বসুদেব
হিন্দু পুরাণ অনুসারে বসুদেব (দেবনাগরী: वसुदेव) হলেন যদুবংশীয় শূরসেনের পুত্র এবং কৃষ্ণের পিতা। বসুদেবের ভগিনী কুন্তী হলেন পাণ্ডুর স্ত্রী, যিনি মহাভারতে এক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রীয় চরিত্র। পুরাণ অনুসারে, বসুদেব হলেন ঋষি কশ্যপের অংশ অবতার। পিতার নামানুসারেই শ্রীকৃষ্ণের একটি নাম রাখা হয় বাসুদেব। হরিবংশ পুরাণ অনুসারে বসুদেব ও নন্দ (কৃষ্ণের পালক-পিতা) হলেন দুই কাকাত ভাই।[১]
বসুদেব | |
---|---|
![]() বাসুদেব নবজাতক কৃষ্ণকে যমুনা নদীর ওপারে গোকুলায় নন্দের বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন | |
দেবনাগরী | বসুদেব |
আরাধ্য | বৈষ্ণব সম্প্রদায় |
গ্রন্থসমূহ | ভাগবত পুরাণ, হরিবংশ, বিষ্ণু পুরাণ, ব্রহ্মপুরাণ, মহাভারত |
ব্যক্তিগত তথ্য | |
মাতাপিতা |
|
সহোদর | পৃথা (বোন) এবং অক্রুর (ভাই) সহ চৌদ্দ ভাইবোন |
দম্পত্য সঙ্গী | রোহিণী, দেবকী |
সন্তান | বলরাম, কৃষ্ণ, সুভদ্রা' |
রাজবংশ | যদুবংশ-চন্দ্রবংশ |

হিন্দুধর্মানুসারে, সুতপা নামের প্রজাপতি (ব্রহ্মার মানস পুত্র) এবং তার স্ত্রী পৃশ্নি অপুত্রক ছিলেন। একসময় সন্তান লাভের জন্য সুতপা এবং পৃশ্নি তপস্যায় বসেছিলেন এবং বহুযুগ ঘোর তপস্যা করে নারায়ণ তাদের দেখা দিলেন এবং তার নিকট বর প্রার্থনা করতে বলেন। সুতপা এবং পৃশ্নি প্রভুর রূপে বিভোর হয়ে প্রভুকে তাদের সন্তানরূপে কামনা করেন। প্রভুও স্নেহবশে তিনবার "তথাস্তু" বললেন। এবং তাই তিনবার প্রভু সুতপার ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। প্রথম জন্মে প্রভু পৃশ্নিগর্ভ নামে খ্যাত হন। দ্বিতীয় জন্মে সুতপা কশ্যপ এবং পৃশ্নি দেবমাতা অদিতিরূপে জন্মগ্রহণ করেন এবং ভগবান বামনের জন্ম দেন। তৃতীয় জন্মে সুতপা বসুদেব এবং পৃশ্নি দেবকী রূপে জন্মগ্রহণ করেন এবং শ্রীকৃষ্ণের জন্ম দেন।
বসুদেবের দুই স্ত্রী, প্রথম স্ত্রী রোহিণী (জন্মান্তরে কশ্যপের স্ত্রী এবং নাগমাতা কদ্রু) এবং দ্বিতীয় স্ত্রী দেবকী(জন্মান্তরে কশ্যপের স্ত্রী এবং দেবমাতা অদিতি)।
বসুদেব দুই পুত্র এবং এক কন্যা লাভ করেন। রোহিনী ও বসুদেবের সন্তান বলরাম ও সুভদ্রা। দেবকী ও বসুদেবের পুত্র হলো শ্রীকৃষ্ণ।
গ্রন্থপঞ্জি
সম্পাদনা- Fortson, Benjamin W., IV (২০০৪)। Indo-European Language and Culture। Blackwell Publishing। আইএসবিএন 1-4051-0316-7।
- Feuerstein, Georg (১৯৮৯)। Yoga: The Technology of Ecstasy। Tarcher। আইএসবিএন 978-0874775259।
- Hattangadi, Sunder (১৯৯৯)। "महानारायणोपनिषत् (Mahanarayana Upanishad)" (পিডিএফ) (সংস্কৃত ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জানুয়ারি ২০১৬।
- Olivelle, Patrick (২০১১), Ascetics and Brahmins: Studies in Ideologies and Institutions, Anthem Press, আইএসবিএন 978-0-85728-432-7
- Olivelle, Patrick (১৯৯৮), Upaniṣads, Oxford University Press, আইএসবিএন 978-0192835765
- Parmeshwaranand, S (২০০০)। Encyclopaedic Dictionary of Upanisads। Sarup & Sons। আইএসবিএন 978-81-7625-148-8।
- Hastings, James Rodney (১৯০৮)। Encyclopedia of Religion and Ethics, v.4: Behistun (continued) to Bunyan, p. 540.। John A Selbie, ed। Edinburgh: Kessinger Publishing, LLC (Reprint 1990)। পৃষ্ঠা 476। আইএসবিএন 978-0-7661-3673-1।
- Srinivasan, Doris (১৯৯৭)। Many Heads, Arms, and Eyes। BRILL Academic। আইএসবিএন 978-9004107588।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- RG Bhandarkar: "Vasudeva of Panini" 4.3.98. Journal of the Royal Asiatic Society, 1910.