রশিদ খান (পাকিস্তানি ক্রিকেটার)

পাকিস্তানী ক্রিকেটার
(রশীদ খান (পাকিস্তানী ক্রিকেটার) থেকে পুনর্নির্দেশিত)

রশিদ খান (উর্দু: راشد خان‎‎; জন্ম: ১৫ ডিসেম্বর, ১৯৫৯) সিন্ধু প্রদেশের করাচি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক পাকিস্তানি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও কোচ। পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮০ থেকে ১৯৮৫ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

রশিদ খান
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামরশিদ খান
জন্ম (1959-12-15) ১৫ ডিসেম্বর ১৯৫৯ (বয়স ৬৪)
করাচি, সিন্ধু, পাকিস্তান
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম
ভূমিকাবোলার, কোচ
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৮৯)
৫ মার্চ ১৯৮২ বনাম শ্রীলঙ্কা
শেষ টেস্ট৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৫ বনাম নিউজিল্যান্ড
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ৩৪)
১৯ ডিসেম্বর ১৯৮০ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
শেষ ওডিআই২৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৫ বনাম অস্ট্রেলিয়া
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ২৯ ১৪৯ ১২২
রানের সংখ্যা ১৫৫ ১১০ ২,১৬৩ ৩৮৫
ব্যাটিং গড় ৫১.৬৬ ১৩.৭৫ ১৬.৩৮ ১০.৬৯
১০০/৫০ ০/১ ০/০ ০/৫ ০/০
সর্বোচ্চ রান ৫৯ ১৭ ৭৩ ২৭*
বল করেছে ৭৩৮ ১,৪১৪ ২১,১১৯ ৫,২৯৩
উইকেট ২০ ৪২৬ ১০৩
বোলিং গড় ৪৫.০০ ৪৬.১৫ ২৫.৭৪ ৩৩.৭৮
ইনিংসে ৫ উইকেট ২৫
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং ৩/১২৯ ৩/৪৭ ৯/২৭ ৪/২৭
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ২/– ৩/– ৮২/– ৩১/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২১ এপ্রিল ২০২০

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানি ক্রিকেটে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স, পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্ট ও সিন্ধু দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে কার্যকরী ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করতেন তিনি।

খেলোয়াড়ী জীবন সম্পাদনা

১৯৭৫-৭৬ মৌসুম থেকে ১৯৯৩-৯৪ মৌসুম পর্যন্ত রশিদ খানের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল।

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে চারটিমাত্র টেস্ট ও ঊনত্রিশটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন রশিদ খান। ৫ মার্চ, ১৯৮২ তারিখে করাচিতে সফরকারী শ্রীলঙ্কা দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৫ তারিখে ডুনেডিনে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।[১]

জাতীয় দলে নিয়মিত খেলোয়াড়দের ধর্মঘটে কারণে বেশ কয়েকজন অনভিজ্ঞ খেলোয়াড়কে জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ফলশ্রুতিতে, ১৯৮১-৮২ মৌসুমে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলার জন্যে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার রশিদ খানকে দল নির্বাচকমণ্ডলী আমন্ত্রণ জানায়। বল হাতে নিয়ে বেশ সফলতার স্বাক্ষর রাখেন। পাশাপাশি, ১০ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫৯ ও অপরাজিত ৪৩ রান তুলতে সক্ষম হন।

তবে, এর পরপরই ইংল্যান্ড সফরের জন্যে দূর্ভাগ্যবশতঃ তাকে দলে রাখা হয়নি। তাসত্ত্বেও, ১৯৮৩ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ক্রিকেট বিশ্বকাপের তৃতীয় আসরে তাকে পাকিস্তান দলে রাখা হয়। ১৯৮৩-৮৪ মৌসুমে দলের সাথে অস্ট্রেলিয়া গমন করেন। ঐ সফরে একটিমাত্র টেস্টে তাকে খেলানো হয়। এরপর থেকে তাকে একদিনের খেলার জন্যে দলে রাখা হয়। ১৯৮৪-৮৫ মৌসুমে চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। নিউজিল্যান্ড সফরে আঘাতগ্রস্ত দলের শূন্যতা পূরণে নিউজিল্যান্ডে যান।

অবসর সম্পাদনা

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে প্রত্যাখ্যাত হবার পরও প্রায় এক দশক প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর পাকিস্তানের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে ছিলেন ও কোচিং কর্মে নিয়োজিত থাকেন। ২০০৬ সালে চীনের ক্রিকেটারদের কোচের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।[২]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Rashid Khan"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০১৭ 
  2. "Rashid Khan to coach Chinese cricketers" 

আরও দেখুন সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা