রসময় দত্ত

বাংলা নবজাগরনের ব্যক্তিত্ব

রসময় দত্ত (১৭৭৯ - ১৪ মে, ১৮৫৪) ছিলেন একজন বাঙালি শিক্ষাবিদ, ভাষাবিদ পণ্ডিত ও সমাজসেবী। তিনি হিন্দু স্কুলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। বিখ্যাত মহিলা কবি তরু দত্ত তার পৌত্রী।

প্রারম্ভিক জীবনসম্পাদনা

রসময় দত্ত উত্তর কলকাতার রামবাগানে বিখ্যাত দত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ছিল নীলমনি দত্ত। রসময় সংস্কৃত ছাড়াও আরবি ফারসি ও ইংরেজি ভাষায় পণ্ডিত ছিলেন। প্রথম জীবনে কেরানীর কাজ করলেও পরে ছোট আদালতের বিচারক হন।[১][২]

কৃতিত্বসম্পাদনা

রসময় দত্ত ইংরেজি শিক্ষা আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ ছিলেন। হিন্দু কলেজহিন্দু স্কুল প্রতিষ্ঠায় তার উদ্যোগে ছিল। কাউন্সিল অফ এডুকেশন, সংস্কৃত কলেজের সম্পাদক ও এশিয়াটিক সোসাইটি (কলকাতা)র নির্বাচিত সদস্য ছিলেন তিনি। যদিও বিদ্যাসাগরের সঙ্গে তার মতবিরোধ হয়। ১৮৪৭ সালের জুলাই মাসে বিদ্যাসাগর ইস্তফা দিলেন সংস্কৃত কলেজের চাকরি থেকে পরে ১৮৫০ সালে বিদ্যাসাগর পূনর্বহাল হলে রসময় দায়িত্বভার বুঝিয়ে দিয়ে পদত্যাগ করেন।[৩] কলকাতা স্কুল বুক সোসাইটির ব্যবস্থাপক সদস্য হিসেবে দুস্থ ছাত্রদের শিক্ষা বিস্তারে তার অবদান ছিল। তিনি রাজনীতির বিরোধী ছিলেন, তার চেষ্টায় গৌড়ীয় সমাজে রাজনীতির চর্চা বন্ধ হয়। কলিকাতার মধ্যে ইউরোপিয়ানদের উত্তরাধিকার, জুরী দ্বারা বিচার ব্যবস্থার দাবিতে আন্দোলন করেন। ডেভিড হেয়ার, দ্বারকানাথ ঠাকুর, রসিককৃষ্ণ মল্লিকের সাথে সংবাদপত্র নিরোধক আইনের বিরোধীতা, গনতান্ত্রিক মতপ্রকাশের দাবীতে সরব হয়েছেন তিনি।[২][৪]

তথ্যসূত্রসম্পাদনা

  1. দ্বিতীয় খণ্ড। "পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা"। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭ 
  2. প্রথম খন্ড, সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু (২০০২)। সংসদ বাঙ্গালি চরিতাভিধান। কলকাতা: সাহিত্য সংসদ। পৃষ্ঠা ৪৬১। আইএসবিএন 81-85626-65-0 
  3. গৌতম বসুমল্লিক। "কলেজ স্ট্রিট পরিক্রমা (পঞ্চদশ পর্ব)"। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭ 
  4. "সংবাদপত্রের একাল সেকাল"। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭