অপারেশন পাইথন হচ্ছে ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় অপারেশন ট্রাইডেন্টের পর পশ্চিম পাকিস্তানের বন্দর শহর করাচীতে ভারতীয় নৌবাহিনী পরিচালিত একটি নৌ-হামলার ছদ্মনাম। করাচী বন্দরে অপারেশন ট্রাইডেন্টের প্রথম হামলার পর প্রচুর ভারতীয় নৌ-জাহাজের উপস্থিতি দেখে অন্য আরেকটি হামলা পরিকল্পনার কথা আশঙ্কা করে পাকিস্তান তাদের উপকূলবর্তী এলাকায় আকাশপথে নজরদারি জোরদার করে এবং বাণিজ্য জাহাজের সাথে যুদ্ধ জাহাজ মিশিয়ে ভারতীয় নৌবাহিনীকে ধোঁকা দেওয়ার চেষ্টা করে। এই পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় ১৯৭১ সালের ৮/৯ ডিসেম্বর ভারত অপারেশন পাইথন পরিচালনা করে। তারা একটি মিসাইল বোট এবং দুইটি ফ্রিগেট নিয়ে করাচী উপকূলের অদূরে নোঙর করা জাহাজগুলোকে আক্রমণ করে। ভারতের কোন ক্ষয়ক্ষতি না হলেও পাকিস্তানি ফ্লিট ট্যাংকার পিএনএস ঢাকা মেরামতের অযোগ্যভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং কিমারি তেল সংরক্ষণাগার ধ্বংস করা হয়। এছাড়াও এই হামলায় করাচীতে নোঙর করা দুইটি বিদেশি জাহাজ ডুবে গিয়েছিল।

  1. 2DA8D8FF
 

File:Wiki Ruhan at Bangla Wikipedia Workshop in Notre Dame College, Dhaka, October 2019.jpg File: Ruhan and Abtahi at Notre Dame Wiki Alapon.jpg Wiki Ruhan at Notre Dame Wiki Alapon File:Ruhan Receiving first prize 3.jpThere are 4300+ religion in the world. As this world has her every river flowing towards the Ocean. But some rivers get disintegrated; scattered; distracted; diverted; manupulated or unified, mixed with another. But all the water that river contains ultimately reaches the Ocean. I think the rivers are religions, water drops are Humans.

মনোনয়ন

সম্পাদনা

নটর ডেম কলেজ, ঢাকা নিবন্ধটিতে আমরা কিছু বন্ধুরা মিলে ভালো নিবন্ধ থেকে নির্বাচিত নিবন্ধে উন্নীত করার লক্ষ্যে তিন মাস যাবৎ সম্পাদনা করে আসছি। এই কাজটি যাদের ছাড়া অসম্ভব ছিল- নকীব, রাফি, মুকিত, আদিব, আবতাহীসহ আরও কয়েকজন সম্পাদকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।

নিবন্ধের সকল অবিশ্বকোষীয় ও বিজ্ঞাপনমূলক তথ্য অপসারণ করা হয়েছে। বর্তমানে নিবন্ধটিতে কোন লাল সংযোগ ও কপিরাইট আইন ভঙ্গ করে এমন তথ্য নেই। বিস্তারিত তথ্য রয়েছে যা বিষয়বস্তুকে পূর্ণাঙ্গভাবে তুলে ধরতে সক্ষম। তথ্যগুলো নিরপেক্ষ ভঙ্গিতে লেখা এবং যাচাই করার জন্য যথেষ্ট তথ্যসূত্র রয়েছে। প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিত্র ব্যবহার করা হয়েছে। রচনাশৈলীবানানগত জটিলতা একেবারে নেই বলেই চলে। নিবন্ধের লিখন কৌশল সাবলীল ও প্রানোজ্জ্বল। উইকিপিডিয়ার নির্বাচিত নিবন্ধের গুণাবলীর নীতিমালা অনুসারে নিবন্ধটি সকল মানদণ্ড পূরণ করছে। আপনাদের অভিজ্ঞ মতামতের আশায় —Wiki RuHan [ Talk ] ১৮:১৯, ১৩ জুলাই ২০২০ (ইউটিসি)

ব্যবহারকারী:RockyMasumব্যবহারকারী:Ferdousব্যবহারকারী:Ibrahim Husain Merajব্যবহারকারী:Intakhabব্যবহারকারী:Ashiq Shawon‎ব্যবহারকারী:Moheenব্যবহারকারী:Bodhisattwaব্যবহারকারী:Tanweer Morshedব্যবহারকারী:NahidSultanব্যবহারকারী:Hasiveব্যবহারকারী:আফতাবুজ্জামানব্যবহারকারী:Suvrayব্যবহারকারী:Nasirkhanব্যবহারকারী:Wikitanvirব্যবহারকারী:Jayantanthব্যবহারকারী:Muhammadব্যবহারকারী:Rajibul Hasanব্যবহারকারী:Dr.saptarshiব্যবহারকারী:Bellayetব্যবহারকারী:Ragibব্যবহারকারী:Zaheenব্যবহারকারী:Hiwamy

স্বাক্ষর: —Wiki RuHan [ Talk ] ২৩:১০, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ (ইউটিসি) —Wiki RuHan [ Talk ]


—Wiki RuHan [ Talk ] ২০:২৬, ২৬ জুন ২০২১ (ইউটিসি)

RuHan[ C | T ]


—Wiki RuHan [ Talk ] RuHan[ Contribution | Talk ]


Wiki Ruhan অবদান | বার্তা ]

Wiki Ruhan অবদান | বার্তা ]

File:Dinajpur NayabadMoshjid 11Oct12 IMG 3582.jpg File:Ancient Temple (Kaharole Upazila) 03.jpg File:Dinajpur KantanagarMondir 11Oct12 IMG 3579.jpg File:Sitakot Bihara 1.jpg File:South side of Sura Mosque.jpg File:Barapukuria Coal Mine Dinajpur Bangladesh.JPG File:3rd Gate Of HSTU.jpg File:Maddhapara Granite Mine Dinajpur Bangladesh (4).JPG File:Nawabgonj Jatio Uddan Road 20190605 130653.jpg File:প্রতিফলন.jpg File:স্বপ্নপুরী পার্কের প্রধান ফটক.jpg File:Dinajpur Rajbari (104).jpg File:Dinajpur Medical College.jpg চিত্র:Dinajpur DinajpurMondir 11Oct12 IMG 3627.jpg

File:Dinajpur NayabadMoshjid 11Oct12 IMG 3582.jpg File:Ancient Temple (Kaharole Upazila) 03.jpg File:Sitakot Bihara 1.jpg File:South side of Sura Mosque.jpg File:Barapukuria Coal Mine Dinajpur Bangladesh.JPG File: File:Maddhapara Granite Mine Dinajpur Bangladesh (4).JPG File:Nawabgonj Jatio Uddan Road 20190605 130653.jpg File:স্বপ্নপুরী পার্কের প্রধান ফটক.jpg <span style="color:black">'''Wiki Ruhan'''</span><sup>[&nbsp;[[Special:Contribs/Wiki Ruhan|<span style="color:black">অবদান</span>]] &#124; [[User talk:Wiki Ruhan|<span style="color:black">বার্তা</span>]]&nbsp;]</sup> (আলাপ) ০৭:৫৭, ২৪ জুন ২০২০ (ইউটিসি)

{{আজকের নির্বাচিত ছবি পূর্বনির্ধারিত | চিত্র = File:Bashundhara City Shopping Complex.jpg | বিবরণ = [[বসুন্ধরা সিটি|বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের গম্বুজের চিত্রকর্ম। ছবিটি তুলেছেন রওনক শাহরিয়ার রুহান, যা উইকিমিডিয়া কমন্সে সিসি বাই-এসএ ৪.০ লাইসেন্সের আওতায় প্রকাশিত।}}

কান্তনগর মন্দির ইটের তৈরী অষ্টাদশ শতাব্দীর মন্দির।

অবস্থান

সম্পাদনা

দিনাজপুর শহর থেকে প্রায় ১২ মাইল উত্তরে এবং দিনাজপুর-তেতঁলিয়া সড়কের প্রায় এক মাইল পশ্চিমে ঢেপা নদীর পারে এক শান্ত নিভৃতগ্রাম কান্তনগরে এ মন্দিরটি স্থাপিত।

বিস্তারিত

সম্পাদনা

এ জমাকালো পিরামিড আকৃতির মন্দিরটি তিনটি ধাপে উপরে উঠে গিয়েছে এবং তিন ধাপের কোণগুলির উপরে মোট নয়টি অলংকৃত শিখর বা রত্ন রয়েছে যা দেখে মনে হয় যেন একটি উচুঁ ভিত্তির উপর প্রকান্ড অলংকৃত রথ দাঁড়িয়ে আছে। মন্দিরের চারদিকে খোলা খিলান পথ রয়েছে যাতে যে কোন দিক থেকেই পূজারীরা ভেতরের পবিত্র স্থানে রাখা দেবমূর্তিকে দেখতে পায়।বর্গাকৃতির মন্দিরটি একটি আয়তাকার প্রাঙ্গনের উপর স্থাপিত। এর চারদিকে রয়েছে পূজারীদের বসার স্থান যা ঢেউ টিন দ্বারা আচ্ছাদিত। বর্গাকার প্রধান প্রকোষ্ঠটিকে কেন্দ্র করে সম্পূর্ণ ইমারত নির্মিত হয়েছে। পাথরের ভিত্তির উপর দাঁড়ানো মন্দিরটির উচ্চতা ৫০ ফুটেরও বেশি।

স্থাপত্য রীতি

সম্পাদনা

বাংলার স্থাপত্যসমূহের মধ্যে বিখ্যাত এ মন্দিরটির বিশিষ্টতার অন্যতম কারণ হচ্ছে পৌরাণকি কাহিনীসমূহ পোড়ামাটির অলঙ্করণে দেয়ালের গায়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এ নবরত্ন বা 'নয় শিখর' যুক্ত হিন্দু মন্দিরের চূড়া হতে আদি নয়টি শিখর ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। বাংলাদেশের সর্বৎকৃষ্ট টেরাকোটা শিল্পের নির্দশন রয়েছে এ মন্দিরে। বাইরের দিকে উচুঁ করে তৈরী তিনটি চতুষ্কোণাকার প্রকোষ্ঠ এর সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। এ ধরণের নকশা কেন্দ্রীয় প্রকোষ্ঠটিকে শক্তিশালী করেছে, তাই উপরের বিরাট চূড়াটিকে এ প্রকোষ্ঠটির পক্ষে ধারণ করা সম্ভব হয়েছে।বর্তমানে ধ্বংসপ্রাপ্ত বাকি আটটি অলংকৃত চূড়া নিচের দু’তলার ছাদের আটটি কোণে সংযোজন করা হয়েছিল। নিচতলার বাঁকা কার্নিস কোণগুলিতে এসে ঝুলে আছে। এর মধ্যবাগ কিছুটা উঁচু হওয়ায় ভিত্তি থেকে এর উচ্চতা দাড়িয়েছে ২৫ ফুট, যার দ্বিতীয় তলার উচ্চতা ১৫ ফুট এবং তৃতীয় তলার ৬‘-৬‘‘। নিচের চারকোণের প্রত্যেকটির সঙ্গে একটি করে ছোট প্রকোষ্ঠ রয়েছে এবং এগুলি দ্বিতীয় তলার উপরে স্থাপিত কারুকার্য খচিত অষ্টকোণাকৃতির কোণের বুরুজগুলির ভর বহন করছে। নিচতলার প্রার্থনা ঘরের চারদিকে মন্দিরে মোট চারটি আয়তাকার বারান্দা রয়েছে।নিচতলার প্রত্যেক দিকের প্রবেশ পথে বুহু খাঁজ যুক্ত খিলান রয়েছে। সমৃদ্ধ অলংকরণ যুক্ত দুটি ইটের স্তম্ভ দ্বারা প্রতিটি খিলানকে পৃথক করা হয়েছে। নিচতলার চার প্রকোষ্ঠের বাইরে মোট ২১টি খিলান দরজা আছ], আর দ্বিতীয় তলায় এ খিলান দরজার সংখ্যা ২৭টি। ছোট হয়ে আসা তৃতীয় তলার মাত্র তিনটি প্রবেশ দরজা এবং তিনটি জানালা রয়েছে। পশ্চিম দিকের দ্বিতীয় বারান্দা থেকে ২‘-৩‘‘প্রশস্ত সংর্কীণ সিঁড়ি পথ উপরে উঠে গিয়েছে। অন্ধকারাচ্ছন্ন এ প্রবেশ পথ এঁকে বেঁকে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় উঠে গিয়েছে। পূজারীদের চালার বাইরে প্রধান মন্দিরের প্রায় একশগজ দূরে আগাছায় ছাওয়া একটি এক চূড়া বিশিষ্ট ছোট ধ্বংসপ্রাপ্ত মন্দির রয়েছে।

ইতিহাস

সম্পাদনা

মন্দিরের নির্মাণ তারিখ নিয়ে যে সন্দেহ ছিল তা অপসারিত হয় মন্দিরের পূর্বকোণের ভিত্তি দেয়ালের সঙ্গে সংযুক্ত সংস্কৃত ভাষায় লেখা কালানুক্রম জ্ঞাপক একটি শিলালিপি থেকে। সূত্র অনুযায়ী দিনাজপুরের মহারাজ প্রাণনাথ ১৭২২ সালে এ মন্দিরের নির্মাণ কাজ শুরু করেন এবং তাঁর স্ত্রী রুকমিনির আদেশে পিতার ইচ্ছা পূরণ করার জন্য মহারাজের দত্তকপুত্র মহারাজ রামনাথ ১৬৭৪ সালে (১৭৫২) মন্দিরটির নির্মাণ সম্পন্ন করেন। বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে মহারাজা গিরিজানাথ বাহাদুর ধ্বংস হয়ে যাওয়া নয়টি শিখর বাদে মন্দিরটির ব্যাপক পুনর্গঠন করেছিলেন। ধারণা করা হয়, গঙারামপুরের (দিনাজপুর) নিকট বাননগরের প্রাচীর ধ্বংসাবশেষ থেকে নির্মাণ উপকরণ এনে এটি তৈরি করা হয়েছিল। প্রচলিত ধারণা মতে মহারাজ প্রাণনাথ ১৭০৪ সালে এ মন্দিরটি তৈরি করে এখানে কৃষ্ণের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন। এটি সাময়িকভাবে বৃন্দাবন থেকে আনা হয়েছিল। নবরত্ন মন্দির তৈরি সমাপ্ত হলে এ মূর্তিটি এখানে স্থানান্তর করা হয়। এটি এখন একটি পরিত্যক্ত দেবালয়। এ মন্দিরটি ছিল ১৬ পার্শ্ব সংবলিত সৌধ এবং এর উচ্চতা ছিল ৪০ ফুট এবং এর দক্ষিণ দিকে প্রবেশ পথে ছিল বহু খাঁজবিশিষ্ট খিলান।

অলংকরণ

সম্পাদনা

শিল্পীগণ অত্যন্ত উচ্চমানের পরিশীলিত এবং পরিণত শিল্পের বিকাশ ঘটিয়েছিলেন, যেখানে সমন্বিত ধারায় অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে অলঙ্করণ করা হয়েছিল। বিচ্ছিন্ন ধারায় প্রাচীন শিল্প ঐতিহ্যের বিপরীতে এবং কিছুটা অসংলগ্ন বিন্যাসে এ মন্দিরের শিল্পের সমন্বয় ঘটেছিল বেশ কিছু স্বতন্ত্র ফলকে এবং বিস্তৃতভাবে শিল্প প্রকরণের যে সমন্বিত রুপের প্রকাশ ঘটেছিল তার মধ্যে এক ধরণের ছন্দ লক্ষ করা যায়। এরই প্রভাবে কার্পেট ও অন্যান্য সূচী শিল্পে এ ঐশ্বর্যশালী অলঙ্করনের ব্যবহার প্রায়শই লক্ষ্য করা যায়। পোড়ামাটির অলংকরণ ভিত্তি থেকে শুরু করে মন্দিরের চূড়া পর্যন্ত ভেতরে ও বাইরে দেয়ালের প্রতিটি ইঞ্চিতে তিনটি পৌরাণিক কাহিনীর অনুসরণে মনুষ্য মূতি ও প্রাকৃতিক বিষয়াবলি বিস্ময়করভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। মহাভারত ও রামায়ণের বিস্তৃত কাহিনী এবং অসংখ্য পাত্র-পাত্রীর বিন্যাস ঘটেছে এখানে। কৃষ্ণের নানা কাহিনী, সমকালীন সমাজ জীবনের বিভিন্ন ছবি এবং জমিদার অভিজাতদের বিনোদনের চিত্র প্রতিভাত হয়েছে। পোড়ামাটির এ শিল্পগুলির বিস্ময়কর প্রাচুর্য, মূর্তির গড়ন কোমল ভাব ও সৌন্দর্য এত যত্নের সঙ্গে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে যে, বাংলার যে কোন ম্যূরাল চিত্রের চেয়ে তা অনেক উৎকৃষ্ট। কেউ যদি মন্দির দেয়ালের অলংকরণের দৃশ্য যে কোন দিক থেকে গভীর মনোযোগের সঙ্গে দেখেন এবং বিষয়বস্তুকে সমন্বিত করেন, তবে এর বিষয় বৈচিত্র দেখে অবাক বিস্ময়ে অভিভূত হবেন। মন্দিরের বাইরের দেয়ালের পোড়ামাটির অলংকরণের সাধারণ যে চিত্র, তাতে চারদিকের ভিত্তি প্যানেলের নিম্নাংশে চিত্রগুলি সমান্তরাল ভাবে চারটি প্রবেশ পত্রের দিকে এগিয়ে গিয়েছে। এ দিক থেকে ভিত্তির উপরে যেসব নকশা রয়েছে তা হল-

  • লতা পাতার মধ্যে প্রস্ফুটিত গোলাপ এবং এর বিকল্প হিসেবে কোথাও চারটি ধাতুর পাতে ধাতব প্রলেপযুক্ত ডিজাইন
  • স্তম্ভের কার্নিসে যে প্রতিকৃতি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, তার মধ্যে সমসাময়িক সামাজিক চিত্র ও মাটির খন্ডে তৈরী অভিজাত জমিদারদের শিকারের দৃশ্য প্রস্ফুটিত হয়েছে *উপরের সমান্তরাল প্যানেলে সূক্ষ্ম জটিল অলংকরণের মাঝে প্রস্ফুটিত গোলাপ ছিল

এসব নকশা সাধারণত ষাট গম্বুজ মসজিদ, বাঘা মসজিদ, কুসুম্বা মসজিদছোট সোনা মসজিদ প্রভৃতির গায়ে লক্ষ্য করা যায়। দ্বিতীয় পর্যায়ের অলংকরণের উজ্জ্বল নিদর্শনসমূহ হচ্ছে বনের ভেতর শিকার দৃশ্য, হাতি, ঘোড়া, উট সহযোগে রাজকীয় শোভাযাত্রা এবং অভিজাতদের জন্য চমৎকারভাবে তৈরী গরুর গাড়ি। তাদের গায়ে ছিল মুগল পোশাক ও অস্ত্র। সুন্দরভাবে সজ্জিত হাতি এবং ঘোড়া। এদের সঙ্গে যুক্ত রথসমূহ কারুকার্য সমৃদ্ধ ছিল। অলংকৃত পালকিতে গুটিসুটি মেরে বসে থাকা নাদুস-নুদুস দেহের জমিদার, হাতে তার বিলাসী হুক্কা। হুক্কার অন্যদিকে লম্বা নল থেকে ধূঁয়ার কুন্ডুলি ছুড়ছেন। অন্যদিকে নদীর দৃশ্য রয়েছে, যেখানে লোকজনে ঠাসা সর লম্বা নৌকায় সকলে আন্দোৎসবে মগ্ন। ছোট ছোট সৈন্যদলের গায়ে রয়েছে ইউরোপীয় পোশাক, খোলা তলোয়ার ও শিরস্ত্রাণ পরিহিত অবস্থায় তারা এগিয়ে যাচ্ছে। তৃতীয় ধাপের অলঙ্করণে রয়েছে পৌরাণিক কাহিনীর চিত্রণ। এখানে লৌকিকভাবে কৃষ্ণর প্রতিকৃতি তৈরী করা হয়েছে। এ পর্যায়ের পোড়ামাটির অলঙ্করণে রয়েছে দানব রাজা কংস কিশোর কৃষ্ণকে বধ করতে উদ্ধত, কৃষ্ণ কর্তৃক রাক্ষস পাতনা এবং সারস গলার দানব বাকাসুর হত্যা, গোবর্ধন পার্বতকে উপরে ফেলে কেশি হত্যা; স্বর্প দানব কালিয়াকে দমন এবং লম্বা সরু নৌকায় কৃষ্ণের আনন্দ ভ্রমণ ইত্যাদি। মন্দিরের দক্ষিণ মুখে কিছু বিভ্রান্তকর দৃশ্যসহ রামায়ণের কাহিনী ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। রামায়ণের কাহিনীর চিত্র পূর্ব প্রান্তের সীমানা পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। এখানে পঞ্চবটীর বনে রাম চন্দ্র, সীতা ও লক্ষণের বনবাসের রুপায়ণ রয়েছে, সূর্পনখার নাকে আঘাতরত লক্ষণ, দন্ডকের বন থেকে রাবন কর্তৃক সীতা অপহরণ; রাবণের রথকে বাঁধা প্রদানে জটায়ুর ব্যর্থ প্রচেষ্টা, অশোক বনে সীতার বন্দি জীবন; কিশকিন্দিয়ার সিংহাসনের জন্য বালী এবং বানর অনুসারী সহ সুগ্রীভের যুদ্ধ। এছাড়াও আকর্ষণীয় ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে রাম চন্দ্রের সপ্ততলা বেদ এবং বানর অনুসারীসহ রামচন্দ্রের সঙ্গে আলাপ আলোচনায় রত ছিলেন সুগ্রীভ। উত্তর দিকের প্রতিমূর্তিগুলির মধ্যে প্রাধান্য বিস্তার করেছিল কৃষ্ণ বলরাম। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল কৃষ্ণের বিভিন্ন বিয়ের ছবি; গোয়ালিনী দন্ডের দু্ই মাথায় ঝোলানো শিকায় (পাটের ঝোলা) দুধ ও দৈ বহন করে নিয়ে যাচ্ছে। অলঙ্করণের দ্বিতীয় ধাপে একটি আকর্ষণীয় ইউরোপীয় যুদ্ধ জাহাজ খোদিত হয়েছে। এখানে সূক্ষ্ম ও বিস্তারিতভাবে দৃশ্যমান রয়েছে সৈনিক এবং কামান।পশ্চিম দিকের পুরো অংশেই তৃতীয় ধাপের সূক্ষ্ম অলঙ্করণে কৃষ্ণ কাহিনীর বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে। এ অলঙ্করণ শেষ হয়েছে মধুরার দানব রাজা কংসকে হত্যার মধ্য দিয়ে। এখানে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে কংসের দানবাকৃতির খুনে হাতি কবল্লপীড়ার ধ্বংস, মথুরায় কংসের সঙ্গে দ্বন্দ্ব যুদ্ধে কৃষ্ণকে অংশগ্রহণে বিরত করতে না পেরে রাধার জ্ঞান হারানো। এসব চিত্রের মধ্যে দন্ডের দুই প্রান্তে ঝোলানো শিকাতে দুধ ও মাখন বহন করা গোয়ালার চিত্র খুবই আকর্ষণীয়, যা এখনও গ্রাম বাংলার অতি পরিচিত দৃশ্য।বহু খাঁজ বিশিষ্ট খিলানের স্প্যান্ড্রিলের উপরে সম্প্রসারিত প্যানেলে চমৎকারভাবে দৃশ্যমান করা হয়েছে মহাকাব্যগুলির প্রাণবন্ত যুদ্ধের দৃশ্যাবলি। এতে আরও দেখানো হয়েছে একটি বৃত্তের ভেতর নৃত্যরত রাধাকৃষ্ণের যুগলশূর্তিসহ রস-মন্ডল ও এর সাথে অন্যান্য সহায়ক মূর্তি। কুরুক্ষেত্র ও লঙ্কার প্রচন্ড যুদ্ধের দৃশ্যাবলি রুপায়নে স্থানীয় লোকশিল্পীদের কল্পনা ও প্রচুর প্রাণশক্তির প্রকাশ ঘটেছে।আপাতঃদৃষ্টিতে মন্দিরের দেওয়ালে ব্যাপকভাবে পোড়ামাটির চিত্র অলঙ্করণকারী লোকশিল্পীদের অনেকেই এসেছিলেন কৃষ্ণনগর থেকে। তারা তাদের পরিচিত পরিবেশের প্রভাব শিল্পকর্মে প্রতিফলিত করেছেন। প্যানেলে সূক্ষ্মভাবে চিত্রায়িত দেবতাগণের আদল কখনও কখনও বিস্ময়করভাবে তাদের সমাজের পরিচিত সদস্যদের সঙ্গে ঘনিষ্টভাবে মিলে গিয়েছিল। উদাহরণ হিসেবে পশ্চিমের সম্মুখভাগের নিচের দিকের প্যানেলের পোড়ামাটির অলঙ্করণগুলির কথা বলা যেতে পারে। এখানে কৃষ্ণ গাছ থেকে নারকেল পাড়ছিলেন এবং গাছের অর্ধেক পর্যন্ত আরোহণ করা তাঁর এক সঙ্গীর হাতে এটি তুলে দিচ্ছেন এবং নিচে অপেক্ষারত অন্য সঙ্গীর হাতে সে দিচ্ছিল নারকেলটি। এটি ছিল বাংলার একটি পরিচিত দৃশ্য। এখানে দেবতাকে এ সমাজের একজন পরিচিত ও ঘনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে দেখানো হয়েছে। কতিপয় স্বতন্ত্র ফলক চিত্রও রয়েছে যেখানে স্বভাবিক বৈশিষ্ট্যের প্রতিফলন ছিল। যেমন দক্ষিণ দিকে বারান্দার ভেতর দিকে একটি ফলক রয়েছে যেখানে রাধা-কৃষ্ণ একটি হাতির ওপর নৃত্য করছেন, একই সঙ্গে বেশ দক্ষতায় ডজন খানেক মানব মূর্তিও উৎর্কীণ করা হয়েছে। উত্তর দিকের দেওয়ালে কৃষ্ণ তাঁর একজন নবপরীণিতা স্ত্রীর সঙ্গে চাঁদোয়ার নিচে কটি পিঁড়িতে (নিচু করে তৈরী কাঠের আসন) বসেছেন। নববধু লাজনম্রভাবে অবগুন্ঠন দিয়ে আছেন এবং একহাত দিয়ে ধরে আছেন নিজের মাথা। তিনি চকিত দৃষ্টি দিচ্ছেন তাঁর প্রভুর দিকে। এটি বাংলার সুপরিচিত বিয়ের দৃশ্যের প্রতিফলন। কার্ণিসে অলংকৃত বিশৃঙ্খল জনতাদের মধ্যে হাঁটু ও পেছন দিক একটি গামছা পেঁচিয়ে (কাপড়ের টুকরো) হাঁটু ভাঁজ করে গুটিসুটি মেরে নির্লিপ্তভাবে বসে থাকা কৃষ্ণ, এমন দৃশ্যও কেউ খুঁজে পেতে পারেন। এ ভঙ্গি বাঙালিদের মধ্যে দেখা যায় না। তবে এ দৃশ্যের মিল পাওয়া যায় বিহারের শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে।যাহোক, কান্তজীর মন্দিরের চমৎকার পোড়ামাটির অলঙ্করণের একটি বৈশিষ্ট্যপূর্ণ দিক হলো যে, এতে কামদ দৃশ্যাবলির চিত্র অঙ্কন করা হয়নি, যেমনটি দেখা যায় উড়িষ্যা ও দক্ষিণ ভারতীয় মন্দিরসমূহে। কান্তজীর মন্দিরের দেওয়ালের ওপর পোড়ামাটির এ বিশাল অলঙ্করণ সে সময়ের জীব ও প্রাণশক্তিরই প্রকাশ ছিল এবং হাজার বছর ধরে বাংলাদেশের পলিময় মাটিতে লালিত শক্তির ভেতর থেকেই এ শিল্প বেড়ে উঠেছিল। বাংলাদেশের মতো এমন ব্যাপক উর্বর পলিময় ভূমিতে পাথরের অভাব হেতু দেশীয় ধারায় পোড়ামাটি শিল্পের বিকাশ যৌক্তিক কারণেই ঘটেছিল। আদি ঐতিহাসিক যুগে, বিশেষ করে পাল চন্দ্র বংশের আমলে যখন পাহাড়পুর, ময়নামতী, ভাসু বিহার এবং সিতাকোটে বৌদ্ধ মন্দির এবং অন্যান্য ইমারতসমূহ লতা-পাতা ও পোড়ামাটির মূর্তি দিয়ে প্রাণবন্ত ছিল, তখন থেকেই এ রুপকারক শিল্পের বিকাশ ঘটেছিল। এ সমস্ত পোড়ামাটির ফলক ছিল বড় আকৃতির এবং কিছুটা সেকেলে ধরণের। কিন্তু কান্তনগর মন্দিরের দেওয়াল সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রকৃতির।

রুহান রুহান
চিত্র:রুহান রুহান.jpg
রুহান রুহান বইয়ের প্রচ্ছদ
লেখকমুহাম্মদ জাফর ইকবাল
প্রচ্ছদ শিল্পীধ্রুব এষ
দেশ  বাংলাদেশ
ভাষাবাংলা
ধরনবৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী
প্রকাশিতবইমেলা ২০০৬
প্রকাশকসময় প্রকাশন, ৩৮/২ ক বাংলাবাজার, ঢাকা।
প্রকাশনার তারিখ
২০০৬
মিডিয়া ধরনছাপা (হার্ডকভার)
আইএসবিএন ৯৮৪-৪৫৮-২৮৩-০

মুহাম্মদ জাফর ইকবালের একটি বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী হলো রুহান রুহান। বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ২০০৬ সালের বইমেলায়। বইটির প্রচ্ছদ ও অলংকরন করেছেন ধ্রুব এষ

এই কল্পবিজ্ঞানটি ভবিষ্যৎ এর পৃথিবীকে নিয়ে যেখানে পুরো সমাজব্যবস্থা ভেঙে গিয়েছে। মানুষ মানুষকে বিক্রী করে দিচ্ছে, যার ক্ষমতা আছে সেই সবকিছু দখল করে নিচ্ছে। এই গল্পের নায়ক রুহান নামের এক তরুণ পৃথিবীর এই দু:সময়ে মানুষকে একত্রিত করে প্রতিবাদ করে।[]

প্রকাশনা সংস্থা

সম্পাদনা

সময় প্রকাশন, ৩৮/২ ক বাংলাবাজার, ঢাকা।[]

কম্পিউটার কম্পোজ

সম্পাদনা

ওয়াটার ফ্লাওয়ার, ২৮/এ, কাকরাইল।[]

মুদ্রণ

সম্পাদনা

সালমানী প্রিন্টার্স, মগবাজার, ঢাকা।

[[Ban]]

জন্ম ও পরিচয়

সম্পাদনা

ওয়াহিদ ইবনে রেজা ঢাকায় জন্মগ্রহন করেন৷ তাঁর পিতা অধ্যাপক মোহাম্মদ রেজাউল করিম এবং মা অ্যাডভোকেট সুরাইয়া করিম মুন্নী। তাঁর বাবা দেশ বরেণ্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।

শিক্ষাজীবন

সম্পাদনা

ওয়াহিদ ইবনে রেজা ১৯৯৮ সালে গভঃ ল্যাবরেটরি হাই স্কুল, ঢাকা থেকে মাধ্যমিক এবং ২০০০ সালে নটর ডেম কলেজ, ঢাকা থেকে কৃতিত্বের সাথে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন। পরবর্তীতে তিনি বুয়েট থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং-এ বিএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর চলচ্চিত্র নির্মাণের উপরে ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়া থেকে বিএফএ ডিগ্রি অর্জন করেন।[]

কর্মজীবন

সম্পাদনা

কলেজ জীবন থেকেই সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন। এই আগ্রহ থেকেই তিনি আহসান হাবীব এর দেশবিখ্যাত উন্মাদ এ ২০০১ সাল থেকে সক্রিয়ভাবে কাজ করতে থাকেন। পরে উন্মাদের স্টাফ রাইটার থেকে শুরু করে শেষ অব্দি অ্যাসোসিয়েট এডিটর হন। লেখক ও নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদ এর ধারাবাহিক সহ বেশ কিছু টেলিভিশন চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। সময়ভেদে তিনি মডেল, উপস্থাপক এবং অভিনেতা হিসাবে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নিজেকে বিকশিত করেছেন। মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর পরিচালনায় তিনি হোয়াইট প্লাস টুথ পেস্টের বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে কাজ করে প্রচুর জনপ্রিয়তা লাভ করেন। []

সাহিত্য জীবন

সম্পাদনা

অভিনয়ের পাশাপাশি টিভি নাটক ও বিজ্ঞাপন লেখালেখিতে যুক্ত হন ২০০৭ সাল থেকে। প্রথমে ইউনিট্র্যান্ড, ক্যারোট কমিউনিকেশন্স হয়ে ২০১০ সালে এক্টিং কপি হেড হিসেবে যুক্ত হন গ্রে ঢাকা তে। তাঁর লেখা বইগুলোর নিম্নোক্ত:[]

ক্রমিক নাম বছর বিষয় পুরস্কার প্রাপ্তি ও নোট
০১ দেবী ২০০৩ কবিতা
০২ কাব্যখাতা ২০০৬ কবিতা
০৩ কথোপকথন ২০০৭ কবিতা
০৪ হ্যাব এ জোক প্লিজ ২০০৭ জোকস
০৫ লাভ বাইটস ২০০৮ জোকস
০৬ লাভ বাইটস ২ ২০০৯ জোকস
০৭ গুটি কবিতার হাট ২০১২ কবিতা
০৮ কবিতা সংক্রান্তি ২০১৫ কবিতা
০৯ আত্মপচানিমূলক রস: সেল্ফ ডিপ্রেটিং হিউমার [] ২০১৯ ব্যঙ্গ ও রম্য রচনা

২০১৩ সালে তিনি বার্ডেল এনিমেশন স্টুডিওতে রিক এন্ড মরটি এনিমেটেড সিরিজে প্রডাকশন এসিস্ট্যান্ট হিসাবে কাজ শুরু করার মাধ্যমে হলিউডের প্রোডাকশনে তার যাত্রা শুরু করেন। পরে ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার এমিপিস ও ম্যাথোড স্টুডিওস এ কাজ করেন। ২০১৭ সালে তিনি সনি পিকচার্স ইমেজওয়ার্কস এ অ্যাসোসিয়েট প্রোডাকশন ম্যানাজারের পদ পান।

প্রতিষ্ঠান

সম্পাদনা

তিনি নিম্নোক্ত প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন-

  • বারডেল এন্টারটেইনমেন্ট ইন্টারকর্পারেশন
  • মুভিং পিকচার কোম্পানি
  • ম্যাথোড ভিএফক্স স্টুডিওস
  • সনি পিকচার্স ইমেজওয়ার্কস

উল্লেখযোগ্য কাজসমূহ

সম্পাদনা

এখন পর্যন্ত তিনি এমি পুরস্কার বিজয়ী রিক এন্ড মরটি এবং গেম অব থ্রোনস এ কাজ করেছেন।[]এছাড়া কাজ করেছেন অস্কার নমিনেশন প্রাপ্ত সিনেমা ডক্টর স্ট্রেঞ্জ, গার্ডিয়ান্স অব দ্যা গ্যালাক্সি ভলিউম টু, ব্ল্যাক প্যান্থার ও অ্যাভেঞ্জার্স: ইনফিনিটি ওয়ার এ।[]

দেশের জন্য অবদান

সম্পাদনা

বাংলায় প্রথম থ্রিডি অ্যানিমেশন কার্টুন সিরিজ চাচা বাহিনীর আজব কাহিনি তিনি প্রযোজনা করেছেন।[] সম্প্রতি তিনি বাংলাদেশের প্রথম মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক টুডি অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র সারভাইভিং:৭১ তৈরি করছেন।[১০] তাঁর বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং সেই অনুপ্রেরণাতেই তিনি এই কাজটি হাতে নিয়েছেন।

চলচ্চিত্রের তালিকা

সম্পাদনা
ক্রমিক বছর চলচ্চিত্র ভূমিকা প্রোডাকশন পুরস্কার
০১ ২০১৪ নাইট অ্যাট দ্যা মিউজিয়াম:সিক্রেট আব দ্যা টোম্ব ভিজুয়াল এফএক্স কো-অর্ডিনেটর টুয়েন্টিথ সেঞ্চুরি ফক্স, হলিউড -
০২ ২০১৪ এক্সিডিস:গডস অ্যান্ড কিংস ভিজুয়াল এফএক্স কো-অর্ডিনেটর হলিউড -
০৩ ২০১৫ ফিউরিয়াস ৭ ভিজুয়াল এফএক্স কো-অর্ডিনেটর ইউনিভার্সাল পিকচার্স, হলিউড -
০৪ ২০১৫ ফিফটি শেডস অব গ্রে ভিজুয়াল এফএক্স কো-অর্ডিনেটর ইউনিভার্সাল পিকচার্স, হলিউড
০৫ ২০১৬ ডক্টর স্ট্রেঞ্জ ভিজুয়াল এফএক্স কো-অর্ডিনেটর মার্ভেল স্টুডিওস, হলিউড -
০৬ ২০১৬ ক্যাপ্টেন অ্যামেরিকা: সিভিল ওয়ার ভিজুয়াল এফএক্স কো-অর্ডিনেটর মার্ভেল স্টুডিওস,হলিউড -
০৭ ২০১৬ ব্যাটম্যান ভার্সেস সুপারম্যান: ডন অব জাস্টিস ভিজুয়াল এফএক্স কো-অর্ডিনেটর ডি.সি এন্টারটেইনমেন্ট হলিউড -
০৮ ২০১৮ গার্ডিয়ানস অব দ্যা গ্যালাক্সি: ভলিউম ২ ভিজুয়াল এফএক্স কো-অর্ডিনেটর মার্ভেল স্টুডিওস,হলিউড -
০৯ ২০১৮ হোটেল ট্রান্সেলভ্যানিয়া ৩:সামার ভ্যাকেশন অ্যাসোসিয়েট প্রোডাকশন ম্যানেজার সনি পিকচার্স, হলিউড -
১০ আসছে অ্যাংরি বার্ডস-২ ভিজুয়াল এফএক্স কো-অর্ডিনেটর হলিউড -
১১ আসছে সারভাইভিং:৭১[১১] ভিজুয়াল এফএক্স কো-অর্ডিনেটর, প্রযোজনা, পরিচালনা হলিউড, বাংলাদেশ -

টিভি সিরিজ

সম্পাদনা
ক্রমিক বছর চলচ্চিত্র ভূমিকা প্রোডাকশন পুরস্কার
০১ ২০১২-২০১৩ সুটস প্রোডাকশন ক্রু হলিউড -
০২ ২০১৩ ডেফিয়েন্স প্রোডাকশন ক্রু হলিউড -
০৩ ২০১৩-২০১৪ রিক অ্যান্ড মর্টি প্রোডাকশন অ্যাসিস্ট্যান্ট হলিউড -
০৪ ২০১৪ গেম অব থ্রোনস ভিজুয়াল এফএক্স কো-অর্ডিনেটর ওয়ার্নার ব্রস. টেলিভিশন ডিস্ট্রিবিউশন, হলিউড -
০৫ ২০১৮ চাচা বাহিনীর আজব কাহিনী প্রযোজনা ম্যাভেরিক স্টুডিও,হলিউড -

উল্লেখযোগ্য শর্ট ফিল্ম ও অন্যান্য

সম্পাদনা
ক্রমিক বছর চলচ্চিত্র ভূমিকা প্রোডাকশন পুরস্কার
০১ ২০১৩ হোয়াট অ্যাম আই ডুইং হেয়ার অভিনেতা, লেখক, পরিচালক, প্রযোজক হলিউড বেস্ট স্টুডেন্ট ফিল্ম - সারি ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল
০২ ২০১৪ ফুলস ফর হায়ার অভিনেতা হলিউড শ্রেষ্ঠ সহঅভিনেতা এলএ ওয়েব ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল
০৩ ২০১৫ টেরোরিস্ট প্রযোজক হলিউড বেস্ট স্টুডেন্ট ফিল্ম - এফ.এফ.এম- মন্ট্রিল এবং এডমন্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল

অর্জন ও পুরস্কার

সম্পাদনা

হোয়াট অ্যাম আই ডুইং হেয়ার (২০১৩) শর্ট ফিল্মটির জন্য তিনি সারি ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ২০১৪ তে বেস্ট স্টুডেন্ট ফিল্ম পুরস্কার জিতে নেন।

FFM-Montreal ২০১৫ সিনেমা উৎসবে তিনি বেস্ট স্টুডেন্ট ফিল্ম পুরস্কার পান।

২০১৫ সালে এডমন্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে আবারো বেস্ট স্টুডেন্ট ফিল্ম পুরস্কার পান।

দ্যা গোল্ডেন এগ ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল এ তিনি হোয়াট অ্যাম আই ডুইং হেয়ার (২০১৩) শর্ট ফিল্মটি বেশ আলোচিত হয় এবং সুনাম অর্জন করে। তিনি ফিল্মটিতে নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোকে তুলে ধরেছেন নান্দনিক উপায়ে। এই ফিল্মটির জন্যই তিনি GEFF LA award এ মনোনীত হন ৪টি বিষয়ে।[১২]

  • সেরা শর্ট ফিল্ম
  • সেরা অভিনেতা
  • সেরা পরিচালক
  • বেস্ট অরিজিনাল স্ক্রিন প্লে[১৩]

ছবিয়াল

সম্পাদনা

Hi. I am Ruhan from Bangladesh. I usually remain so much active in Bangla Wikipedia. I am autopatroller, file mover, reviewer, rollbacker, autoconfirmed user in Bangla Wikipedia you can verify here.[1] Now Besides Bangla Wikipedia I want to Contribute in English Wikipedia. I have sufficient knowledge about English Grammer and syntax. I hope if I get the access My edits will more smooth to help English Wikipedia to be more enriched.

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. https://www.goodreads.com/book/show/3923205
  2. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল (ফেব্রুয়ারি ২০০৬)। রুহান রুহান। সময় প্রকাশন, ৩৮/২ ক বাংলাবাজার, ঢাকা। পৃষ্ঠা ইনার পেজ। আইএসবিএন 984-458-283-0 
  3. https://m.imdb.com/name/nm4485867/?ref_=fn_al_nm_1
  4. https://en.prothomalo.com/entertainment/news/134495/From-cartoons-to-Hollywood
  5. https://www.rokomari.com/book/author/5308/%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A6-%E0%A6%87%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%9C%E0%A6%BE
  6. http://assetsds.cdnedge.bluemix.net/arts-entertainment/news/wahid-ibn-rezas-self-depreciating-humor-ekushey-boi-mela-1702702
  7. https://english.kalerkantho.com/online/entertainment/2018/02/05/6260
  8. https://www.prothomalo.com/entertainment/article/1576389/%E0%A6%85%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%9C-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%9B%E0%A6%AC%E0%A6%BF
  9. http://www.banglatribune.com/entertainment/news/379435/%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A5%E0%A6%AE-%E0%A6%A5%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%A1%E0%A6%BF-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%9C
  10. https://www.dhakatribune.com/showtime/2017/11/07/wahid-ibn-reza-surviving-71-will-hand-drawn-2d-animated-movie
  11. https://www.observerbd.com/details.php?id=104533
  12. https://m.imdb.com/name/nm4485867/awards?ref_=m_nm_awd
  13. https://www.thedailystar.net/bangla/%E0%A6%B6%E0%A7%80%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7-%E0%A6%96%E0%A6%AC%E0%A6%B0/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BF-%E0%A6%9A%E0%A6%B2%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A6-%E0%A6%87%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8B%E0%A6%A8%E0%A7%9F%E0%A6%A8-88660

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা

আরো দেখুন

সম্পাদনা

ফুলবাড়ি

সম্পাদনা

১৭ এপ্রিল দিনাজপুরের ফুলবাড়ি উপজেলার গণহত্যা দিবস।১৯৭১ সালের ১৭ই এপ্রিল দেশে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি খানসেনা ও তাদের এ দেশীয় রাজাকার, আলবদর ও আল-শামসদের হাত থেকে প্রাণে বাঁচতে মুক্তিকামী মানুষ যখন বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাচ্ছিল ঠিক এমনই এক সময় আজকের এই দিনে ফুলবাড়ি উপজেলার পার্শ্ববর্তী আফতাবগঞ্জ, বিরামপুর, শেরপুর, খোলাহাটি, বদরগঞ্জ ও ভবানীপুর এলাকার অর্ধশত হিন্দু পরিবারের দেড় শতাধিক নারী-পুরুষ, শিশু ও কিশোর-কিশোরীকে ফুলবাড়ি সীমান্ত দিয়ে নিরাপদে ভারতে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে ফুলবাড়িতে নিয়ে আসে পার্শ্ববর্তী পার্বতীপুর উপজেলার (বর্তমান ফুলবাড়ি) রামচদ্রপুর গ্রামের কুখ্যাত রাজাকার কেনান সরকার। কিন্তু কেনান সরকার ঐ পরিবারগুলোকে ভারতে পৌঁছে না দিয়ে তুলে দেয় ফুলবাড়িতে অবস্থানরত খানসেনাদের হাতে। এর পরিবর্তে কেনান সরকার হাতিয়ে নেয় ঐ পরিবারগুলোর সাথে থাকা বিপূল অংকের নগদ অর্থসহ স্বর্ণালংকার। খানসেনারা আটক পরিবারের নারী-পুরুষ, শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের ধরে নিয়ে আসে আঁখিরা পুকুর পাড়ে। সকাল ১১টায় সকলকে পুকুর পাড়ে লাইন ধরে দাড়িয়ে রেখে স্টেনগানের ব্রাশ ফায়ারে গুলি করে পাখির মতো হত্যা করে। এ সময় দু’একজন শিশু-কিশোর প্রাণে বেঁচে গেলেও পরে তাদেরকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে। স্বাধীনের পর ঐ এলাকায় বীর ঐসব শহীদদের হাঁড়, মাথার খুলি ছিড়িয়ে ছটিয়ে দেখতে পায় এলাকাবাসী। দেশ স্বাধীনের পর রাজাকার কেনান সরকারকে মুক্তিযোদ্ধারা হত্যা করে প্রতিশোধ নেন। দেশ স্বাধীনের পর থেকে আঁখিরা বধ্যভূমিটি সংরণসহ সেখানে বীর ঐসব শহীদদের স্মৃতি উদ্দেশ্যে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের জন্য মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষ থেকে একাধিকবার উদ্যোগ নেয়া হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি।