বেন সিলি

ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার

বেঞ্জামিন জেমস সিলি (ইংরেজি: Ben Sealey; জন্ম: ১২ আগস্ট, ১৮৯৯ - মৃত্যু: ১২ সেপ্টেম্বর, ১৯৬৩) ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর সেন্ট যোসেফ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৩৩ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

বেন সিলি
১৯৩৩ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে বেন সিলি
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামবেঞ্জামিন জেমস সিলি
জন্ম(১৮৯৯-০৮-১২)১২ আগস্ট ১৮৯৯
সেন্ট যোসেফ, ত্রিনিদাদ
মৃত্যু১২ সেপ্টেম্বর ১৯৬৩(1963-09-12) (বয়স ৬৪)
পোর্ট অব স্পেন, ত্রিনিদাদ
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি মিডিয়াম
ভূমিকাব্যাটসম্যান
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
একমাত্র টেস্ট
(ক্যাপ ৩৬)
১২ আগস্ট ১৯৩৩ বনাম অস্ট্রেলিয়া
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৫১
রানের সংখ্যা ৪১ ২,১১৫
ব্যাটিং গড় ২০.৫০ ২৯.৩৭
১০০/৫০ ০/০ ৪/৯
সর্বোচ্চ রান ২৯ ১১৬
বল করেছে ৩০ ৫,১৬৮
উইকেট ৭৮
বোলিং গড় ১০.০০ ২৫.৯৭
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ১/১০ ৫/২২
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ০/– ২২/০
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৪ এপ্রিল ২০২০

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে ত্রিনিদাদ দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন বেন সিলি

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট সম্পাদনা

১৯২৩-২৪ মৌসুম থেকে ১৯৪০-৪১ মৌসুম পর্যন্ত বেন সিলি’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। বেন সিলি আক্রমণাত্মক ভঙ্গীমার অধিকারী ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ৪২ বছর বয়সে ১৯৪১ সাল পর্যন্ত সর্বশেষ প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলা চালিয়ে গেছেন।

আক্রমণধর্মী মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান, মিডিয়াম-পেস কিংবা লেগ ব্রেক বোলারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে তিনি। এছাড়াও, পিচের যে-কোন প্রান্তে তিনি অবস্থান করে ফিল্ডিং করতেন। ক্যারিবীয় দ্বীপ ত্রিনিদাদের সেন্ট যোসেফ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বেন সিলি বিশের মাঝামাঝি বয়সে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলতে শুরু করেন। একবার বার্বাডোসে জন্মগ্রহণকারী দলের সদস্যরূপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাদ-বাকী একাদশের বিপক্ষে খেলেছিলেন। তবে, ত্রিনিদাদীয় হিসেবে খেলোয়াড়ী জীবন সম্পন্ন করেছিলেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সম্পাদনা

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন বেন সিলি। ১২ আগস্ট, ১৯৩৩ তারিখে ওভালে স্বাগতিক ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। এরপর আর তাকে কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি।

১৯৩৩ সালে জ্যাকি গ্র্যান্টের অধিনায়কত্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে অন্তর্ভুক্ত হন ও ইংল্যান্ড গমন করেন। তিনি এ সফরে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করেন। খেলার সংখ্যার পাশাপাশি ব্যাট ও বল হাতে বেশ সফলতা পান। ২২টি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলায় অংশগ্রহণের পাশাপাশি ১২টি গুরুত্বহীন খেলায় অংশ নিয়েছিরেন তিনি। ৩৯.৭০ গড়ে ১,০৭২ রান ও ৩৮.১৫ গড়ে ১৯ উইকেট দখল করেন।

সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পান। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। প্রথম ইনিংসে দলের সংগৃহীত ১০০ রানের মধ্যে তিনি ২৯ রান করেন। এটিই দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান ছিল। এরপর, দ্বিতীয় ইনিংসে আরও ১২ রান তুলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ইংল্যান্ডের একমাত্র ইনিংসে ফ্রেড বেকওয়েলের উইকেট পান। এরজন্যে সব মিলিয়ে তাকে ১০ রান খরচ করতে হয়েছিল।

ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে বিভিন্ন সময়ে ক্রিজে নেমে তিনটি শতরানের ইনিংস খেলেছেন। ওরচেস্টারে ওরচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে ১০৩, সোয়ানসীতে গ্ল্যামারগনের বিপক্ষে অপরাজিত ১০৫ ও অল্ডারশটে আর্মি’র বিপক্ষে ১০৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন।

অবসর সম্পাদনা

জানুয়ারি, ১৯৩৯ সালে ব্রিজটাউনে খেলোয়াড়ী জীবনের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১১৬ রান তুলেন। আয়োজক বার্বাডোস দলের বিপক্ষে তার এ ইনিংসে কল্যাণে ত্রিনিদাদ দল ইনিংস ও ১৯ রানে জয় পায়। বল হাতে নিয়ে দুইবার ইনিংসে পাঁচ-উইকেটের সন্ধান পেয়েছেন। জানুয়ারি, ১৯৩২ সালে ব্রিজটাউনে বার্বাডোসের বিপক্ষে ৫/২২ ও জানুয়ারি, ১৯৩৫ সালে সফররত মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে পোর্ট অব স্পেনে অনুষ্ঠিত খেলায় ৫/২৬ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন।

১২ সেপ্টেম্বর, ১৯৬৩ তারিখে ৬৪ বছর বয়সে ত্রিনিদাদের পোর্ট অব স্পেন এলাকায় বেন সিলি’র দেহাবসান ঘটে। ঐ সময়ে তার মৃত্যুর বিষয়টি প্রতিবেদন আকারে প্রকাশিত হয়নি। এমনকি, উইজডেনে তার বিষয়ে কোন শোকসংবাদ প্রকাশ করেনি।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. World Cricketers - A Biographical Dictionary by Christopher Martin-Jenkins, published by Oxford University Press (1996).
  2. The Wisden Book of Test Cricket, Volume 1 (1877–1977), compiled and edited by Bill Frindall, Headline Book Publishing (1995).
  3. The Complete Record of West Indian Test Cricketers by Bridgette Lawrence & Ray Goble, ACL & Polar Publishing (UK) Ltd. (1991).

আরও দেখুন সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা