রাজিন্দ্র ধনরাজ

ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার

রাজিন্দ্র ধনরাজ (ইংরেজি: Rajindra Dhanraj; জন্ম: ৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯) ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর ব্যারাকপুর এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।[১][২][৩]

রাজিন্দ্র ধনরাজ
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামরাজিন্দ্র ধনরাজ
জন্ম (1969-02-06) ৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ (বয়স ৫৫)
ব্যারাকপুর, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনলেগ-ব্রেক
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ২০৭)
১৮ নভেম্বর ১৯৯৪ বনাম ভারত
শেষ টেস্ট২৭ এপ্রিল ১৯৯৬ বনাম নিউজিল্যান্ড
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ৭১)
২৬ অক্টোবর ১৯৯৪ বনাম নিউজিল্যান্ড
শেষ ওডিআই২৯ জানুয়ারি ১৯৯৫ বনাম নিউজিল্যান্ড
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৮৭ - ২০০১ত্রিনিদাদ ও টোবাগো
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ৭৮ ৪৪
রানের সংখ্যা ১৭ ৫৫০ ৯৮
ব্যাটিং গড় ৪.২৫ ৮.০০ ৮.৪৬ ৭.৫৩
১০০/৫০ ০/০ ০/০ ০/০ ০/০
সর্বোচ্চ রান ৪৭ ১৭*
বল করেছে ১,০৮৭ ২৬৪ ১৬,১৮৩ ১,৮৭৪
উইকেট ১০ ২৯৫ ৭৯
বোলিং গড় ৭৪.৩৭ ১৭.০০ ২৭.১০ ১৫.৮৩
ইনিংসে ৫ উইকেট ১৬
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ২/৪৯ ৪/২৬ ৯/৯৭ ৫/২৬
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১/– ১/– ২৯/– ৯/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২০

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে ত্রিনিদাদ ও টোবাগো দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ লেগ-ব্রেক বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন তিনি।

খেলোয়াড়ী জীবন সম্পাদনা

১৯৮৭-৮৮ মৌসুম থেকে ২০০০-০১ মৌসুম পর্যন্ত রাজিন্দ্র ধনরাজের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ত্রিনিদাদ ও টোবাগো দলের সদস্যরূপে বেশ সফলতার সাথে খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছিলেন তিনি।

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে চারটিমাত্র টেস্ট ও ছয়টিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন রাজিন্দ্র ধনরাজ। ১৮ নভেম্বর, ১৯৯৪ তারিখে মুম্বইয়ে স্বাগতিক ভারত দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২৭ এপ্রিল, ১৯৯৬ তারিখে সেন্ট জোন্সে সফরকারী নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

বোম্বেতে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে রাজিন্দ্র ধনরাজের। ১৯৭৭ সালে ডেভিড হলফোর্ডের পর তিনিই ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম লেগ-স্পিনারের মর্যাদাপ্রাপ্ত হন। উইকেট-রক্ষক জেফ ডুজন মন্তব্য করেছিলেন যে, তিনি ভারতীয়দের জন্যে কামানের গোলা হিসেবে আবির্ভূত হবেন। তবে, খেলায় তিনি দুইটিমাত্র উইকেটের সন্ধান পান। তবে, প্রতিপক্ষের সমীহের কারণ হয়ে দাঁড়ান।

ঐ মৌসুমের শেষদিকে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নিজস্ব দ্বিতীয় টেস্টে চার উইকেট লাভ করেন। কিন্তু, ১৯৯৫ সালে ইংল্যান্ড সফরে তিনি একেবারেই ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছিলেন। নটিংহামে তার বোলিংয়ের ধার কমে যায় ও ০/১৯১ পান। এরপর তাকে আর একটিমাত্র সুযোগ দেয়া হয়। অ্যান্টিগুয়ায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২/১৬৫ পান।

ব্যাটিংয়ে মোটেই সুবিধের ছিলেন না ও ১১ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামতেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে উপেক্ষিত হলেও ঘরোয়া পর্যায়ে ত্রিনিদাদের পক্ষে দূর্দান্ত খেলা চালিয়ে যেতে থাকেন।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. List of West Indies Test Cricketers
  2. "West Indies – Test Batting Averages"। ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ 
  3. "West Indies – Test Bowling Averages"। ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ 

আরও দেখুন সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা