আশরাফ খলিল

এটি এই পাতার একটি পুরনো সংস্করণ, যা খাত্তাব হাসান (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ১৪:৩০, ১৬ এপ্রিল ২০২২ তারিখে সম্পাদিত হয়েছিল (পাতা তৈরি (+))। উপস্থিত ঠিকানাটি (ইউআরএল) এই সংস্করণের একটি স্থায়ী লিঙ্ক, যা বর্তমান সংস্করণ থেকে ব্যাপকভাবে ভিন্ন হতে পারে।

আশরাফ সালাহুদ্দিন খলিল ইবনে কালাউন (আরবি: الملك الأشرف صلاح الدين خليل بن قلاوون; আনু. ১২৬০ - ১৪ ডিসেম্বর ১২৯৩) ১২৯০ সালের নভেম্বর থেকে ১২৯৩ সালের ডিসেম্বরে তাকে হত্যা করা পর্যন্ত অষ্টম মামলুক সুলতান ছিলেন। তিনি ১২৯১ সালে আক্কা অবরোধের পর ফিলিস্তিনের শেষ ক্রুসেডার রাজ্য জয় করার জন্য ইসলামের ইতিহাসে সুপরিচিত।

আশরাফ খলিল
মালিকুল আশরাফ
মিশর ও সিরিয়ার ১২৯০ থেকে ১২৯৩ সালের মামলুক সুলতান আশরাফ খলিলের প্রতিকৃতি
মিশর ও সিরিয়ার সুলতান
রাজত্ব১২ নভেম্বর ১২৯০ – ১৪ ডিসেম্বর ১২৯৩
পূর্বসূরিমানসুর কালাউন
উত্তরসূরিনাসির মুহাম্মাদ
জন্মআনু. ১২৬০-এর দশক
কায়রো, মামলুক মিশর
মৃত্যু১৪ ডিসেম্বর ১২৯৩ (৩০ বা তারও কম বয়স)
তুরুজা, বুহাইরা
স্ত্রীআরদুকিন
বংশধরদুই কন্যা
পূর্ণ নাম
মালিকুল আশরাফ সালাহুদ্দিন খলিল ইবনে কালাউন
রাজবংশকালাউনি
রাজবংশবাহরি
পিতামানসুর কালাউন
মাতাক্বুতক্বুতিয়া
ধর্মইসলাম

জীবনের প্রথমার্ধ

খলিলের জন্মের সঠিক বছর জানা যায়নি, যদিও মামলুক-যুগের ইতিহাসবিদ খলিল ইবনে আইবাক সাফাদির মতে, তিনি "তিরিশ বা তার কম বয়সে" মারা যান।[১] তিনি ছিলেন সুলতান মানসুর কালাউনের (শাসন: ১২৭৯-১২৯০) দ্বিতীয় পুত্র এবং তার মা ছিলেন ক্বুতক্বুতিয়া নামে একজন মহিলা।[১][২] খলিলের তিন ভাই আর দুই বোন ছিল। ভাইদের নাম যথাক্রমে সালিহ আলি, নাসির মুহাম্মাদ এবং আহমদ।[৩] ১২৮৪ সালে, খলিল কালাউনের একজন মঙ্গোল আমির সাইফুদ্দিন নুকিহ ইবনে বায়ানের কন্যা আরদুকিনকে বিয়ে করেছিলেন।[৪] আশরাফ খলিলের ভাই সালিহ আলি, আরদুকিনের বোনকে বিয়ে করেছিলেন। আর উভয় স্ত্রীই তাদের মঙ্গোল জাতিসত্তার কারণে কালাউনের দ্বিতীয় স্ত্রী বেছে নিয়েছিলেন, যা মামলুকদের দ্বারা মর্যাদাপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়েছিল।[৪] আরদুকিনের গর্ভজাত খলিলের দুই মেয়ে ছিল, যাদের নাম মামলুক সূত্রে জানা যায়নি।[৫]

কালাউন ১২৮০ সালে সালিহ আলিকে তার উত্তরাধিকারী হিসাবে ঘোষণা করেছিলেন। সেই থেকে চুক্তিতে কালাউনের নামের পাশে সালিহ আলির নাম যুক্ত হতে থাকে। ১২৮৫ সালে কালাউন এবং লেসার আর্মেনিয়ার রাজার মধ্যে চুক্তিতে খলিলের নাম "মালিকুল আশরাফ" এর রাজকীয় শৈলীতে চুক্তিতে যুক্ত হতে শুরু করে। যখন সালিহ আলি ১২৮৮ সালে মারা যান, কালাউন আশরাফ খলিলকে তার সহ-সুলতান হিসাবে নিযুক্ত করেন।[৬] আশরাফ খলিলের নাম তখন খুতবায় (জুমার নামাজের খুতবা) কালাউনের নামের সাথে পাঠ করা হয়েছিল এবং আমিররা তার প্রতি তাদের আনুগত্যের শপথ করেছিলেন,[২] কালাউন আশরাফ খলিলের উত্তরাধিকার নিশ্চিত করে আহদ (অভিষেক সনদ) স্বাক্ষর করেননি।[২][৬] কালাউনের আপাত দ্বিধার কারণ স্পষ্ট নয়। তবে হয়ত তিনি আশরাফ খলিলকে সালতানাতের জন্য অনুপযুক্ত বলে মনে করতেন। অথবা আশরাফ খলিল এবং নায়েব আস-সালতানা (মিশরের ভাইসরয়), আমির হুসামুদ্দিন তুরুন্তের মধ্যকার শত্রুতার বিষয়ে সতর্ক ছিলেন। হুসামুদ্দিন তুরুন্তে, যিনি সালিহ আলির সিংহাসনে বসার পক্ষে একজন শক্তিশালী উকিল ছিলেন।[২]


আরও পড়ুন

মন্তব্য

  1. Richards, Donald S. (২০০১)। "A Mamluk Amir's Mamluk History: Baybars al-Mansuri and the Zubdat al-Fikra"। The Historiography of Islamic Egypt: (c. 950–1800)। Brill। পৃষ্ঠা 37। আইএসবিএন 9789004117945 
  2. Northrup 1998, p. 143.
  3. Northrup 1998, p. 158.
  4. Northrup 1998, p. 117.
  5. Bauden, Frédéric। "The Qalawunids: A Pedigree" (পিডিএফ)। University of Chicago। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ 
  6. Holt 1986, p. 103.

গ্রন্থপঞ্জি