মোড়েলগঞ্জ উপজেলা
এই নিবন্ধটির একটা বড়সড় অংশ কিংবা সম্পূর্ণ অংশই একটিমাত্র সূত্রের উপর নির্ভরশীল। (31 January 2021) |
মোরেলগঞ্জ উপজেলা বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম উপজেলা। বাগেরহাট জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা।
মোরেলগঞ্জ | |
---|---|
উপজেলা | |
মানচিত্রে মোড়েলগঞ্জ উপজেলা | |
স্থানাঙ্ক: ২২°২৭′১০″ উত্তর ৮৯°৫১′৩৪″ পূর্ব / ২২.৪৫২৭৮° উত্তর ৮৯.৮৫৯৪৪° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | খুলনা বিভাগ |
জেলা | বাগেরহাট জেলা |
সরকার | |
• চেয়ারম্যান | পদশূণ্য |
আয়তন | |
• মোট | ৪৩৮ বর্গকিমি (১৬৯ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[১] | |
• মোট | ২,৯৪,৫৭৬ |
• জনঘনত্ব | ৬৭০/বর্গকিমি (১,৭০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৬২.৩৫% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৪০ ০১ ৬০ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
অবস্থান ও আয়তন
সম্পাদনাএর অবস্থান স্থানাঙ্কে ২২°২৭′০০″ উত্তর ৮৯°৫১′৩০″ পূর্ব / ২২.৪৫০০° উত্তর ৮৯.৮৫৮৩° পূর্ব। উপজেলার মোট আয়তন ৪৩৮ বর্গ কিমি। এই উপজেলার উত্তরে কচুয়া উপজেলা ও বাগেরহাট সদর উপজেলা, দক্ষিণে শরণখোলা উপজেলা ও পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলা, পূর্বে পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানী উপজেলা ও পিরোজপুর সদর উপজেলা, পশ্চিমে রামপাল উপজেলা ও মোংলা উপজেলা।
প্রশাসনিক এলাকা
সম্পাদনামোরেলগঞ্জ উপজেলা ১৬ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। ১নং তেলিগাতী ইউনিয়ন, ২নং পঞ্চকরণ ইউনিয়ন, ৩নং পুটিখালী ইউনিয়ন, ৪নং দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়ন, ৫নং রামচন্দ্রপুর ইউনিয়ন, ৬নং চিংড়াখালী ইউনিয়ন, ৭নং হোগলাপাশা ইউনিয়ন, ৮নং বনগ্রাম ইউনিয়ন, ৯নং বলইবুনিয়া ইউনিয়ন, ১০নং হোগলাবুনিয়া ইউনিয়ন, ১১নং বহরবুনিয়া ইউনিয়ন, ১২নং জিউধরা ইউনিয়ন, ১৩নং নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন, ১৪নং বারইখালী ইউনিয়ন, ১৫নং মোরেলগঞ্জ ইউনিয়ন, ১৬নং খাউলিয়া ইউনিয়ন
ইতিহাস
সম্পাদনাখুলনা বিভাগের সর্ববৃহৎ উপজেলা মোরেলগঞ্জ। ইংরেজ মোরেল পরিবারের নামে নামকরণ হয় এ উপজেলার। জানা যায়, ইংরেজ শাসনের সুত্রপাতের পর ১৭৮১ সালে ইংরেজ সরকার কর্তৃক এখানে প্রথম শাসন কেন্দ্রর স্থাপিত হয় এবং এর ম্যাজিষ্টেট ও কালেক্টর হন বিদেশি সিভিলিয়ন মি: টিলম্যান হেঙ্কেল। এরপর যশোর জেলার প্রতিষ্ঠা ঘটে। বাগেরহাট তখন মহকুমাও হয়নি। বৃহত্তর খুলনা জেলা তখন ছিল যশোর জেলার অন্তর্গত। আর এর বড় অংশ জুড়ে ছিল সুন্দরবন। সে সময় হেঙ্কেল সাহেব প্রথম সুন্দরবন আবাদের প্রচেষ্টা চালান। কিন্তু জমিদারদের সাথে বিবাদের জেরে তা আর বেশিদূর অগ্রসর হতে পারেনি। ১৮২৮ সালে সুন্দরবনের সীমানা নির্ধারনের জন্য Regulation III of 1828 আইন পাস হয়। এ আইনের আওতায় ১৮৩০ সালে সুন্দরবন জরিপ করা হয়। সে সময় মি: ডামপায়ার সুন্দরবন এলাকা জরিপ করে একে কয়েকটি লটে (Lot) বিভক্ত করেন এবং পরে তা বন্দোবস্ত দেওয়া হয়। ১৮৪৯ সালে মোরেল পরিবারের মিসেস মোরেল পানগুচি ও বলেশ্বর নদীর মোহনায় সুন্দরবন বন্দোবস্ত (ইজারা) নিয়ে বন আবাদ করে বসতি গড়ে নীল চাষ শুরু করেন। তারপর সেখানে তারা বহু শ্রমিক নিয়োগ করে আবাদকৃত জমির পরিমাণ বাড়াতে থাকে। মোড়েল ভ্রাতাদের মধ্যে সবচেয়ে বৈষয়িক ও কর্মী ছিলেন রবার্ট মোরেল। তার উপর দায়িত্ব ছিল সমস্ত জমিদারদের দেখাশুনা ও পরিচালনা করা। তিনি সুন্দরবন আবাদের জন্য বরিশাল থেকে প্রচুর শ্রমিক আনেন। জানা যায়, এসব আবাদি শ্রমিকের অনেকেই সেখানে স্থায়ীভাবে থেকে যায়। এছাড়া পরবর্তিতে দূরদুরান্ত থেকেও প্রজারা এখানে আসতে থাকে। এতে মোড়েল সাহেবদের আয় ক্রমশ বাড়তে থাকে। তারা বসবাস ও নিজেদের শাসন পরিচালনার জন্য তখন বিরাট পাকা ভবন নির্মাণ করেন। এই ভবনটির অস্তিত্ব এখনও আছে যাকে স্থানীয় ভাবে কুঠীবাড়ি বলা হয়। তারা সেখানে বিরাট নারকেল সুপারির বাগান করেন এবং বাজার বসান। ক্রমে মোরেলদের নামানুসারে এ বাজারের নাম হয়ে যায় মোরেলগঞ্জ। পরে ইংরেজ সরকার কর্তৃক এ বাজারকে বন্দর হিসাবে ঘোষণা করা হয়। সে সময় বিভিন্ন পণ্য নিয়ে বিদেশি জাহাজ এসে ভিড়ত মোরেলগঞ্জ বন্দরে। পরে চর পড়ে যাওয়ায় ধীরে ধীরে এ বন্দর বন্ধ হয়ে যায়। নীল, নীলকর নিয়ে এই মোরেল পরিবারের সাথে মিশে আছে অনেক কাহিনী। এখানেই রচিত হয় ১৮৬১ সালে কৃষক বিদ্রোহের এক রক্তাক্ত অধ্যায়, যার নায়ক ছিলেন কৃষক রহিমউল্লা। মোরেল পরিবারের ম্যানেজার হেলির গুণ্ডাবাহিনীর সাথে প্রবল যুদ্ধে বীরত্বের সাথে নিহত হন তিনি। পরে অবশ্য এই রহিমুল্লাহ হত্যার জের ধরে মোরেলগঞ্জ থেকে মোরেল পরিবারের শাসন গোটাতে হয়েছিল ১৮৭৮ সালে। কিন্তু শুধু কালের স্বাক্ষী হয়ে এখনও রয়ে গেছে ‘কুঠিবাড়ি’ নামে পরিচিত তাদের নীলকুঠি।
জনসংখ্যার উপাত্ত
সম্পাদনাবর্তমান জনসংখ্যাঃ ৩৪৯৫৫১ জন[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
অর্থনীতি
সম্পাদনামোরেলগঞ্জে শতকরা ৩৫.৪৯ ভাগ মানুষ কৃষি নির্ভর, তাছাড়া ৩.৬৫% জেলে; ২০.৭৩ ভাগ কৃষি শ্রমিক; ৬.৮৫% দিনমজুর; ব্যবসা ১১.৮৫%; পরিবহন ১.৪%; বিভিন্ন সোর্স ও অন্যান্য কাজে ৫.৬ ও ১৪.৪৩ ভাগ লোক জড়িত।
এ উপজেলায় বরফ কারখানা ৪ টি, ধানকল ৫৯ টি, কল ৪৬ টি এবং ৩০ টি ঢালাই কারখানা রয়েছে।
উপজেলার কুটিরশিল্পের মধ্যে বাঁশ ও বেতের বিভিন্ন কুটিরশিল্প উল্লেখযোগ্য।
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব
সম্পাদনা- রহিম উল্লাহ - (ইংরেজ শাসকদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে শহীদ হন।)
- শেখ আব্দুল আজিজ- বাংলাদেশ সরকারের সাবেক মন্ত্রী;
- মোজাম্মেল হোসেন- সাবেক সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
- এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে মোরেলগঞ্জ"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ জানুয়ারী ২০১৫।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাখুলনা বিভাগের স্থান বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |