রাস্তি শাহ
রাস্তি শাহ হলেন বাংলাদেশের চাঁদপুর এলাকার একজন ইসলাম প্রচারক ব্যক্তিত্ত্ব। তার নামানুসারেই শাহরাস্তি উপজেলার নামকরণ করা হয়েছে।
হযরত রাস্তি শাহ | |
---|---|
উপাধি | চাঁদপুরের পীর সাহেব |
জন্ম | ১২৩৮ খ্রিষ্টাব্দ বাগদাদ, ইরাক |
মৃত্যু | ১৩৮৮ খ্রিস্টাব্দ শ্রীপুর, শাহরাস্তি, চাঁদপুর, বাংলাদেশ |
মৃত্যুর কারণ | বার্ধক্য |
সমাধি স্থান | শ্রীপুর, শাহরাস্তি |
জাতিভুক্ত | বাংলাদেশী |
অঞ্চল | শাহরাস্তি, চাটখিল, রামগঞ্জ |
মাজহাব | হানাফী |
শাখা | ইসলাম |
মূল আগ্রহ | ইসলাম প্রচার |
উল্লেখযোগ্য ধারণা | সুন্নী |
জন্ম ও পারিবারিক পরিচিতি
সম্পাদনামাজারে রক্ষিত একটি বোর্ড থেকে জানা গেছে
“ | -রাস্তি শাহ-এর জন্ম ১২৩৮ সালে ইরাকের বাগদাদে। তিনি ছিলেন বড়পীর খ্যাত আবদুল কাদের জিলানীর ও রায্যাক্ব আলী গিলানীর আত্মীয়; তার পিতা ছিলেন বড়পীরের ভাগ্নে। | ” |
বাংলাদেশে আগমন
সম্পাদনা১৩৫১ সালে দিল্লীর সুলতান ফিরোজ শাহ এবং বাংলার সুবেদার ফখরুদ্দিন মোবারক শাহের আমলে শাহজালাল যেই ১২ জন ইসলাম ধর্ম প্রচারককে সঙ্গে নিয়ে এদেশে আসেন রাস্তি শাহ্ তাদের অন্যতম। ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে তিনি ৭৩৮ বঙ্গাব্দে প্রথম ইয়েমেন আসেন, সেখান থেকে পরবর্তীতে এদেশে আসেন; ইয়েমেন হতে এদেশে আসেন বলে অনেকে তাকে ইয়েমেন বংশোদ্ভূত বলেও মনে করেন। এদেশে আসার সময় তার অন্যতম সহচর ছিলেন তার কনিষ্ঠ ভ্রাতা শাহ মাহবুব। রাস্তি শাহের অন্যতম সহচর সৈয়দ আহমেদ তানভীও ১৩৫১ সালে এদেশে আসেন।[১]
মৃত্যু
সম্পাদনাতিনি ১৩৮৮ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
মাজার
সম্পাদনাচাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলাধীন শ্রীপুর গ্রামে হযরত রাস্তি শাহ্ (রহ.)-এর মাজার অবস্থিত।
মাজার সংলগ্ন একটি অতি প্রাচীন তিন গম্বুজ মসজিদ রয়েছে। রাস্তি শাহের মৃত্যুর সাড়ে তিনশ’ বছর পর সুবেদার শায়েস্তা খানের কন্যা পরী বিবির আদেশে কাজী গোলাম রসুল এটি নির্মাণ করেন। সম্রাটফিরোজ শাহ তুঘলক (১৩৫১-১৩৮৮)-এর আমলে মাজারের ব্যয় নির্বাহ করার জন্য সরকার ৬৪ একর সম্পত্তি লাখেরাজ দান করেন; যা শ্রীপুরে তার বংশধরগণ বংশ পরম্পরায় দেখাশুনা করে আসছেন। মাজার রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্যে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী বার্ষিক দু’শ’ দশ টাকা হারে অনুদান (ভাতা) দিতো; তবে পরবর্তীতে কুমিল্লার ডিএম (ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট) হেনরী মেডকাফের সাথে রাস্তি শাহের উত্তরসুরি গোলাম রেজার বিরোধ সৃষ্টি হলে তা বন্ধ হয়ে যায় এবং পরবর্তীতে তা মীমাংসা হলে তখন থেকে অদ্যাবধি তার বংশধরগণ সরকার থেকে দু’শ দশ টাকা হারে বার্ষিক ভাতা পান।
প্রতি বছর মাঘ মাসের শেষ বৃহস্পতিবার এখানে বার্ষিক সম্মেলন (ওরস) অনুষ্ঠিত হয়; যাতে দেশ-বিদেশ হতে প্রচুর লোক সমাগম ঘটে।[১]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ "হযরত শাহরাস্তি এর মাজার শরীফ"। chandpur.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৫।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
আরও দেখুন
সম্পাদনাএই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |