সুরেন্দ্র কুমার সিনহা
বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা (জন্ম: ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫১) বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত আইনবিদ এবং ২১-তম প্রধান বিচারপতি।[১][২] রাজনৈতিক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে গত ২০১৭ সালের ১০ নভেম্বর তারিখে বিদেশে ছুটিতে থাকা অবস্থায় তিনি পদত্যাগ করেন।[৩]
মাননীয় প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা | |
---|---|
২১তম বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি | |
কাজের মেয়াদ ১৮ জানুয়ারি ২০১৫ – ১১ নভেম্বর ২০১৭ | |
পূর্বসূরী | মোঃ মোজাম্মেল হোসেন |
উত্তরসূরী | আব্দুল ওয়াহহাব মিঞা |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫১ কমলগঞ্জ, মৌলভীবাজার, পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান: বাংলাদেশ) |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
দাম্পত্য সঙ্গী | সুষমা সিনহা |
সন্তান | সূচনা সিনহা, আশা রানী সিনহা |
বাসস্থান | কানাডা |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | আইন |
জীবিকা | আইনবিদ |
জন্ম ও শিক্ষাজীবন
সম্পাদনাসুরেন্দ্র কুমার সিনহার জন্ম ১৯৫১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার তিলকপুর গ্রামে।[৪] তার বাবার নাম ললিত মোহন সিনহা এবং মায়ের নাম ধনবতী সিনহা। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি সম্পন্ন করার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন।
কর্মজীবন
সম্পাদনাতিনি ১৯৭৪ সালে সিলেট বারে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ১৯৭৮ সালে হাইকোর্টে এবং ১৯৯০ সালে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ১৯৯৯ সালের ২৪ অক্টোবর তিনি হাইকোর্টে বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান ২০০৯ সালের ১৬ জুলাই আপিল বিভাগের বিচারপতি হন।[৫] বাংলাদেশের সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে আনা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আপিল বিভাগের যে বেঞ্চ বাতিল করেছিল, এস কে সিনহা ছিলেন তার অন্যতম সদস্য। এছাড়া ২০১১ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার চূড়ান্ত রায় দেওয়া বেঞ্চেও সদস্য হিসাবে ছিলেন তিনি।[৬] তার সময়ে সর্বপ্রথম পাইলট প্রকল্পের অধীনে বাংলাদেশের প্রতিটি আদালত ডিজিটালকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়।[৭]
প্রকাশনা
সম্পাদনা২০১৮ সালে সিনহা তাঁর আত্মজৈবনিক বই 'আ ব্রোকেন ড্রিম: রুল অফ ল, হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেমোক্রেসি' (একটি ভাঙা স্বপ্ন: আইনের শাসন, মানবাধিকার এবং গণতন্ত্র) প্রকাশ করেন।[৮] এর প্রকাশক হল ক্রিয়েটস্পেস পাবলিশিং।[৯]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ দৈনিক প্রথম আলো
- ↑ "দৈনিক মানবজমিন"। ১৫ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জানুয়ারি ২০১৫।
- ↑ বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির পদত্যাগপত্র ১০ তারিখ থেকেই কার্যকর হয়েছে - বিবিসি বাংলা।
- ↑ "দৈনিক সমকাল"। ১০ জুন ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জানুয়ারি ২০১৫।
- ↑ "রাইজিং বিডি ডট কম"। ১৯ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জানুয়ারি ২০১৫।
- ↑ "বিডিনিউজ ২৪ ডট কম"। ১৯ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জানুয়ারি ২০১৫।
- ↑ "আইনজীবীদের সহযোগিতা ছাড়া বিচার বিভাগের পরিবর্তন অসম্ভব: প্রধান বিচারপতি"। প্রিয়.কম। ২০২০-০৯-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১০-০৩।
- ↑ শাকিল আনোয়ার। "'একটা বই নিয়ে তাদের এত ভয় কেন?' বিবিসিকে বিচারপতি সিনহা"। বিবিসি বাংলা।
- ↑ "A Broken Dream: Rule of Law, Human Rights and Democracy"। বার্নস অ্যান্ড নোবেল।
আইন দফতর | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী মোজাম্মেল হোসেন |
বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ১৭ জানুয়ারি ২০১৫ – ১১ নভেম্বর ২০১৭ |
উত্তরসূরী আব্দুল ওয়াহহাব মিঞা |