মাতা রোহিনী

(রোহিণী দেবী থেকে পুনর্নির্দেশিত)

রোহিণী (সংস্কৃত: रोहिणी) হলেন হিন্দু মহাকাব্য মহাভারতের একটি অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং বলরামসুভদ্রার মাতা এবং কৃষ্ণের সৎমাতা। তিনি বসুদেবের প্রথম স্ত্রী। বসুদেবের স্ত্রী ছিলেন দুইজন- রোহিণী ও দেবকী। দেবকী ও বসুদেব কংসের দ্বারা কারারুদ্ধ হলে রোহিণী গোকুলে নন্দের গৃহে আশ্রয় নেন। ভগবান নারায়ণের আদেশে দেবী যোগমায়া দেবকীর সপ্তম গর্ভ সংকর্ষণ করে রোহিণীর গর্ভে স্থাপন করেন, যার ফলে রোহিণীদেবীর গর্ভ থেকে বলরামের জন্ম হয়। এরপর দেবকী ও বসুদেবের অষ্টম পুত্র কৃষ্ণ জন্মগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে বসুদেব ও রোহিণীর এক কন্যা জন্মগ্রহণ করেন যার নাম সুভদ্রা।[]

মাতা রোহিনী
বলরামের সঙ্গে রোহিণী (হলুদ পোশাক)
গ্রন্থসমূহমহাভারত
ব্যক্তিগত তথ্য
মাতাপিতা
  • বাহ্লীক (পিতা)
সহোদরযশোদা
দম্পত্য সঙ্গীবসুদেব
সন্তানবলরাম []
সুভদ্রা (কন্যা)
রাজবংশচন্দ্রবংশ (বিবাহ সূত্রে)

রোহিণীর পূর্ব জন্মবৃত্তান্ত

বলরামের জন্মের পর নামকরণের জন্য দেবী রোহিণীকে নিয়ে নন্দ ও যশোদা কুলগুরু শান্ডিল্যের কাছে যান। মহর্ষি শান্ডিল্য জানান যে নবজাত সন্তান যদু বংশীয় হওয়ায় তাঁর নামকরণ যদুকুলের গুরু গর্গাচার্য করবেন। তাই গুরু শান্ডিল্য গর্গাচার্যকে মথুরা থেকে আমন্ত্রণ করে গোকুলে নিয়ে আসেন। শান্ডিল্য মুনি নবজাত শিশুর মধ্যে শেষনাগকে দেখে আশ্চর্য হলেন। গর্গাচার্য গোপনে শান্ডিল্যকে জানান যে, এই শিশু দেবকীর সপ্তম সন্তান যাকে সংকর্ষণ করে রোহিণীর গর্ভে স্থাপন করা হয়েছে। তখন শান্ডিল্য গর্গাচার্যকে প্রশ্ন করেন যে- "শেষনাগ দেবকীর গর্ভ থেকে কেন জন্মালেন না।" গর্গাচার্য জানান- বসুদেব পূর্ব জন্মে ছিলেন কশ্যপ ঋষি। আর দেবী রোহিণী ছিলেন তাঁর অন্যতম পত্নী কদ্রু। কশ্যপ মুনির ঔরসে কদ্রুর গর্ভ থেকে নাগজাতির সৃষ্টি হয় । যেহেতু রোহিণী পূর্বজন্মে নাগমাতা কদ্রু ছিলেন, তাই ভগবান শেষনাগের অবতার বলরাম তাঁর গর্ভ থেকে জন্ম গ্রহণ করেন ।

মহাভারতে অনুসারে, পরবর্তীতে, যাদব গণহত্যার পরে বসুদেবের মৃত্যুর পরে, রোহিণী ও তার অন্যান্য স্ত্রী দেবকী, ভদ্রা এবং মদিরা সহ বসুদেবের চিতায় নিজেকে দাহ করেন।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "The story of the previous birth of Shishupala and the sons of Vasudeva [Chapter XV]"। ৩০ আগস্ট ২০১৪। 
  2. "The Mahabharata, Book 16: Mausala Parva: Section 7"। Sacred-texts.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৭-১৮ 
  3. "The Mahabharata, Book 16: Mausala Parva: Section 7"। Sacred-texts.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৭-১৮ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা