সন্দীপনি

সন্দীপনি (সংস্কৃত: सान्दीपनि, আইএএসটি: Sāndīpani) হলেন হিন্দু দেবতা কৃষ্ণ ও বলরামের  গুরু।

সন্দীপনি
কৃষ্ণ সন্দীপনির পুত্রকে তাঁর কাছে ফিরিয়ে দেন।
অন্তর্ভুক্তি	ঋষি
গ্রন্থসমূহ	পুরাণ
অঞ্চল	অবন্তী

সন্দীপনি কৃষ্ণ ও বলরামকে সমস্ত বেদ, অঙ্কন শিল্প, জ্যোতির্বিদ্যা, গন্ধর্ববেদ, চিকিৎসাবিদ্যা, হাতি ও ঘোড়াদের প্রশিক্ষণ এবং তীরন্দাজ বিষয়ে শিক্ষা দিয়েছেন বলে মনে করা হয়।

কিংবদন্তি

ভাগবত পুরাণ সন্দীপনি সম্বন্ধে নিম্নোক্ত গল্পটি বর্ণনা করে:

“

সন্দীপনির আশ্রমে শিষ্য হিসেবে থাকাকালীন, ভাতৃদ্বয় কৃষ্ণ ও বলরাম এবং তাদের বন্ধু সুদামা প্রতিটি পাঠ আয়ত্ত করেছিলেন, যদিও প্রতিটিতে একবারই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তাদের দীক্ষাগ্রহণ দ্রুত শেষ হওয়ার পর, তারা তাদের গুরুকে তার নিজের পছন্দমত দক্ষিণা চাইতে বলেন। সন্দীপনি তার সন্তানের পুনরুদ্ধার চাইলেন, যে প্রভাসের সমুদ্রে নিখোঁজ হয়েছিল। দুই ভাই প্রভাসে গিয়ে দেখেন যে ছেলেকে শঙ্খসুর নামক এক দানব ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। কৃষ্ণ তার পুত্রকে উদ্ধার করেন এবং তারা তাকে তাদের গুরুর কাছে ফিরিয়ে দেন।

”

হরিবংশ পুরাণ বর্ণনায়, কৃষ্ণ জানতে পেরেছিলেন যে সন্দীপনির পুত্রকে পাঞ্চজন নামক এক অসুর গ্রাস করেছে এবং সেভাবে তার মৃত্যু ঘটেছে। কৃষ্ণ এবং তার ভাই যমলোকে তাদের গুরুপুত্রকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য যমকে রাজি করাতে যান এবং সফল হন:

“

এরপর তিনি যমালয় থেকে দীর্ঘকাল আগে হারিয়ে যাওয়া তাঁর গুরুপুত্রকে নিয়ে আসেন। অসীম ক্ষমতাবান কৃষ্ণের অদ্বিতীয় শক্তিতে সন্দীপনীর পুত্র, যে অনেক আগেই মৃত, তার শারীরিক রূপে ফিরে আসে। সবার পক্ষে অভাবনীয় এবং অসাধ্য এই অত্যন্ত বিস্ময়কর কীর্তিটি দেখে সমস্ত প্রাণী বিস্ময়ে পরিপূর্ণ হয়ে গিয়েছিল। তাঁর গুরুর পুত্র, পঞ্চজন্য এবং বিভিন্ন মূল্যবান রত্ন নিয়ে বিশ্বজগতের প্রভু মাধব ফিরে আসেন।

”

গ্যালারি

• 
  কৃষ্ণ এবং বলরাম ব্রাহ্মণ সন্দীপনির কাছে দীক্ষা নিচ্ছেন (ভাগবত পুরাণ, ১৫২৫-১৫৫০ খ্রিস্টাব্দের মুদ্রণ)। তাদের গুরু সন্দীপনির সামনে নীলবর্ণের কৃষ্ণ বলরামের পাশে উপবিষ্ট, উভয়ের মাথায়ই ময়ূরের পালক। অন্য দুই ছাত্রকেও বামে দেখা যাচ্ছে।
• 
  কৃষ্ণ পবিত্র সূত্র গ্রহণ করেন এবং ভাগবত পুরাণ (প্রভুর পৌরাণিক আখ্যান) থেকে তার গুরু সন্দীপনীর পুত্রকে তার কাছে ফিরিয়ে দেন। ভারত, মধ্যপ্রদেশ, মালওয়া, আনুমানিক ১৬৪০ খ্রিস্টাব্দ

বহিঃসংযোগ

• সন্দীপনি সংক্রান্ত প্রধান উদ্ধৃতি যা ভাগবত পুরাণে আছে