সরকারি জয়বাংলা কলেজ, খুলনা

খুলনায় অবস্থিত সরকারি কলেজ

সরকারি জয়বাংলা কলেজ, খুলনা বাংলাদেশের একটি উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যেটি খুলনা বিভাগীয় সদরে অবস্থিত। প্রাক্তন নাম খুলনা সরকারি কলেজ

সরকারি জয়বাংলা কলেজ, খুলনা
প্রতিষ্ঠানটির প্রতীক
অবস্থান
মানচিত্র
আউটার বাইপাস সড়ক


স্থানাঙ্ক২২°৪৯′২৯″ উত্তর ৮৯°৩২′২০″ পূর্ব / ২২.৮২৪৮° উত্তর ৮৯.৫৩৯০° পূর্ব / 22.8248; 89.5390
তথ্য
ধরনসরকারি কলেজ
নীতিবাক্যএসো জ্ঞানের সন্ধানে, ফিরে যাও দেশের সেবায়
প্রতিষ্ঠাকাল১৯৬৮; ৫৬ বছর আগে (1968)
প্রতিষ্ঠাতাগণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
ইআইআইএন১৩৩১৫৫ উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
অধ্যক্ষপ্রফেসর মীজানুর রহমান
শিক্ষকমণ্ডলী২৫+
শ্রেণী১১শ- ১২শ
লিঙ্গবালক, বালিকা
শিক্ষার্থী সংখ্যাআনু. ১২০০+
ভাষাবাংলা
হাউস১ টি (একাডেমিক ভবন)
রং     গাঢ় পেস্ট রং (শার্ট)
     কালো (প্যান্ট)
ক্রীড়াফুটবল, ক্রিকেট
ডাকনামGJC
প্রকাশনাপ্রোসপেক্টস, বাতায়ন
শিফট১টি (দিবা)
ওয়েবসাইটwww.joybanglacollege.org

প্রতিষ্ঠার ইতিহাস সম্পাদনা

ব্যবসায় শিক্ষার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে স্থাপিতক্ষেত্রে বৃহত্তর খুলনা অঞ্চলে সরকারি পর্যায়ে পরিচালিত একমাত্র এই প্রতিষ্ঠানটি ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের হতে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে কলেজের নাম খুলনা সরকারি কলেজ হতে সরকারি জয়বাংলা কলেজ, খুলনা-তে পরিবর্তন করা হয়। [১] ১৯৫৯ সালের জাতীয় শিক্ষা কমিশনের[২] নির্দেশনা অনুসারে তৎকালীন সরকার পূর্ব পাকিস্তানের ১৬টি[৩] জেলা সদরে 'গভ. কমার্শিয়াল ইনস্টিটিউট' স্থাপন করা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে[৪] এবং ফলশ্রুতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য সংস্থা 'এউএসএইড'-এর আর্থিক ও কারিগরী সহায়তায় ঢাকা, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, চট্টগ্রাম, ফেনী, কুমিল্লা, খুলনা, যশোর, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, দিনাজপুর, রংপুর, বগুড়া, পাবনা, বরিশাল এবং সিলেট জেলা শহরে ১৯৬৫ হতে ১৯৬৭ সালের মধ্যে এই কমার্র্শিয়াল ইনস্টিটিউটসমূহ স্থাপিত হয়।[২]

শিক্ষা কার্যক্রম সম্পাদনা

এই প্রতিষ্ঠানটি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, যশোর এর অধিনে পরিচালিত হয়। শুধুমাত্র একাদশ-দ্বাদশ শ্রেনীর শিক্ষা কার্যক্রম চালু থাকায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা জড়ালো করা হয়। বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা এই তিনটি গ্রুপভিত্তিক ক্লাস নিয়মিত হয়। এই কলেজে ভর্তি যোগ্যতা জিপিএ ৪.০০। এস.এস.সি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ভর্তি যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়। পাঠ দানের পাশাপাশি সহশিক্ষা, বির্তক প্রতিযোগিতা, বিএনসিসি, বিজ্ঞান ক্লাব ইত্যাদি ধরনের কার্যক্রম চালু আছে।[৪][২]


সম্পর্কে সম্পাদনা

কারিগরি ও ব্যবসায় শিক্ষা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে খুলনা শহরের প্রাণকেন্দ্রে বিগত ১৯৬৮খ্রি. খুলনা সরকারি কমার্শিয়াল ইনস্টিটিউট নামে প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা শুরু করে। ১২.০৫.২০১৬খ্রি. তারিখে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে কলেজটিকে সাধারণ কলেজে রূপান্তর করে। তখন কলেজটির নামকরণ করা হয় খুলনা সরকারি কলেজ, খুলনা । অতঃপর বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণিতে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়। খুলনা শহরে খুলনা সরকারি কলেজ এর কাছাকাছি নামে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকায় শিক্ষার্থী ভর্তি, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, যশোর এর সাথে সুষ্ঠু যোগাযোগ রক্ষায় বিভিন্ন রকম জটিলতার সৃষ্টি হয় এবং কলেজটির নাম পরিবর্তন করা অনিবার্য হয়ে পড়ে। এ পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোল্লা আমির হোসেন একটি ইউনিক নাম রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। কলেজের শিক্ষক পরিষদের সভায় মহান মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান জয়বাংলা কে সংযোজননের মধ্য দিয়ে সরকারি জয়বাংলা কলেজ, খুলনা নামকরণের প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র জনাব তালুকদার আব্দুল খালেক বিষয়টির গুরুত্ব উপলব্ধি করে এর সাথে একমত পোষন করেন। পরবর্তীতে তাঁর সুপারিশের আলোকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠানটির নাম সরকারি জয়বাংলা কলেজ, খুলনা হিসাবে বিগত ১৮.১২.২০১৯খ্রি. প্রজ্ঞাপন জারি করে।[৫]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "খুলনা সরকারি কলেজের নাম পরিবর্তন করে 'সরকারি জয়বাংলা কলেজ, খুলনা' নামে নামকরণ প্রসঙ্গে" (পিডিএফ)। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৮ এপ্রিল ২০২১ 
  2. যুগোপযোগী হচ্ছে সরকারি কমার্শিয়াল ইনস্টিটিউট[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. "১৬ কমার্শিয়াল কলেজের ২০ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত"। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০১৫ 
  4. "বিলুপ্তির পথে গভ. কমার্শিয়াল ইনস্টিটিউট"। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০১৫ 
  5. "এই কলেজ সম্পর্কে"www.joybanglacollege.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০১-১৭