লালবাজার
লালবাজার মধ্য কলকাতার বিবাদীবাগ সংলগ্ন একটি অঞ্চল। এটি শহরের কেন্দ্রীয় বাণিজ্য অঞ্চলের সঙ্গে সংযুক্ত। কলকাতা পুলিশের সদর কার্যালয় এখানে (১৮, লালবাজার স্ট্রিট) অবস্থিত এবং এই কার্যালয়টি লোকমুখে লালবাজার নামেই পরিচিত।
লালবাজার | |
---|---|
কলকাতার একটি অঞ্চল | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | পশ্চিমবঙ্গ |
শহর | কলকাতা |
জেলা | কলকাতা |
মেট্রো স্টেশন | সেন্ট্রাল and মহাকরণ (নির্মানাধীন) |
পৌরসভা | কলকাতা পৌরসংস্থা |
কলকাতা পৌরসংস্থা ওয়ার্ড | ৪৫, ৪৬ |
উচ্চতা | ১১ মিটার (৩৬ ফুট) |
জনসংখ্যা | |
• মোট | For population see linked KMC ward pages |
সময় অঞ্চল | ভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+০৫:৩০) |
ডাক সূচক সংখ্যা | ৭০০ ০০১ |
এলাকা কোড | +৯১ ৩৩ |
লোকসভা কেন্দ্র | কলকাতা উত্তর |
বিধানসভা কেন্দ্র | চৌরঙ্গী |
ইতিহাস
সম্পাদনাবিবাদীবাগের উত্তর-পূর্ব কোণ থেকে বউবাজার পর্যন্ত প্রসারিত রাস্তাটি পূর্বে ‘অ্যাভিনিউ টু দি ইস্টওয়ার্ড’ (‘Avenue to the eastward’) বা ‘পূর্বদিকের পথ’ নামে অভিহিত হত। এই রাস্তাটির অন্য নাম ছিল গ্রেট বাংলো রোড। বর্তমান পুলিশ কার্যালয়টি আদতে ছিল কলকাতার বিশিষ্ট ধনী ব্যবসায়ী জন পামার (John Palmer)-এর বাসভবন। কথিত আছে তারও পূর্বে এটি ছিল ‘একটি পুরনো বসতবাটীর ধ্বংসাবশেষ, কোনো কৃষ্ণাঙ্গ স্থানীয় বাসিন্দার বাড়ি’ (‘an old ruin of a house, formerly the residence of some black native’)। এর পাশেই ছিল সেযুগের সর্বাপেক্ষা সুন্দর বাড়ি হারমোনিক ট্যাভার্ন। যদিও অনেক কাল আগেই এই বাড়িটি ভেঙে ফেলা হয়।[১] আদি কলকাতায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শাস্তি হিসেবে ফাঁসিতে ঝোলানো হত। তাই লালবাজার ও চিৎপুর রোডের (বর্তমান রবীন্দ্র সরণি) সংযোগস্থলে সেযুগে একটি ফাঁসির মঞ্চও ছিল।[২] ১৭৬৮ সালে এই রাস্তাটিকে উল্লেখ করা হয়েছিল কলকাতার শ্রেষ্ঠ রাস্তা বলে।[১] লালবাজারের বর্তমান পুলিশ সদর কার্যালয়টি নির্মিত হয় ১৯১৯ সালে।[২]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ Cotton, H.E.A., Calcutta Old and New, 1909/1980, p. 275-276, General Printers and Publishers Pvt. Ltd.
- ↑ ক খ Sidney Kitson, Calcutta Police, from the Crown to Ashok Pillar,in Calcutta, the Living City, Vol. I, edited by Sukanta Chaudhuri, p. 243-245, Oxford University Press, আইএসবিএন ৯৭৮-০-১৯-৫৬৩৬৯৬-৩