বাঙ্গালা আমিরাত ছিল একটি স্বল্পস্থায়ী রাষ্ট্র যা বাংলার অনেক অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করত। এটির সূচনা ঘটেছিল ১৮২৭ সালে যখন তিতুমীর আরবদেশে হজ্জ শেষ করে বাংলায় ফিরে এসেছিলেন। এই রাষ্ট্রের পতন ঘটেছিল রাজধানী নারিকেলবাড়িয়ার শেষ যুদ্ধে বাদশাহ তিতুমীরের ইন্তেকালের পরেই।

আমিরাত-ই-বাঙ্গালা

বাঙ্গালা আমিরাত
امیرت بنگاله
১৮২৭–১৮৩১
নীতিবাক্য: "لا إله إلا الله محمد رسول الله" "লা এলাহা ইল্লল্লাহু মহম্মদুর রসূলুল্লাহ্"
ব্রিটিশ বেঙ্গলের মানচিত্রে আমিরাতের সীমানা
ব্রিটিশ বেঙ্গলের মানচিত্রে আমিরাতের সীমানা
অবস্থাআমিরাত
রাজধানীনারিকেলবাড়িয়া
সরকারি ভাষা
ধর্ম
সুন্নী ইসলাম
বাদশাহ 
• ১৮২৭–১৮৩১
তিতুমীর
উজির 
• ১৮২৭–১৮৩১
ম‍ইজুদ্দীন বিশ্বাস
ইতিহাস 
• প্রতিষ্ঠা
১৮২৭
• বিলুপ্ত
১৮৩১
আয়তন
• মোট
৩৫,০১৬.৩২ কিমি (১৩,৫১৯.৮৮ মা)
সময় অঞ্চলইউটিসি+৬:০০
গাড়ী চালনার দিকবাম
পূর্বসূরী
উত্তরসূরী
বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি
বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি
বর্তমানে যার অংশ বাংলাদেশ
 ভারত

ভৌগলিক বর্ণনা

সম্পাদনা

তিতুমীর কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত এই আমিরাতটি ইংরেজ সাম্রাজ্যের তৎকালীন বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির বহু অঞ্চল মুক্তি করেছিল। যুক্তরাজ্য ভিত্তিক ওকিং ট্রাস্ট নামক সংস্থা অনুযায়ী আমিরাতের ভৌগলিক বর্ণনা নিম্নে উল্লেখ করা হল:

(ইংরেজি)

«The whole of the country north and east of Calcutta, including the four entire districts, the Twenty-four Perganas, Nadia, Jessore and Faridpur, lay at the mercy of Titu Mir.[]»

(বাংলা)

«পুরো চারটি জেলা চব্বিশ পরগনা, নদীয়া,[টীকা ১] যশোর,[টীকা ২] এবং ফরিদপুরসহ কলকাতার উত্তর ও পূর্ব দিকে সমগ্র দেশ, তিতুমীরের নিয়ন্ত্রণে ছিল।»

তাছাড়া পাশাপাশি জেলাগুলোর কিছু এলাকাও এই রাষ্ট্রের অধীনে ছিল।

ইতিহাস

সম্পাদনা

সরকার বিন্যাস

সম্পাদনা

ইসলামী নির্দেশিকার উপর বাঙ্গালা আমিরাতের ভিত্তি করে ছিল। উচ্চপদের সদস্যরা নিম্নে উল্লেখ করা হলঃ[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. বাংলাদেশের কুষ্টিয়া, মেহেরপুর​ এবং চুয়াডাঙ্গা জেলাগুলো তখন নদীয়া জিলার অন্তরভূক্ত ছিল।​
  2. অবিভক্ত যশোর হচ্ছে যশোর, ঝিনাইদহ​, মাগুরা এবং নড়াইল

উদ্ধৃতি

সম্পাদনা
  1. আব্দুল মওদূদ (১৯৫১)। "A fascinating chapter of the history of Islam in eastern Pakistan"। The Islamic Review (ইংরেজি ভাষায়)। Woking Muslim Mission and Literary Trust: 43। 
  2. বিহারীলাল সরকার; স্বপন বসু (১৯৮১)। তিতুমীর বা নারকেলবেড়িয়ার লড়াই। পুষ্টক বিপণি।