মিজানুর রহমান ভূঁইয়া
মিজানুর রহমান ভূঁইয়া বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতি ছিলেন।[১]
মিজানুর রহমান ভূঁইয়া | |
---|---|
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
মৃত্যু | জানুয়ারি ২০২০ |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
জীবিকা | বিচারক |
কর্মজীবন
সম্পাদনা২০১২ সালের নভেম্বরে, মিজানুর রহমান সাবেক মন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেন ও তার স্ত্রী জিনাত মোশাররফকে ১৯৯১ সালের ১ই জানুয়ারি বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান পদ সম্পর্কিত দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক দায়ের করা একটি দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস দেন।[২]
মিজানুর রহমান শাহবাগ আন্দোলনের কর্মী আহমেদ রাজীব হায়দার শোভনকে নিয়ে একটি দৈনিক ইনকিলাবে প্রকাশিত ‘সাম্প্রদায়িক ও উস্কানিমূলক’ সংবাদের কপি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের মধ্যে বিলি করেন।[৩][৪][৫] বাংলাদেশের আইন প্রণেতারা সংসদে তার এই কাজের সমালোচনা করে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রীকে তদন্ত শুরু করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।[৬] পরবর্তীতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলকে অনুচিত আচরণের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন।[৪][৭] অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি তাকে অপসারণের আহ্বান জানায়।[৮][৯] আইনজীবীরা বিরোধী দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সাথে জোটবদ্ধ হয়ে এই তদন্তের বিরোধিতা করে।[১০] ২০১৩ সালের আগস্টে, প্রধান বিচারপতি মোঃ মুজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল মিজানুর রহমানকে অভিযোগ থেকে অব্যহতি দেয়।[৪] সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের অন্য দুই সদস্য ছিলেন বিচারপতি মোঃ আব্দুল ওয়াহহাব মিঞা ও সুরেন্দ্র কুমার সিনহা।[৪]
২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে, মিজানুর রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতিবিদ নাজমুল হুদাকে ২০০৭ সালে দায়ের করা একটি চাঁদাবাজির মামলা থেকে খালাস দেন।[১১]
ব্যক্তিগত জীবন
সম্পাদনামিজানুর রহমান হাসনা মোর্শেদকে বিয়ে করেছিলেন।[১২]
মৃত্যু
সম্পাদনা২০২০ সালের জানুয়ারিতে মিজানুর রহমান মৃত্যুবরণ করেন।[১৩]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "HC verdict on public holiday!"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২১ মে ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০২৩।
- ↑ "Mosharraf acquitted of graft charges"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ১৫ নভেম্বর ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০২৩।
- ↑ "বিচারপতি মিজানুর দোষী হতে পারেন: আইন প্রতিমন্ত্রী"। banglanews24.com। ২০১৩-০২-২৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-২১।
- ↑ ক খ গ ঘ Sarkar, Ashutosh (৫ আগস্ট ২০১৩)। "Justice Mizanur cleared"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০২৩।
- ↑ "First secularist murder verdict"। Dhaka Tribune। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০২৩।
- ↑ "Justice faces JS music"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০২৩।
- ↑ "Justice Mizanur replies to judicial council"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ১৬ মার্চ ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০২৩।
- ↑ "Justice Mizanur's removal sought"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০২৩।
- ↑ Staff Correspondent। "Remove controversial HC judge: SCBA"। bdnews24.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০২৩।
- ↑ Staff Correspondent (২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৩)। "Pro-BNP, Jamaat lawyers oppose president's move"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০২৩।
- ↑ "HC acquits Nazmul Huda"। HC acquits Nazmul Huda | theindependentbd.com। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০২৩।
- ↑ "Government Order" (পিডিএফ)। Ministry of Foreign Affairs। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০২৩।
- ↑ "Over 100 Bangladesh SC lawyers die in 2020"। New Age | The Most Popular Outspoken English Daily in Bangladesh (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-২১।