সদরপুর ইউনিয়ন, সদরপুর
সদরপুর ইউনিয়ন বাংলদেশের ঢাকা বিভাগের ফরিদপুর জেলার সদরপুর উপজেলার একটি ইউনিয়ন।[১][২]
সদরপুর | |
---|---|
ইউনিয়ন | |
সদরপুর ইউনিয়ন পরিষদ | |
বাংলাদেশে সদরপুর ইউনিয়ন, সদরপুরের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°২৮′৩৩″ উত্তর ৯০°২′৫″ পূর্ব / ২৩.৪৭৫৮৩° উত্তর ৯০.০৩৪৭২° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | ঢাকা বিভাগ |
জেলা | ফরিদপুর জেলা |
উপজেলা | সদরপুর উপজেলা |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
অবস্থান ও সীমানা
সম্পাদনাঅত্র উপজেলার উত্তর-পশ্চিমে ফরিদপুর জেলার চরভদ্রাসন উপজেলা এবং উত্তরে ঢাকা জেলার দোহার উপজেলা, দক্ষিণে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলা, পূর্বে মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলা এবং পশ্চিমে ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী থানা এবং নগরকান্দা উপজেলা অবস্থিত।
ইতিহাস
সম্পাদনাসদরপুর নাম করনের তেমন কোন নির্ভরযোগ্য সূত্র পাওয়া যায়নি। তবে লোক মুখে জানা যায় যে, স্থানীয় বাইশ রশি জমিদারদের যাতায়াতের জন্য বর্তমান থানার উত্তর পার্শ্বে ভূবনেশ্বর নদীতে তৎকালে বড় বড় পানশী নৌকা রাখিত এবং যখনই এই স্থানে আসার প্রয়োজন হইত তখনই ‘‘সদর’’ কথাটি ব্যবহার করিত। এ থেকেই স্থানটির নাম করন সদরপুর হয়। সদরপুরের বিভিন্ন গ্রামের নামের শেষে রশি শব্দের প্রয়োগ দেখা যায়। মোগল আমলে রশির মাপে(১০০ হাত)জায়গা জমির পত্তন দেয়া হত বলে রশি শব্দযোগে এলাকার নাম হয়েছে। এর থেকে মোগল যুগে এই এলাকার গুরত্বপূর্ণ অবস্থানের একটা ধারণা পাওয়া যায়। আনন্দ নাথ রায়ের ফরিদপুরের ইতিহাস গ্রন্থে সদরপুরের যে উল্লেখ পাওয়া যায় সেখানে সদরপুরের কিছু এলাকা ফরিদপুর স্টেশন(গোপালপুর, কৃষ্ণপুর প্রভৃতি এলাকা), কিছু এলাকা থানা নগরকান্দা (নয়াগ্রাম,যাত্রাবাড়ী, ঠেঙ্গামারী প্রভৃতি),কিছু এলাকা ভাঙ্গা থানা(সাড়ে সাতরশি, চরব্রাহ্মন্দী, দশহাজার,শ্যামপুর, সদরপুর প্রভৃতি) এর অধীন ছিল। পরবর্তীকালে এই এলাকাগুলো একত্রিত করে সদরপুর সার্কেলের যাত্রা শুরু হয়। পাকিস্তানে আমলে সদরপুরে উন্নয়ন সার্কেলের অফিস ছিল বাইশ রশি জমিদার বাড়ীতে। ১৯৭৬ সালের ১৬ মার্চ অফিস বাইশ রশি জমিদার বাড়ী হতে থানা প্রশিক্ষণকেন্দ্র(T.T. & D.C) তে স্থানান্তর করা হয়। সেসময় সার্কেল অফিসার(উন্নয়ন) হিসেবে কর্মরত ছিলেন আনন্দ চন্দ্র রায়। ৭ নভেম্বর ১৯৮২ সালে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক লে: জে: হোসেইন মোহাম্মদ এরশাদ কর্তৃক সদরপুরকে আপগ্রেড থানা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। প্রথম থানা নির্বাহী অফিসার ছিলেন জনাব মো: আ: ছালাম। ১৯৮৪ সালে সদরপুরকে উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
প্রশাসনিক এলাকা
সম্পাদনাউপজেলা হচ্ছে বাংলাদেশের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ একক। কয়েকটি গ্রাম বা ইউনিয়ন মিলে একটি উপজেলা গঠিত হয় এবং কয়েকটি উপজেলা নিয়ে একটি জেলা গঠিত হয়। বর্তমানে বাংলাদেশের ৭টি বিভাগের অন্তর্গত ৬৪টি জেলায় মোট ৪৮৫টি উপজেলা রয়েছে।সদপপুরের উপজেলা প্রশাসনের তেমন কোন লিখিত ইতিহাস পাওয়া যায় না। তবে জনশ্রুতি এবং প্রবীণ লোকদের বিবরণ থেকে জানা যায় যে, পাকিস্তানে আমলে সদরপুরে উন্নয়ন সার্কেল অফিস ছিল। বাইশ রশি জমিদার বাড়ীতে এর কার্যালয় ছিল। ১৯৭৬ সালের ১৬ মার্চ অফিস বাইশ রশি জমিদার বাড়ী হতে থানা প্রশিক্ষণকেন্দ্র(T.T. & D.C) তে স্থানান্তর করা হয়। ৭ নভেম্বর ১৯৮২ সালে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক লে: জে: হোসেইন মোহাম্মদ এরশাদ কর্তৃক সদরপুরকে আপগ্রেড থানা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ১৯৮৪ সালে সদরপুরকে উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এ সময়ে বাংলাদেশের প্রায় সমস্ত উপজেলাকে পূর্ণাঙ্গ প্রশাসনিক কেন্দ্রে রূপ দেয়া হয়। এই অধ্যাদেশটি ১৯৯১ সালে বাতিল করা হয়। পরবর্তীকালে ১৯৯৮ সালে জাতীয় সংসদে উপজেলা অধ্যাদেশ ১৯৯৮ পাস করে পুনরায় উপজেলা ব্যবস্থা প্রণয়ন করা হয়। কার্যালয় আদেশের মাধ্যমে ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৮ থেকে এই অধ্যাদেশ কার্যকরী হয়।উপজেলা পরিষদ একটি উপজেলার প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকে। উপজেলা প্রশাসনের কার্যক্রমঃ উপজেলা পর্যায়ের সমস্ত কার্যাবলীকে মূলতঃ সংরক্ষিত ও হস্তান্তরিত এই দুইভাগে ভাগ করা হয়। সংরক্ষিত দায়িত্বের মধ্যে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা, দেওয়ানী ও ফৌজদারী বিচার, রাজস্ব প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ, প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সরবরাহ, বৃহৎ শিল্প, খনন কার্য এবং খনিজ সম্পদের উন্নয়ন ইত্যাদি দায়িত্ব অন্যতম।অন্যদিকে হস্তান্তরিত দায়িত্বের মধ্যে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ও উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, আন্তঃ উপজেলা সড়ক নির্মাণ ও সংরক্ষণ, কৃষি সম্প্রসারণ ও কৃষি উপকরণ সরবরাহ ও সেচ ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ, বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ নিশ্চিতকরণ ও পয়ঃ নিষ্কাশন ব্যবস্থা প্রণয়ন ইত্যাদি কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত।
আয়তন ও জনসংখ্যা
সম্পাদনাআয়তন ২৯০ বর্গ কিলোমিটার
জনসংখ্যা ১,৮৮,৭৫৭ জন (প্রায়) পুরুষ ৯৪,৯৮২ জন (প্রায়) মহিলা ৯৩,৭৭৫ জন (প্রায়)
লোক সংখ্যার ঘনত্ব ৬৫০ জন (প্রতি বর্গ কিলোমিটারে)
মোট ভোটার সংখ্যা ১,০৮,৯৭৫ জন
পুরুষভোটার সংখ্যা ৫২,৪৮১ জন মহিলা ভোটার সংখ্যা ৯৩,৭৭৫ জন
শিক্ষা
সম্পাদনাশিক্ষার হার :
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
মাদরাসা
১.বিশ্ব জাকের মঞ্জিল কামিল মাদরাসা
২.চন্দ্রপাড়া সুলতানীয়া ফাজিল মাদরাসা
৩.চর বন্দরখোলা দাখিল মাদরাসা
কলেজ
১. সদরপুর ডিগ্রি কলেজ
২. সদরপুর মহিলা কলেজ
হাই স্কুল
1.বিশ্ব জাকের মঞ্জিল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়
2.কৃষ্ণপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়
3.বাইশরশি শিব সুন্দরী একাডেমী
4.বাবুরচর উচ্চ বিদ্যালয়
5.বিষ্ণুপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়
6.লোহারটেক উচ্চ বিদ্যালয়
7.আকোটের চর এস.সি.উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ
8.৩৩ নং ডিক্রির চর উচ্চ বিদ্যালয়
9.শৌলডুবী উচ্চ বিদ্যালয়
10.চর চাঁদপুর উচ্চ বিদ্যালয়
11.চন্দ্রপাড়া সুলতানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়
12.নয়া ডাংগী উচ্চ বিদ্যালয়
13.মোলামের ডাংগী উচ্চ বিদ্যালয়
14.মোলামের ডাংগী উচ্চ বিদ্যালয়
15.পূবকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়
16.বেগম কাজী জেবুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
17.আমিরাবাদ ফজলুল হক পাইলট ইন্সটিটিউট
18.চরব্রাহ্মন্দী উচ্চ বিদ্যালয়
19.চর নাছিরপুর উচ্চ বিদ্যালয়
20.ঢেউখালী উচ্চ বিদ্যালয়
প্রাথমিক বিদ্যালয়
1.বাবুরচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়
2.চর অর্জন পট্টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।
3.সদরপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
4.দশহাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
5.কাচি কাটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়
6.মুলামের টেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
দর্শনীয় স্থান
সম্পাদনা১.আটরশি (বিশ্ব জাকের মঞ্জিল) দরবার শরীফ ২.চন্দ্রপাড়া সুলতানীয়া দরবার শরীফ ৩.বাইশরশি জমিদার বাড়ি
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "সদরপুর ইউনিয়ন"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ২৫ মে ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০২০।
- ↑ "সদরপুর উপজেলা"। বাংলাপিডিয়া। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। ২০ এপ্রিল ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০২০।
বাংলাদেশের ইউনিয়ন বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |