ফিলিস্তিন (অঞ্চল)

মধ্যপ্রাচ্যের ভৌগলিক অঞ্চল

ফিলিস্তিন অঞ্চল (আরবি: فلسطين; গ্রিক: Παλαιστίνη; লাতিন: Palaestina; হিব্রু ভাষায়: פלשתינה‎) হলো ভূমধ্যসাগর এবং জর্ডান নদী মধ্যে অবস্থিত পশ্চিম এশিয়ার একটি ভৌগোলিক এলাকা।

আলকসা মসজিদ

নামকরণের ইতিহাস

সম্পাদনা

আধুনিক প্রত্নতত্ত্ব ১২টি প্রাচীন মিশরীয় এবং আসিরিয়ান শিলালিপি শনাক্ত করেছে যেগুলোতে সম্ভবতঃ হিব্রু প্লেশেথের সম্পর্কে বিবরণ রয়েছে। "পেলেসেট" শব্দটি (পি-আর-এস-টি হিসাবে হায়ারোগ্লিফিক হতে অনুদিত) পাঁচটি শিলালিপিতে পাওয়া যায় যাতে খ্রিস্টপূর্ব ১১৫০ অব্দে মিশরের বিংশতম রাজবংশের রাজত্বকালে পত্তন হওয়া একটি সংলগ্ন - প্রতিবেশী গোষ্ঠী বা এলাকার কথা উল্লেখ আছে। এর প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় মেদিনেট হাবুর মন্দিরের শিলালিপিতে যা হতে জানা যায় যে তৃতীয় রামেসেসের শাসনামলে মিশরের সাথে যারা যুদ্ধ করেছিল তাদের মধ্যে পেলেসেটরাও ছিলো,[][] এবং সর্বশেষ জ্ঞাতটি এর ৩০০ বছর পরের প্যাডিসেটের মূর্তির লিপিতে প্রাপ্ত। সাতটি অ্যাসিরিয়ান শিলালিপিতে "পালাশতু" বা "পিলিস্তু" অঞ্চলটির উল্লেখ রয়েছে; যার শুরু হয়েছে খ্রিস্টপূর্ব ৮০০ অব্দের তৃতীয় অ্যাডাদ-নীরারির নিমরুদ ফলক হতে এবং এর এক শতাব্দীরও বেশি সময় পরের এশারহাদ্দনের একটি চুক্তিতে সর্বশেষ উল্লেখ পাওয়া যায়।[][] মিশরীয় বা অসরীয় - কোনো উত্‌সই এই শব্দটির পরিষ্কার আঞ্চলিক সীমানা সম্পর্কে কিছু বলেনি।[]

ইতিহাস

সম্পাদনা

মিশর, সিরিয়া এবং আরবের মধ্যস্থ একটি কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে অবস্থিত এবং ইহুদী ও খ্রিস্টধর্মের উত্‌সস্থল এই এলাকাটির ধর্ম, সংস্কৃতি, বাণিজ্য এবং রাজনীতির এক সুদীর্ঘ ও উত্থান-পতনের ইতিহাস রয়েছে। এই অঞ্চলটি প্রাচীন মিশরীয়, কেনানীয়, ইস্রায়েলীয়, আশেরিয়ান, ব্যাবিলনীয়, আকামেনীয়, প্রাচীন গ্রীক, রোমান, পার্থিয়ান, সাসানীয়, বাইজেন্টাইনস, খোলাফায়ে রশিদুন, উমাইয়া, আব্বাসীয় এবং ফাতেমীহ খিলাফত, ক্রুসেডার, আইয়ুবিড, মামলুকস, মঙ্গোলস, অটোমান, ব্রিটিশ এবং আধুনিক ইস্রায়েলি ও ফিলিস্তিনিরা সহ অসংখ্য গোষ্ঠী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়েছে।

  1. Eberhard Schrader wrote in his seminal "Keilinschriften und Geschichtsforschung" ("KGF", in English "Cuneiform inscriptions and Historical Research") that the Assyrian tern "Palashtu" or "Pilistu" referred to the wider Palestine or "the East" in general, instead of "Philistia".[][]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Fahlbusch এবং অন্যান্য 2005, পৃ. 185।
  2. Breasted 2001, পৃ. 24।
  3. Sharon 1988, পৃ. 4।
  4. Room 2006, পৃ. 285
  5. Schrader 1878, পৃ. 123-124।
  6. Anspacher 1912, পৃ. 48।

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা