মাতামুহুরী নদী
মাতামুহুরী নদী বাংলাদেশের পূর্ব-পাহাড়ি অঞ্চলের বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ১৪৬ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ১৫৪ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা "পাউবো" কর্তৃক মাতামুহুরী নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর পূর্ব-পাহাড়ি অঞ্চলের নদী নং ১৩।[১]
মাতামুহুরী নদী | |
মাতামুহুরী নদীতে সুর্যাস্ত
| |
দেশ | বাংলাদেশ |
---|---|
অঞ্চল | চট্টগ্রাম বিভাগ |
জেলাসমূহ | বান্দরবান জেলা, কক্সবাজার জেলা |
উৎস | মাইভার পর্বত |
- অবস্থান | লামা |
মোহনা | বঙ্গোপসাগর |
দৈর্ঘ্য | ১৪৬ কিলোমিটার (৯১ মাইল) |
প্রবাহ
সম্পাদনামাতামুহুরীর সঠিক উৎপত্তিস্থল কোনটি তা বিতর্কিত। কারো মতে লামার মাইভার পর্বতে মাতামুহুরী নদীর উৎপত্তি৷ মারমা ভাষায় এই নদীটির নাম মামুরি। মাতামুহুরী নদীর নামকরণেরও একটি ইতিহাস আছে। জনশ্রুতি আছে এই নদী নাকি কোন একটি (একক উৎস নির্দিষ্ট ঝরণা) হতে সৃষ্টি নয়।
এটি মাতৃস্তন সদৃশ বিভিন্ন পর্বত গাত্র হতে জল চুয়ে চুয়ে পড়েই নদীর সৃষ্টি। তাই এর নাম মাতামুহুরী। মুহুরী শব্দের অর্থ অসংখ্য ছিদ্র দিয়ে জলপড়া ঝাজর অর্থাৎ ইংরেজিতে বলে শাওয়ার এই নদীটি কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার পশ্চিম পাশ ঘেষে বঙ্গোপসাগর-এ পতিত হয়েছে৷ এর দৈর্ঘ্য প্রায় ২৮৭ কি.মি৷[২] বঙ্গোপসাগরে মাতামুহুরীর মোহনায় যে বদ্বীপের সৃষ্টি হয়েছে তা ভোলাখাল থেকে খুটাখালি পর্যন্ত বিস্তৃত।
জনপদ
সম্পাদনামাতামুহুরীর নদীর তীরে গড়ে উঠেছে চকরিয়া,লামা,আলীকদম উপজেলা শহর। পাশাপাশি পেকুয়া উপজেলার কিছু অংশের মধ্য দিয়েও এই নদী গেছে। যেমন নীল নদ মিশরের দান, ঠিক তেমনি লামা, আলীকদম ও চকরিয়া এই তিনটি উপজেলা মাতামহুরী নদীর দান বলা চলে। সুদীর্ঘ সময় এসব উপজেলার যোগাযোগ ও বাণিজ্যের প্রধান মাধ্যম মাতামুহুরী। এছাড়া উপজেলাসমূহের প্রধান গঞ্জগুলো মাতামুহুরীর তীরে অবস্থিত। নদী ধরেই লামা ও আলীকদমের মতো পার্বত্য এলাকায় মানব বসতি স্থাপন ও অভিবাসনের সূত্রপাত। [৩]
চিত্রশালা
সম্পাদনা-
বদরখালী জেটি থেকে দেখা যাচ্ছে মাতামুহুরী নদীর রূপ, ওপারে মহেশখালী
-
মাতামুহুরী নদী
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক (ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। "পূর্ব-পাহাড়ি অঞ্চলের নদী"। বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি (প্রথম সংস্করণ)। ঢাকা: কথাপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ২৮৯-২৯০। আইএসবিএন 984-70120-0436-4।
- ↑ "মাতামুহুরী নদী"। বাংলাপিডিয়া। ৭ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মার্চ ২০১৫।
- ↑ https://www.kalerkantho.com/printedition/education/2018/12/25/718561&ved=2ahUKEwiByfDshb_oAhUmzTgGHaWSC_cQFjANegQIARAB&usg=AOvVaw3OUlOIbiOTUxXmwu53ij0h[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |