শবর দাশগুপ্ত

বাংলা গোয়েন্দা চরিত্র

শবর দাশগুপ্ত বাঙালি সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় সৃষ্ট একটি কাল্পনিক গোয়েন্দা চরিত্র। তার ঋণ উপন্যাসে প্রথম এই পুলিশ গোয়েন্দার আবির্ভাব হয়। অরিন্দম শীলের পরিচালনায় শবরকে নিয়ে এপর্যন্ত চারটি চলচ্চিত্র হয়েছে: এবার শবর (২০১৫), ঈগলের চোখ (২০১৬), আসছে আবার শবর (২০১৮),[] তীরন্দাজ শবর (২০২২)। চারটি চলচ্চিত্রই দর্শক-সমালোচকদের কাছে সমাদৃত হয়েছে।

শবর দাশগুপ্ত
চলচ্চিত্রে শবর চরিত্রে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়
প্রথম উপস্থিতিঋণ
শেষ উপস্থিতি আমাকে বিয়ে করবেন ?
স্রষ্টাশীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
চরিত্রায়ণশাশ্বত চট্টোপাধ্যায়
উচ্চতাপ্রায় সাড়ে ৫ ফুট
লিঙ্গপুরুষ
পদবিদাশগুপ্ত
পেশাপুলিশ গোয়েন্দা
ধর্মহিন্দু ধর্ম
জাতীয়তাভারতীয়

চরিত্র বৈশিষ্ট্য

সম্পাদনা

শবর কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা কর্মকর্তা, লালবাজারে অফিস হওয়ায় তাকে 'লালবাজারের গোয়েন্দা'ও বলা হয়। মাঝারি উচ্চতার হলেও সে প্রবল শক্তিশালী এবং ভয়ডরহীন। পুলিশের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, যেমন অস্ত্রচালনা বা নিরস্ত্র যুদ্ধের দক্ষতা তার আছে। সরকারি গোয়েন্দা হওয়ায় বিভিন্ন সূত্র ও মাধ্যমে সহজে সে অনুসন্ধান করতে ও তথ্য-উপাত্ত (সুরতহাল প্রতিবেদন, অপরাধীদের খোঁজখবর) পেতে পারে। সে মূলত পুলিশী তদন্ত ও জেরার মাধ্যমে অপরাধীদেরকে আটকে দেয়। উল্লেখ্য শবর কাহিনীগুলোতে ন্যারেটিভ বা কাহিনীবর্ণনার চেয়ে সংলাপ বেশি থাকে এবং কখনোবা পুরো গল্পই সংলাপ-নির্ভর হয়। অনেক সময় তার সহকারী হিসেবে থাকে নন্দ, গল্পে জানা যায় সে জগবন্ধু ইনস্টিটিউশনের বাংলা মাধ্যমে শিক্ষিত ও ইংরেজিতে কাঁচা।

শবর যখন জেরা করে তখন সেটাকে জেরা বলে মনে হয় না। খুব বন্ধুর মতোই কথা বলে সে, সহানুভূতির সঙ্গে, কিন্তু আলাপচারিতার ভিতর দিয়েই একটু একটু সত্যের প্রকাশ ঘটে।

— শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, রহস্য সমগ্র (ভূমিকা)[]

ব্যক্তিজীবনে শবর অবিবাহিত, মদ খায় না, ধূমপান করে না। লেখকের মতে বাইরে শবরের "পাথুরে চরিত্র, নির্বিকার হাবভাব এবং আবেগহীন আচরণ" দেখা গেলেও ভেতরে সে একজন সংবেদনশীল মানুষ। লেখক "ইচ্ছে করেই তাকে সব ধরনের মানুষী দুর্বলতা থেকে মুক্ত" রেখেছেন।[]

প্রকাশনা

সম্পাদনা

শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় আনন্দবাজারের শারদীয় সংখ্যায় লেখার অনুরোধ শবর চরিত্রটি সৃষ্টি করেন। প্রথম শবর উপন্যাস ঋণ গ্রন্থাকারে বের করে আনন্দ পাবলিশার্স ১৯৯৫ সালে। পরের কয়েকটি শবর কাহিনীও তারা প্রকাশ করে, কিছু বেরোয় বিভিন্ন সাহিত্য সাময়িকীতে। আনন্দ পাবলিশার্স পরবর্তীতে শীর্ষেন্দুর অন্য দুয়েকটি রহস্যকাহিনী এবং শবরের কাহিনীগুলো একত্রে রহস্য সমগ্র শিরোনামে গ্রন্থিত করে। এতে অন্তর্ভুক্ত শবর কাহিনীগুলো হলো: