মতিয়া চৌধুরী

বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ

মতিয়া চৌধুরী (জন্ম ৩০ জুন ১৯৪২) পিরোজপুরে জন্মগ্রহণকারী বিশিষ্ট বাংলাদেশি নারী রাজনীতিবিদ। বর্তমানে তিনি জাতীয় সংসদ এর সংসদ উপনেতা এবং আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য।[১] তার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় বামপন্থী রাজনীতি দিয়ে। তিনি ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)-এর সদস্য ছিলেন, তিনি নকলা নালিতাবাড়ী এর বর্তমান সাংসদ। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য ২০২১ সালে বাংলা একাডেমি তাকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ প্রদান করে।[২]

মতিয়া চৌধুরী
সংসদ উপনেতা
জাতীয় সংসদ
শেরপুর-২ আসনের
সংসদ সদস্য
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
২৫ জানুয়ারি ২০০৯
পূর্বসূরীজাহেদ আলী চৌধুরী
কাজের মেয়াদ
৫ মার্চ ১৯৯১ – ১৩ জুলাই ২০০১
পূর্বসূরীআব্দুস সালাম
উত্তরসূরীজাহেদ আলী চৌধুরী
কৃষিমন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
৬ জানুয়ারি ২০০৯ – ৭ জানুয়ারি ২০১৯
প্রধানমন্ত্রীশেখ হাসিনা
পূর্বসূরীইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু
উত্তরসূরীআব্দুর রাজ্জাক
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1942-06-30) ৩০ জুন ১৯৪২ (বয়স ৮১)
পিরোজপুর, ব্রিটিশ ভারত (এখন বাংলাদেশ)
নাগরিকত্বব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত)
পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে)
বাংলাদেশ
রাজনৈতিক দলআওয়ামী লীগ
দাম্পত্য সঙ্গীবজলুর রহমান
বাসস্থানঢাকা, বাংলাদেশ
শিক্ষাঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
পেশারাজনীতিবিদ
পুরস্কারবাংলা একাডেমি ফেলোশিপ (২০২১)
ওয়েবসাইটআওয়ামী লীগ

জন্ম ও পারিবারিক জীবন সম্পাদনা

১৯৪২ সালের ৩০ জুন মতিয়া পিরোজপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মহিউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা এবং মা নুরজাহান বেগম ছিলেন গৃহিণী। ব্যক্তিজীবনে ১৯৬৪ সালের ১৮ জুন খ্যাতিমান সাংবাদিক বজলুর রহমানের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

রাজনৈতিক ও কর্মজীবন সম্পাদনা

ইডেন কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৬৫ সালে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন এর সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬৭ সালে "অগ্নিকন্যা" নামে পরিচিত মতিয়া পূর্ব পাকিস্তান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে যোগ দেন এবং এর কার্যকরী কমিটির সদস্য হন। ১৯৭০ ও ১৯৭১ এর মাঝামাঝি সময়ে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, প্রচারণা, তদবির এবং আহতদের শুশ্রুষায় সক্রিয় অংশগ্রহণকারী ছিলেন।

১৯৭১ সালে তিনি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছিলেন। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও মরহুম রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সময়কালে তিনি বেশ কয়েকবার গ্রেফতার হন।[৩]

১৯৯৬ ও ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ শাসনামলে কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।[৪] বর্তমানে তিনি আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ১২ জানুয়ারি ২০২৩ সালে তিনি জাতীয় সংসদের সংসদ উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব নেন।[৫]

পুরস্কার সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Motia Chowdhury queues to buy rice"e-Bangladesh। ২৭ আগস্ট ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০১০ 
  2. "মতিয়া চৌধুরীসহ বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ পেলেন সাত ব্যক্তিত্ব"দৈনিক ইত্তেফাক। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০২২ 
  3. "Profile - Ms. Matia Chowdhury" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৪-১১ 
  4. https://sherpurtimes.com/%E0%A6%AA%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%9A%E0%A7%8C%E0%A6%A7%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%80/  |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  5. প্রতিবেদক, নিজস্ব। "সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী"Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-১৩ 
  6. "বাংলা একাডেমি পরিচালিত পুরস্কার ও ফেলোশিপ পেলেন যারা"সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ডিসেম্বর ২০২১