মুকুল রায়
মুকুল রায় হলেন একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ। তিনি ২০১৭ সাল অব্দি ভারতীয় সংসদের রাজ্যসভার এবং সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য ছিলেন । তিনি ২০১১ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের রেলমন্ত্রীও ছিলেন। তিনি ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ভারতীয় জনতা পার্টিতে জাতীয় সহ-সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে তিনি সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের একজন নেতা।
Mukul Roy | |
---|---|
সাংসদ of রাজ্যসভার | |
কাজের মেয়াদ 3 April 2012 – 11 October 2017 | |
উত্তরসূরী | আবির বিশ্বাস, সর্বভারতীয় তৃনমূল কংগ্রেস |
সংসদীয় এলাকা | পশ্চিমবঙ্গ |
রেলমন্ত্রক, ভারত সরকার | |
কাজের মেয়াদ 20 March 2012 – 21 September 2012 | |
প্রধানমন্ত্রী | মনমোহন সিং |
পূর্বসূরী | দীনেশ ত্রিবেদী |
উত্তরসূরী | সি পি যোশী |
বিধায়ক | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ২রা মে, ২০২১ | |
পূর্বসূরী | অবনীমোহন জোয়ারদার |
সংসদীয় এলাকা | কৃষ্ণনগর উত্তর |
জাতীয় সহ-সভাপতি, ভারতীয় জনতা পার্টি | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ২৬শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | [১] কাঁচরাপাড়া, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত[১] | ১৭ এপ্রিল ১৯৫৪
জাতীয়তা | ভারতীয় |
রাজনৈতিক দল | সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস (২০২১-বর্তমান) |
অন্যান্য রাজনৈতিক দল | ভারতের জাতীয় কংগ্রেস (১৯৯৮ পর্যন্ত) সর্বভারতীয় তৃনমূল কংগ্রেস (১৯৯৮-২০১৭) ভারতীয় জনতা পার্টি (২০১৭-২০২১ |
দাম্পত্য সঙ্গী | কৃষ্ণা রায়[১] |
সন্তান | শুভ্রাংশু রায় |
বাসস্থান | নতুন দিল্লি কলকাতা |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় মাদুরাই কামরাজ বিশ্ববিদ্যালয় |
শিক্ষাগত যোগ্যতা
সম্পাদনামুকুল রায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি ডিগ্রি লাভ করেন এবং ২০০৬ সালে পাব্লিক অ্যাডমিনিসট্রেশন বিষয়ে মাদুরাই কামরাজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন।
রাজনৈতিক জীবন
সম্পাদনামুকুল রায় যুব কংগ্রেস নেতা হিসাবে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন এবং ক্রমশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন।
১৯৯৮ সালে যখন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ভেঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস তইরি করেন মুকুল রায় সেই দলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। তিনি ২০০৬ সালে তৃনমূল কংগ্রেসের সর্ব ভারতীয় সাধারন সম্পাদক হন।
২০০১ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে মুকুল রায় জগদ্দল বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করেন এবং সারা ভারত ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী হরিপদ বিশ্বাসের কাছে পরাজিত হন।
২০০৬ সালে তিনি তৃনমূল কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে রাজ্যসভার সদস্য মনোনীত হন।
দ্বিতীয় ইউপিএ মন্ত্রীসভায় তিনি জাহাজ মন্ত্রক (ভারত) এর দায়িত্ব পান এবং পরবর্তীতে রেলমন্ত্রী হন।
২০১২ সালের রেল বাজেটে ভাড়া বৃদ্ধি জনিত অসন্তোষের কারনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৎকালীন রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদীর ইস্তফা দাবি করেন। দীনেশ ত্রিবেদী ইস্তফা দিলে মুকুল রায় পরবর্তী রেলমন্ত্রী হন। [২]
সারদা কেলেঙ্কারি ও নারদা কাণ্ডে মুকুল রায়ের নাম জড়ানোর পর থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর সাথে তার দূরত্ব বাড়তে থাকে। যদিও প্রথম দিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুকুল রায় কে দৃঢ় ভাবে সমর্থন করতে দেখা যায়। [৩]
২০২১ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে মুকুল রায় কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থী হিসাবে ভোটে লড়েন এবং ৩৫ হাজার ৮৯ ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেন।[৪]
২০২১ সালের ১১ জুন তারিখে তিনি ভারতীয় জনতা পার্টি ত্যাগ করেন এবং তার পূর্ববর্তী রাজনৈতিক দল সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস এ ফিরে যান। 4
- ↑ ক খ গ "Detailed Profile – Shri Dinesh Trivedi – Members of Parliament (Lok Sabha) – Who's Who – Government: National Portal of India"। India.gov.in। ১২ ডিসেম্বর ১৯৭৭। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১২।
- ↑ "India railway minister denies resignation reports"। BBC News (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১২-০৩-১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৫-১৫।
- ↑ সংবাদদাতা, নিজস্ব। "থমথমে দফতরে জরুরি বৈঠক, মুকুল আড়ালেই"। www.anandabazar.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৫-১৫।
- ↑ "eci results"।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনাএই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |