১)
  • সুপ্রভাত হে বারান্দা (১৯৯৩)
  • কাফকার জামা (১৯৯৪)
  • সুলতা আমার এলসা (১৯৯৪)
  • রুমালের আলো ও অন্যান্য কবিতা (১৯৯৫)
  • লোর্কাকে যেদিন ওরা নিয়ে গেলো (১৯৯৭)
  • শ্রেষ্ঠ কবিতা (২০০০)
  • বিষন্ন তাতার (২০০২)
  • ঈশিতার অন্ধকার শুয়ে আছে (২০০২)।

মৃত্যু

সম্পাদনা

২০০৩ সালের ১৭ মে সিকদার আমিনুল হক মৃত্যুবরণ করেন ঢাকায়।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ 
  2. http://www.kaliokalam.com/%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B2-%E0%A6%B9%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%BE/
  3. "একুশে পদক পাচ্ছেন কিংবদন্তি চিকিৎসা বিজ্ঞানী ডা. সায়েবা"যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা