বেগম পাড়া মানি লন্ডারিং কেলেঙ্কারি

অর্থ পাচার কেলেঙ্কারি
(বেগম পাড়া থেকে পুনর্নির্দেশিত)

বেগম পাড়া হচ্ছে বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের অর্থপাচারকারী দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদ, সরকারী কর্মকর্তা ও ধনাঢ্য ব্যাবসায়ীদের দ্বিতীয় আবাসস্থলের (সেকেন্ড হোম) একটি প্রতীকী নাম। তথাকথিত বেগম পাড়া কানাডার টরন্টোতে অবস্থিত।[১] আদতে কানাডায় এই নামে কোনও স্থানের অস্তিত্ব নেই। শাব্দিক অর্থে বেগম পাড়া শব্দটি দ্বারা একটি স্থানের নাম বোঝালেও এটি বহুল সমালোচিত মানি লন্ডারিং কেলেঙ্কারি ছাড়া আর কিছুই নয়।[২][৩] বাংলাদেশের বৈদেশিক মন্ত্রণালয় বেগম পাড়ার সাথে অর্থ পাচারকারীদের সংযোগ খুঁজে পেয়েছে।[৪][৫] বেগম পাড়ায়, বাংলাদেশী ধন্যাঢ্য ব্যক্তিদের স্ত্রীরা স্বামীদের দ্বারা প্রেরিত অবৈধ অর্থ দিয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন।[৬] কাজ থেকে অবসর নিয়ে যেখানে লোকেরা কানাডায় তাদের বেগমদের কাছে যায়।[৭][৮]

বেগম পাড়া মানি লন্ডারিং কেলেঙ্কারি
'বেগম পাড়া' সম্পর্কে প্রথম আলোর একটি নিবন্ধ (২২ নভেম্বর ২০২০ তারিখে প্রকাশিত)

নামকরণের ইতিহাস সম্পাদনা

বেগম পাড়া একটি বাংলা শব্দ, যা উর্দূ বেগম পুরা শব্দ হতে এসেছে। তবে উর্দু বেগম পুরা একটি এলাকা বা আবাসস্থল নির্দেশ করলেও সেটা থেকে পরিবর্তিত বেগম পাড়া শব্দটি বাংলাদেশীদের কাছে ভিন্ন অর্থ বহন করে।[৯] ২০০৬ সাল হতে বাংলাদেশ থেকে কানাডায় বিপুল হারে অভিবাসন শুরু হয়।[২] বাংলা শব্দ বেগম পাড়া মূলত উর্দূ বেগম পুরা শব্দ হতে এসেছে, যা বৃহত্তর টরোন্টো এলাকায় সহধর্মিণীর কলোনী বুঝাতে ব্যবহৃত হয়।[১০][১১] আসলে হংকং চাইনিজরা শতাব্দী ধরে সেই বেগমপুরায় বসবাস করেন। বাংলাদেশের লোক হাতেগোনা। রয়েছে পাকিস্তানি, ভারতীয় ও তুরস্কসহ আরব দেশের বেগমরা। সেখানে ওই সমস্ত দেশের ধনী পরিবারের বেগমরা তাদের বাচ্চাদের নিয়ে থাকেন ও বাচ্চাদের ভালো স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ান। আর তাদের স্বামীরা নিজের দেশে বা অন্য কোথাও ব্যবসা করেন বা বড় বড় চাকরি করেন। টরেন্টো আসা যাওয়া করেন মাঝে মাঝে।[১২]

অন্যদিকে যারা বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে উপার্জনকৃত অর্থ বেআইনি ভাবে পাচার করে টরোন্টোর বিশেষ কিছু অভিজাত এলাকা সহ কানাডার অন্যন্য অঞ্চলেও স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ গড়ে নিজেদের স্ত্রী-সন্তানদের সেখানে পাঠিয়ে দিয়েছেন, তাদের সেই স্থাবর-অস্থাবর সকল সম্পদই বাংলাদেশীদের নিকট বেগম পাড়া নামে পরিচিত। সে হিসেবে কানাডায় বহু সংখ্যক বেগম পাড়া আছে, যে সংখ্যা শতাধিকও হতে পারে। তবে সাবেক বাংলাদেশী রাষ্ট্রদূত এম সিরাজুল ইসলাম ব্রিটেনের দি ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকার এক সাক্ষাতকারে বলেন যে কানাডার টরন্টোর একটি অঞ্চলকে স্থানীয় বাংলাদেশীরা 'বেগম পাড়া' হিসাবে উল্লেখ করেন।[১৩]

পাচারের তথ্য উন্মোচন সম্পাদনা

কানাডার টরন্টোর বেগম পাড়া এখনকার একটি বহুল সমালোচিত বিষয় এবং অনেক বাংলাদেশী বেগম পাড়ায় বিলাসবহুল আবাসন কেনা এবং বাংলাদেশ থেকে কোটিকোটি টাকা পাচার করার কারনে রাজনৈতিক আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে।[৪][১৪][১৫] ২০২১ সালের শেষ দিকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনাব আবুলকালাম আবদুল মোমেন কানাডায় টাকা পাচারের যে গুঞ্জন আছে তা সত্য বলে স্বীকার করেন এবং অর্থপাচারের ২৮ টি ঘটনার তথ্য সরকারের কাছে আছে বলে উদ্ধৃত করেন। তার এই বক্তব্যের মাধ্যমে প্রথমবারের মত সরকারের কোন উচ্চপর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির পক্ষ হতে বেগম পাড়ায় মানি লন্ডারিং হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করা হয়।[১৬]

বহুল সমালোচিত বিষয় হওয়া সত্ত্বেও এই অর্থ পাচার সম্পর্কে কোন বিশেষ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ হতে বেগম পাড়ায় অর্থ পাচারকারী ব্যক্তিবর্গের তালিকা সহ কোন শ্বেতপত্র এখন অবধি প্রকাশিত হয়নি। দুর্নীতি দমন কমিশন বেগম পাড়ায় বাড়ি কেনা এমন ব্যাক্তিবর্গের একটি তালিকা দিতে সরকারকে অনুরোধ করেছিল।[১৭][১৮][১৯] তবে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে বাংলাদেশের কিছু কিছু ব্যক্তিবর্গের আবরণমোচন হয়েছে।[২০] অর্থ পাচার সম্পর্কে বেশ কিছু মামলাও ইতিমধ্যে রুজু হয়েছে যা দুদকে তদন্তাধীন এবং ট্রায়াল স্টেজে আছে।[২১] বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট আদালতে জানায় যে তারা বেগম পাড়ার বিতর্কের প্রতিক্রিয়ায় কানাডার ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে বাংলাদেশ থেকে কানাডায় অর্থ পাচারকারী সকল বাংলাদেশীর তথ্য দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে।[৩]

এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুলকালাম আবদুল মোমেন বলেন, “আমাদের সবার ধারণা কেবল রাজনীতিবিদরা সেখানে থাকেন। তবে দেখা গেছে, এদের বেশিরভাগই সরকারি কর্মকর্তা। অবসরপ্রাপ্ত বা এখনও চাকুরীতে আছেন, তারাও একটি বাড়ি কিনেছেন। তাদের ছেলে-মেয়েরা বড় বড় বাড়িতে থাকেন। আমাদের কিছু ব্যবসায়ীও সেখানে বাড়ি কিনেছেন।”[২২][২৩] অর্থ পাচার, ব্যাংক ও শেয়ারবাজার লুটপাটের কথা উল্লেখ করে হুসেন মুহাম্মদ এরশাদ ২০১৪ সালের বাজেটের ভাষণে বলেছিলেন, "মালয়েশিয়া এবং কানাডায় অর্থ পাচার হচ্ছে। কিছু লোক সেখানে তাদের বাড়ি নির্মাণ করছেন। তারা কানাডার বেগম পাড়া তৈরি করেছেন। তারা এত টাকা পেল কোথায়?"[২৪]

পাচার হওয়া অর্থের পরিসংখ্যান সম্পাদনা

অর্থমন্ত্রী জনাব আ হ ম মোস্তফা কামাল ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেট অধিবেশনে কর প্রদানের মাধ্যমে দায় মুক্তি দিয়ে পাচার করা অর্থ সম্পদ ফিরিয়ে আনার সুযোগ দেন।[২৫][২৬] যদিও তাতে কাজ হয়নি বরং অর্থ পাচার অব্যাহত রয়েছে।[২৭] যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটি (জিএফআই) ২০২০ সালে বলেছিল বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর গড়ে ৭৫৩ কোটি ৩৭ লাখ ডলার পাচার হয়, যা বাংলাদেশী টাকায় ৬৪ হাজার কোটি টাকার সমান। তারা আরো উল্লেখ করে যে, ২০১৫ সালে সর্বোচ্চ ১ হাজার ১৫১ কোটি ৩০ লাখ ডলার বিদেশে পাচার হয়েছিল। পাচারকৃত টাকার পরিমাণ বিবেচনায় দক্ষিণ এশিয়ায় পাচারকারী দেশ হিসেবে দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশ। অপরদিকে ২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ৪ বছরে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকার তথ্য প্রকাশ করেছে সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক।[১৬][২৮] তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা এ. বি. মির্জ্জা মোঃ আজিজুল ইসলাম এর মতে, সুইস ব্যাংক আমানতের যে তথ্য প্রকাশ করছে, সেটি পাচার হওয়া অর্থের একটি অংশ।[২৯]

বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ২০১৪, ২০১৬ ও ২০১৭ সালের তথ্য-উপাত্ত দেয়া হয়নি জিএফআইয়ের ওই প্রতিবেদনে। বাংলাদেশের বাকি সাত বছরের তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে অর্থ পাচারের হিসাব দেয়া হয়েছে। প্রতিবছরের গড় অর্থ পাচারের হিসাবে ওই ১৩৫টি উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৩৩তম। প্রতিবেদনে বলে হয়েছে, ২০০৮ সালের পর বাংলাদেশে এভাবে মূল্য ঘোষণায় গরমিল দেখিয়ে অর্থ পাচারের পরিমাণ বেড়েছে। ২০১৫ সালে সর্বোচ্চ ১ হাজার ১৫১ কোটি ৩০ লাখ ডলার বিদেশে চলে গেছে। ২০০৮ সালে এর পরিমাণ ছিল ৫২৮ কোটি ডলার। এ ছাড়া ২০০৯ সালে ৪৯০ কোটি ডলার, ২০১০ সালে ৭০৯ কোটি ডলার, ২০১১ সালে ৮০০ কোটি ডলার, ২০১২ সালে ৭১২ কোটি ডলার ও ২০১৩ সালে ৮৮২ কোটি ডলার বিদেশে পাচার হয়ে গেছে।[৩০][৩১] জিএফআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৯ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত (২০১৪ সাল বাদে) ছয় বছরে বাংলাদেশ থেকে ৪৯৬৫ কোটি ডলার পাচার হয়েছে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪ লাখ ৪৬ হাজার কোটি টাকা (প্রতি ডলারের বিনিময় মূল্য ৯০ টাকা হিসাবে)। এই পরিমাণ অর্থ দেশের ২০২১-২০২২ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের প্রায় সমান। স্বাধীনতার পর এ পর্যন্ত দেশ থেকে পাচার হওয়া লক্ষ কোটি টাকার মধ্যে মাত্র ২১ কোটি টাকা ফেরত আনা সম্ভব হয়েছে।[৩২] আমদানি ও রফতানির প্রকৃত তথ্য গোপন ক‌রে ১০ বছরে (২০০৬ থেকে ২০১৫) বাংলাদেশ থেকে ৬ হাজার ৩০৯ কোটি ডলার পাচার হয়েছে। জানুয়ারি ২০১৯ সালের বি‌নিময় হার অনুযায়ী বাং‌লা‌দে‌শি মুদ্রায় যার প‌রিমাণ প্রায় ৫ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা।[৩৩]

বেগম পাড়ার অবস্থান সম্পাদনা

 
স্কারবোরো উপশহর, টরন্টো

যদিও বেগম পাড়া একটি অর্থ পাচার কেলেঙ্কারি, তবে কানাডার একটি স্থানের সাথে এই নামের একটি যোগসূত্র রয়েছে। সহজভাবে বলতে গেলে কানাডার একটি স্থানে এই অর্থের বড় একটি অংশ পাচার হয়েছে এবং স্থাবর-অস্থাবর বিভিন্ন সম্পদে ব্যয় ও বিনিয়োগ কিংবা সঞ্চয় করে রাখা হয়েছে। সেই স্থানের উৎপত্তি কানাডার টরোন্টোর কোথাও থেকে। সাবেক বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত এম সিরাজুল ইসলাম ব্রিটেনের দি ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকায় বলেছিলেন যে কানাডার টরন্টোর একটি এলাকাকে বাংলাদেশীরা 'বেগম পাড়া' বলে ডাকে।[১৩] যেহেতু এটি একটি প্রতীকী এলাকা, তাই কানাডায় আনুষ্ঠানিকভাবে এই নামে কোনো এলাকার নামকরণ করা হয়নি। এই বাংলা শব্দটির মধ্যে টরন্টোর বাইরে কানাডার অন্যান্য শহরেও পাচারকৃত অর্থ দিয়ে কেনা সম্পত্তিও অন্তর্ভুক্ত।[৩৪]

প্রকৃতপক্ষে কানাডায় সাধারণ মানুষের পক্ষে বাড়ি কেনা সেরকম কঠিন কোন কিছু নয়। অনেকেই বৈধ অর্থ দিয়ে বাড়ি কিনেছেন। কিন্তু যে বাংলাদেশীদের কথা নিয়ে এত সমালোচনা, তারা সেই সব সাধারণ বাংলাদেশিদের কাতারে নন। তারা এমন সব জায়গায় বাড়ি কিনেছেন, যেখানে বাড়ির দাম অনেক বেশি এবং সেই দামে বাড়ি কেনার মতো আয়-উপার্জন তারা কানাডায় করেননি।[৩৫] কানাডার টরন্টো থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে হেয়ারউড রোডে ১২ কোটি টাকায় বাংলাদেশের একজন সংসদ সদস্যের স্ত্রীর নামে কেনা বাড়ির সূত্র খুঁজতে গিয়ে ‘বেগমপাড়ার’ সাথে পরিচিত হয় বাংলাদেশ।[৩৬] সাংবাদিকদের প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে, কানাডার একটি এলাকা যা বিশেষভাবে বেগম পাড়া হিসাবে চিহ্নিত করা যেতে পারে তা হল স্কারবোরো, টরন্টো। কারণ অধিকাংশ বাংলাদেশী পাচারকারী এই এলাকায় সম্পত্তি ক্রয় করেছে।[২০][৩৭][৩৮]

কানাডা সরকার এ পর্যন্ত ২০০ বাংলাদেশী অর্থ পাচারকারীর সন্ধান পেয়েছে কিন্তু তথ্য প্রকাশ করেনি। প্রবাসী হিসেবে এ সংখ্যা হাজারের বেশি।[৩৯] জানা যায়, টরন্টোর বেলভিউ স্কয়ার পার্ক এলাকায় বিলাসবহুল হাইরাইজ কন্ডোমিনিয়াম, টরন্টোর প্রাণকেন্দ্র সিএন টাওয়ারের আশেপাশে, টরন্টোর পাশের শহর রিচমন্ড হিলের আপস্কেল হোম, মিসেসাওগা এবং মার্কহামের অভিজাত এলাকায় বাস করে। অন্টারিও এলাকায় এমন প্রায় দুই শতাধিক বেগমপাড়ার সন্ধানের কথা শোনা যায়। এছাড়া আরো অনেকে কানাডার অভিবাসী হয়ে বিভিন্নস্থানে ছড়িয়ে পড়েছেন।[৪০][৪১]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "বছরের শেষে তুমুল আলোচনায় 'বেগম পাড়া'"Jagonews24.com। ডিসে ৩১, ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০২১ 
  2. "Spotlight on 'Begum Para'"দ্য ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস (বাংলাদেশ)। নভেম্বর ২৭, ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০২১ 
  3. "Govt, ACC get more time to give details on Begum Para dwellers"নিউ এজ (বাংলাদেশ)। ১৭ ডিসে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০২১ 
  4. "ACC seeks details of Bangladesh public servants' houses in Toronto's Begum Para"Dhaka Tribune। নভেম্বর ২৩, ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০২১ 
  5. "Govt officials' house in Canada's Begum Para: ACC asks for details"দ্য ডেইলি অবজার্ভার। নভে ২৩, ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০২১ 
  6. "দেশ থেকে কোটি কোটি টাকা পাচার হচ্ছে কানাডায়!"দৈনিক ইত্তেফাক। জানু ১৭, ২০২০। ৩০ জুলাই ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০২১ 
  7. "'বেগম পাড়ায়' অবসর কাটাতে যান বাংলাদেশি 'সাহেবরা'"সময় টিভি। নভে ২১, ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০২১ 
  8. "'Begum Para' in Canada: Safe home for Bangladeshi smugglers"shiningbd.com। নভে ২২, ২০২০। ১১ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০২১ 
  9. "Canada's "Begum Para" is a reversal delusion for B'desh"ourtimebd.com। ২৫ জানু ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০২১ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  10. "'A place where ladies dwell'"The Globe and Mail। অক্টোবর ২৮, ২০০৬। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০২১ 
  11. "'Colony of wives' thrives in Mississauga"Toronto Star। মে ২৮, ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০২১ 
  12. "বেগমপাড়ার বেগমের সঙ্গে কানাডা ভ্রমণ"www.jugantor.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-২১ 
  13. "বেগম পাড়ার সাহেব ও দেশ বিক্রিরকচ্ছপেরা"দৈনিক প্রথম আলো। মে ২৬, ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০২১ 
  14. "'Begum Para' In Canada: Mostly govt officials bought houses"দ্য ডেইলি স্টার (বাংলাদেশ)। নভেম্বর ২১, ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০২১ 
  15. "অর্থ পাচারকারীরা দেশ ও জাতির শত্রু: হাইকোর্ট"চ্যানেল আই। ২২ নভে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০২১ 
  16. "কর দিয়ে বৈধ করার সুযোগ দিলেও কি পাচার হওয়া অর্থ ফিরবে?"BBC News বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-২১ 
  17. "'Begum Para' in Canada: ACC seeks a list of people who bought homes"দ্য ডেইলি স্টার। নভে ২৪, ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০২১ 
  18. "'Begum Para' in Canada: ACC seeks a list of Bangladeshi who bought homes in Toronto"southasiamonitor.org। নভে ২৪, ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০২১ 
  19. "Government officials' house in Canada's Begum Para: ACC asks for details"ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশ। নভে ২৩, ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০২১ 
  20. "বেগম পাড়ায়, জান্নাতী প্যালেস | Search light Special Episode | Begum Para | Canada" (ইংরেজি ভাষায়)। 
  21. "তিন বছরে অর্থ পাচারের মামলা হয়েছে ৫০ থেকে ৬০টা: দুদক"BBC News বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-২১ 
  22. "কানাডার বেগম পাড়ার বাড়ি ক্রেতাদের তালিকার খোঁজে দুদক"The Daily Star। নভে ২৪, ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০২১ 
  23. "বেগম পাড়ার সাহেবরা"banglatribune.com। নভে ২৫, ২০২০। ১৭ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০২১ 
  24. "টরন্টোর বেগম পাড়ায় মন ভালো নেই বেগমদের"purboposhchim। ২২ জানু ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০২১ 
  25. প্রতিবেদক, নিজস্ব। "বাজেট ২০২২-২৩ঃ পাচার করা টাকা বৈধ করার ঘোষণা"Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-২১ 
  26. "'পাচার করা অর্থ ফেরানোর সুযোগ পাচারকারীদের জন্য পুরস্কার'"www.jugantor.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-২১ 
  27. মোর্তোজা, গোলাম (২০২২-০৫-১৯)। "টাকা পাচার অব্যাহত থাকবে?"The Daily Star Bangla (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-২১ 
  28. নিউজ, সময়। "দেশ থেকে প্রতি বছর পাচার হচ্ছে ৬৪ হাজার কোটি টাকা | বাংলাদেশ"Somoy News। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-২১ 
  29. "ঘুস দুর্নীতির টাকা সুইস ব্যাংকে: মির্জ্জা আজিজ"www.jugantor.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-২১ 
  30. "রপ্তানির মাধ্যমে অর্থ পাচার রোধে নতুন নির্দেশনা"Newsbangla24। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-২১ 
  31. "চার লাখ কোটি টাকা পাচার"www.jugantor.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-২১ 
  32. "ছয় বছরে পাচার চার লাখ ৪৬ হাজার কোটি টাকা | কালের কণ্ঠ"Kalerkantho। ২০২১-১২-১৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-২১ 
  33. "১০ বছরে বাংলাদেশ থেকে পাচার ৫ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা"jagonews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-২১ 
  34. "অনেক সরকারি আমলার বাড়ি আছে এখানে... || Begum Para Canada" (ইংরেজি ভাষায়)। 
  35. BonikBarta। "কানাডার 'বেগমপাড়া' বৃত্তান্ত"কানাডার ‘বেগমপাড়া’ বৃত্তান্ত (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-২১ 
  36. তালিকা দুদকে, মালয়েশিয়ায় অর্থ পাচারের ৩৬ জনের। "Somoy Tv News"Somoy News। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-২১ 
  37. "কানাডায় বাংলাদেশের অর্থপাচারকারী বিত্তশালীদের 'বেগমপাড়া' আসলে কোথায়?"বিবিসি বাংলা। ফেব্রু ১১, ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০২১ 
  38. "কানাডার বেগম পাড়া: এক গরীব আমলার কোটিপতি স্ত্রী"সময় এখন (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-১১-২৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-২১ 
  39. https://www.facebook.com/rtvonline। "কানাডায় ১০ বেগমপাড়া গড়েছেন বাংলাদেশি অসাধু সাহেবরা (ভিডিও)"RTV Online (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-২১ 
  40. Pratidin, Bangladesh (২০২০-০৭-২০)। "বেগমপাড়া কি, কি করেন এই বেগমরা?"বাংলাদেশ প্রতিদিন। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-২১ 
  41. BonikBarta। "বিকল্পের খোঁজে কানাডায় অর্থ পাচারকারী বাংলাদেশীরা"বিকল্পের খোঁজে কানাডায় অর্থ পাচারকারী বাংলাদেশীরা (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-২১ 

আরও দেখুন সম্পাদনা