মৃগশিরা
পরস্পর একান্ত কাছাকাছি ক্ষীণপ্রভ ৩টি তারকা মিলে গঠন করেছে ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানএর ২৮ নক্ষত্রের ৫ম এ সদস্যাকে । ঋগ্বেদের ঋষিদের দেয়া নাম যজ্ঞসোম , সৈন্ধান্তিকরা যাকে মৃগশিরা নামে চিহ্নিত করছে । আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞান অনুসারে এই নক্ষত্রের প্রধান তারার নাম Meisah বা Heka (লাম্বডা ওরিয়নিস) , সঙ্গীরা হলো ফাই ১ ও ২ ।
আকাশে অবস্থান
সম্পাদনামৃগশিরা কালপুরুষ নক্ষত্রমন্ডলভুক্ত । আকাশমন্ডলের ৩৬০ অংশের ৫৩ অংশ ২০ কলা(কোণ পরিমাপ একক)]] থেকে ৬৬ অংশ ৪০ কলা পর্যন্ত এর বিস্তৃতি ।
ঋগ্বেদীয় ঋষিদের মৃগশিরা-চিন্তা
সম্পাদনাঋগ্বেদীয় ঋষিরা এ নক্ষত্রকে অগ্রহায়ণীও বলতো কেননা যজ্ঞকারী ঋষিদের বৎসর শুরু ও সমাপ্তিসূচক ছিল এ ক্ষীণজ্যোতির্ময়ী নক্ষত্রটি । [১] অঙ্গিরাপুত্র কুৎসবর্ণিত এ ঋকটিতে তাই বলা হচ্ছে : ' দ্যুতির্ময়ী বক্রসংস্থিত রুদ্রনক্ষত্রের ( অর্থাৎ সৈদ্ধান্তিক আর্দ্রা বা আধুনিক Betelgeuse এর) ক্রান্তদর্শী (অর্থাৎ ক্ষীণপ্রভ ) তারাদি (মৃগশিরাপুঞ্জ) যজ্ঞসাধনের কাল পালনের নিমিত্তে আহ্বাত হয়েছে । সূর্যসরণীর বিক্ষেপসঞ্জাত সুমতিপথের (অর্থাৎ বসুমতী পৃথিবীর পথের) সম্পাতদ্বয়ের (শারদ ও বাসন্তী-বিষুবদ্বয়ের চলনগতি বা Precession) একতম সুদূর কালের জন্য এ দিব্যতারাদি কর্তৃক বরণীয় রয়েছে '। [২] ।