শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর চট্টগ্রামে অবস্থিত বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানবন্দর। এই বিমানবন্দর দেশের প্রায় ২১ শতাংশ যাত্রী ব্যবহার করে। [২] বাংলাদেশ বিমানবাহিনী এটিকে বিএএফ জহুরুল হক ঘাটির অংশ হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। পূর্বে বিমানবন্দরটি আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ এম. এ. হান্নান এর নামে এমএ হান্নান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নামকরণ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে, ২ এপ্রিল ২০০৫ সালে বাংলাদেশ সরকার এটিকে ১৮ শতাব্দীর দরবেশ শাহ আমানত এর নামে নামকরণ করেন। বিমানবন্দরটি বার্ষিক ১.৫ মিলিয়ন যাত্রী ও ৬ হাজার টন কার্গো মালামাল বহন করতে সক্ষম।[৩] এছাড়াও, এটি দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক দেশের বৃহত্তম পাইলট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আরিরাং ফ্লাইং স্কুলের ঘাটি হিসেবেও ব্যবহার হয়। [৪]
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর | |||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
![]() শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর | |||||||||||
সংক্ষিপ্ত বিবরণ | |||||||||||
বিমানবন্দরের ধরন | সরকারী | ||||||||||
মালিক | বাংলাদেশ সরকার | ||||||||||
পরিচালক | বাংলাদেশের সিভিল এভিয়েশন অথরিটি | ||||||||||
সেবা দেয় | চট্টগ্রাম | ||||||||||
অবস্থান | পতেঙ্গা | ||||||||||
যে হাবের জন্য | বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স নভোএয়ার | ||||||||||
এএমএসএল উচ্চতা | ১২ ফুট / ৪ মিটার | ||||||||||
স্থানাঙ্ক | ২২°১৪′৫৯″ উত্তর ৯১°৪৮′৪৮″ পূর্ব / ২২.২৪৯৭২° উত্তর ৯১.৮১৩৩৩° পূর্ব | ||||||||||
ওয়েবসাইট | ওয়েবসাইট | ||||||||||
রানওয়ে | |||||||||||
| |||||||||||
পরিসংখ্যান (জানুয়ারী ২০১৮- ডিসেম্বর ২০১৮) | |||||||||||
| |||||||||||
উৎস:[১] |
অবস্থানসম্পাদনা
এই বিমানবন্দরটি চট্টগ্রাম শহরের জিইসির মোড় থেকে ২০ কিলোমিটার এবং চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে ১৮.৫ কিলোমিটার দূরে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীর তীরে অবস্থিত।
ইতিহাসসম্পাদনা
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ১৯৪০ এর দশকে ব্রিটিশ শাসনামলে নির্মিত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এটা চট্টগ্রাম এয়ারফিল্ড নামে পরিচিত ছিল। পূর্বে বিমানবন্দরটি এমএ হান্নান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নামে নামকরণ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে, ২ এপ্রিল ২০০৫ সালে বাংলাদেশ সরকার এটিকে ১৮ শতাব্দীর দরবেশ শাহ আমানত এর নামে নামকরণ করেন। ২০১৩ সালের নভেম্বর মাসে এটিকে আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা (আইকাও) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের স্বীকৃতি দেয়।[৫]
নির্ধারিত গন্তব্যসূচীসম্পাদনা
যাত্রীবাহী বিমানসম্পাদনা
বিমান সংস্থা | গন্তব্যস্থল |
---|---|
এয়ার আরাবিয়া | শারজাহ, আবুধাবী |
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স | আবুধাবি, ঢাকা, সিলেট, কক্সবাজার, সৈয়দপুর, দুবাই, জেদ্দা, মাস্কাট |
ফ্লাই দুবাই | দুবাই |
ওমান এয়ার | মাস্কাট |
নভোএয়ার | ঢাকা |
আর এ কে এয়ার | রাস আল খাইমাহ |
এয়ার অ্যাস্ট্রা | ঢাকা |
ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স | ঢাকা, সিলেট, সৈয়দপুর, কলকাতা, মাস্কাট |
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ "Bangladesh Air Traffic Movement: Passenger: Aerodrome: Chittagong"। সংগ্রহের তারিখ ১০ জানুয়ারি ২০২০।
- ↑ "এরো-ডাটা"। ৬ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জানুয়ারি ২০১৩।
- ↑ "SAIA needs proper facilities to harness it's [sic] potential & to get out of trouble"। Bangladesh Monitor। ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ জানুয়ারি ২০১৪।
- ↑ "Arirang launches flying school"। The Daily Star। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০২১।
- ↑ "চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর"। দৈনিক কালের কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০২১।