সয়াই মানসিং স্টেডিয়াম
সয়াই মানসিং স্টেডিয়াম ভারতের অন্যতম প্রধান আন্তর্জাতিকমানের স্টেডিয়াম। এ স্টেডিয়ামটি জয়পুর শহরে অবস্থিত। রঞ্জি ট্রফি ও অন্যান্য সীমিত ওভারের খেলাগুলোয় রাজস্থান ক্রিকেট দল এ মাঠে অংশ নিয়ে থাকে। এছাড়াও, রাজস্থান রয়্যালস দল আইপিএলের খেলাগুলোয় তাদের মাঠ হিসেবে ব্যবহার করে।
এসএমএস স্টেডিয়াম | |
![]() | |
স্টেডিয়ামের তথ্যাবলি | |
---|---|
অবস্থান | জয়পুর |
দেশ | [[ভারত]] |
প্রতিষ্ঠা | ১৯৬৯ |
ধারণক্ষমতা | ২৩,০০০ |
স্বত্ত্বাধিকারী | রাজস্থান রাজ্য ক্রীড়া সংসদ |
পরিচালক | রাজস্থান ক্রিকেট সংস্থা |
ভাড়াটে | রাজস্থান রয়্যালস (২০০৮-) |
আন্তর্জাতিক খেলার তথ্য |
১৯৮৭ পাকিস্তানের ভারত সফর - তৃতীয় টেস্টসম্পাদনা
সফরের তৃতীয় টেস্ট টি এখানে আয়োজিত হয়। এটি এখানে এখনো অব্দি আয়োজিত একমাত্র টেস্ট ম্যাচ। কপিল দেব এর নেতৃত্বে মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন ও রবি শাস্ত্রী শতরান করেন , জবাবে ইমরান খান এর নেতৃত্বে পাকিস্তানের রমিজ রাজা এখানে শতরান করেন। ম্যাচটি ড্র হয়।
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল মুহাম্মদ জিয়া-উল-হক তার "শান্তির জন্য ক্রিকেট" উদ্যোগের অংশ হিসেবে দ্বিতীয় দিনের খেলা দেখতে সীমান্ত পেরিয়ে এসেছিলেন।
একদিবসীয়সম্পাদনা
১৯৮৭ ক্রিকেট বিশ্বকাপসম্পাদনা
১৯৮৭ সালে বিশ্বকাপের ভেন্যু হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ইংল্যান্ড বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ গ্রুপ বি পর্বের ম্যাচটি আয়োজন করে।
১৯৯৬ ক্রিকেট বিশ্বকাপসম্পাদনা
১৯৯৬ সালে বিশ্বকাপের ভেন্যু হিসেবে ব্যবহৃত হয়। অস্ট্রেলিয়া বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ গ্রুপ এ পর্বের ম্যাচটি আয়োজন করে।
২০০৬ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিসম্পাদনা
২০০৬ সালে টুর্নামেন্টের ভেন্যু হিসেবে ব্যবহৃত হয়। একটি সেমি-ফাইনাল ম্যাচ, ভারত-এর একটি ম্যাচ সহ মূল পর্বের ৩টি ম্যাচ ও বাছাই পর্বের ২টি বাংলাদেশ ম্যাচ আয়োজন করে।
২০১০ সালে ভারতে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দল - দ্বিতীয় একদিবসীয়সম্পাদনা
গম্ভীরের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে ভারত ম্যাচটি জেতে। এস. শ্রীশান্ত ম্যাচে ৪টি উইকেট নেন। এটি ছিল তার উইকেট পাওয়া শেষ একদিবসীয় ম্যাচ , সামগ্রিকভাবে তৃতীয় শেষ একদিবসীয় ম্যাচ।
২০১৩-১৪ অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের ভারত সফর - দ্বিতীয় একদিবসীয়সম্পাদনা
এখানে সর্বশেষ আয়োজিত একদিবসীয় ম্যাচ। বিরাট কোহলির সেঞ্চুরি ওডিআইতে ভারতীয় ক্রিকেটারের দ্রুততম সেঞ্চুরি হিসেবে অভিহিত হয় ৫২ বলে ১০০। ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে এটি চতুর্থ সর্বোচ্চ রান তাড়া করে ম্যাচ জেতা (৩৬০)।
টি২০সম্পাদনা
২০১২ আইপিএলসম্পাদনা
লীগ পর্যায়ের ম্যাচে দিল্লি দলের তৎকালীন অধিনায়ক বীরেন্দ্র সেহবাগ মাত্র ২০ বলে অর্ধশত রান করেন যা এইমাঠের দ্রুততম।
অপর এক ম্যাচে ব্যাঙ্গালোরের এবি ডি ভিলিয়ার্স মাত্র ২১ বলে অর্ধশত রান করেন।
দুটি ম্যাচে স্থানীয় খেলোয়াড় পঙ্কজ সিং কে বাটসমেনরা মোট ১১ টি ৪-৬ হাঁকান।
২০১৯ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগসম্পাদনা
লীগ পর্যায়ের ম্যাচে স্বাগতিক রাজস্থান দলের অজিঙ্কা রাহানে দিল্লি দলের বিরুদ্ধে মাত্র ৫৮ বলে শতরান করেন যা এইমাঠের দ্রুততম।