ভর-শক্তি সমতা
পদার্থবিজ্ঞানে, ভর-শক্তি সমতা হলো সেই নীতি যে, ভরযুক্ত যেকোনও কিছুতেই সমান পরিমাণ শক্তি থাকে এবং তদ্বিপরীত ঘটনাও সত্য, এই মৌলিক পরিমাণগুলি সরাসরি একে অপরের সাথে আলবার্ট আইনস্টাইনের বিখ্যাত সূত্রের মাধ্যমে সম্পর্কিতঃ[১]

সূত্রটিতে বলা হয়েছে যে সমমানের শক্তিকে (E) ভর (m) ও আলোর গতির (c = ~ 3 × 108 m / s) এর গুণফল হিসাবে গণনা করা যেতে পারে। একইভাবে, শক্তিযুক্ত যেকোন কিছুর ক্ষেত্রেও তার শক্তি E কে আলোর গতির বর্গ c2 দ্বারা ভাগ করলে অনুরূপ ভর m প্রদর্শন করে। যেহেতু প্রাত্যহিক এককগুলিতে আলোর গতি একটি বিরাট সংখ্যা তাই সূত্রটি সূচিত করে যে সামান্য পরিমাণ ভর সম্পন্ন একটি প্রাত্যহিক বস্তুতেও অভ্যন্তরীণভাবে অনেক বড় পরিমাণে শক্তি থাকে। রাসায়নিক বিক্রিয়া, পারমাণবিক বিক্রিয়া এবং অন্যান্য শক্তি রূপান্তরের ফলে কোনও ব্যবস্থা পরিবেশে তার শক্তি উপাদান হারাতে পারে (এবং এইভাবে কিছু ভর), উদাহরণস্বরূপ, আলোর তেজস্বী শক্তি বা তাপ শক্তি হিসাবে মুক্ত করা।
ভর-শক্তি সমতা মূলত বিশেষ আপেক্ষিকতা থেকে একটি হেঁয়ালি হিসেবে উদ্ভূত হয় যা অঁরি পোয়াঁকারে কর্তৃক বর্ণিত হয়েছিলো।[২] ১৯০৫ সালের ২১ নভেম্বর আইনস্টাইন ইহা তার একটি অ্যানাস মিরাবিলিস পত্র, কোনও বস্তুর জড়তা কি তার শক্তি-পরিমাণের উপর নির্ভর করে?-তে প্রস্তাবনা দেন।[৩] আইনস্টাইনই প্রথম যিনি এই প্রস্তাবনা দেন যে ভর ও শক্তির সমতা একটি সাধারণ নীতি এবং স্থান-কালের প্রতিসাম্যের একটি পরিণতি।
ভর-শক্তি সমতার একটি পরিণতি হলো কোনো বস্তু সুস্থির হলেও এর মাঝে কিছু অভ্যন্তরীণ বা স্বকীয় শক্তি থাকে যা স্থিতি শক্তি হিসেবে পরিচিত, স্থিতি ভরের মত। যখন বস্তুটি গতিপ্রাপ্ত হয় তখন এর মোট শক্তি এর স্থিতি শক্তির চেয়ে বেশি এবং সমভাবে এর মোট ভর (এক্ষেত্রে আপেক্ষিক ভরও বলা হয়) স্থিতি ভরের চেয়ে বেশি থাকে। এই স্থিতি ভরকে স্বকীয় বা স্থির ভরও বলা হয় কেননা এই গতি নির্বিশেষেও ইহা একই থাকে, এমনকি সাধারণ বা বিশেষ আপেক্ষিকতায় বিবেচিত চরম গতি বা মহাকর্ষেও।
এই ভর-শক্তি সমতা যেকোনো একক পদ্ধতিতে, ভরের একককে শক্তির এককে রূপান্তরের ক্ষেত্রেও অবদান রাখে(উল্টোটাও সত্যি)।
আরো দেখুন সম্পাদনা
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ Bodanis, David (২০০৯)। E=mc^2: A Biography of the World's Most Famous Equation (illustrated সংস্করণ)। Bloomsbury Publishing। আইএসবিএন 978-0-8027-1821-1।
- ↑ Poincaré, H. (১৯০০), "La théorie de Lorentz et le principe de réaction", Archives Néerlandaises des Sciences Exactes et Naturelles, 5: 252–278 . See also the English translation
- ↑ Einstein, A. (১৯০৫), "Ist die Trägheit eines Körpers von seinem Energieinhalt abhängig?", Annalen der Physik, 18 (13): 639–643, ডিওআই:10.1002/andp.19053231314, বিবকোড:1905AnP...323..639E . See also the English translation.
বহিঃসংযোগ সম্পাদনা
- Einstein on the Inertia of Energy – MathPages
- Lasky, Ronald C. (এপ্রিল ২৩, ২০০৭), What is the significance of E = mc2? And what does it mean?, Scientific American, নভেম্বর ১৮, ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা
- Mass and Energy – Conversations About Science with Theoretical Physicist Matt Strassler
- Ask an Astrophysicist | Energy–Matter Conversion, NASA, 1997
- The Equivalence of Mass and Energy – Entry in the Stanford Encyclopedia of Philosophy
- Gail Wilson (May 2014) Scientists discover how to turn light into matter after 80-year quest Imperial College
- Merrifield, Michael; Copeland, Ed; Bowley, Roger। "E=mc2 – Mass–Energy Equivalence"। Sixty Symbols। Brady Haran for the University of Nottingham।
- Hecht, Eugene (২০০৯)। "Einstein on mass and energy"। American Journal of Physics। 77 (9): 799–806। ডিওআই:10.1119/1.3160671। বিবকোড:2009AmJPh..77..799H। সাইট সিয়ারX 10.1.1.205.7995 ।
Early on, Einstein embraced the idea of a speed-dependent mass but changed his mind in 1906 and thereafter carefully avoided that notion entirely. He shunned, and explicitly rejected, what later came to be known as 'relativistic mass'. ... He consistently related the rest energy of a system to its invariant inertial mass.