ফিফা মহিলা বিশ্বকাপ

বিশ্বের সবচেয়ে বড় পরিসরের মহিলাদের প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল খেলার আয়োজন
(ফিফা নারী বিশ্বকাপ থেকে পুনর্নির্দেশিত)

ফিফা মহিলা বিশ্বকাপ বা ফিফা নারী বিশ্বকাপ হলো মহিলাদের ফুটবলের সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক আসর। ফুটবল খেলার আন্তর্জাতিক সংস্থা ফিফার সদস্যভূক্ত রাষ্ট্রের জাতীয় মহিলা ফুটবল দলসমূহ এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে থাকে।

ফিফা মহিলা বিশ্বকাপ
ফিফা মহিলা বিশ্বকাপ
প্রতিষ্ঠিত১৯৯১; ৩৩ বছর আগে (1991)
অঞ্চলআন্তর্জাতিক (ফিফা)
দলের সংখ্যা৩২ (২০২৩ থেকে)
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন স্পেন (১ম শিরোপা)
সবচেয়ে সফল দল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (৪টি শিরোপা)
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট
২০২৩ ফিফা মহিলা বিশ্বকাপ

পুরুষদের বিশ্বকাপ ফুটবলের অনুরূপভাবে এটিও প্রতি চার বছর অন্তর এই বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। মহিলাদের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতা নামের প্রথম বিশ্বকাপটি ১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত হয়। ২০১১ সালের প্রতিযোগিতায় জাপান পেনাল্টি শ্যুট আউটে জয়ী হয়ে ট্রফি লাভ করে। বর্তমানে প্রতি আসরের চূড়ান্ত পর্যায়ে ৩২টি দল খেলে থাকে।

প্রতিযোগিতার বিন্যাস

সম্পাদনা

আঞ্চলিক ফুটবল সংস্থা - ওশেনিয়া ফুটবল কনফেডারেশন, উয়েফা, কনক্যাকাফ, কনমেবল, এএফসি এবং সিএএফ আয়োজিত স্থানীয় বাছাই পর্বে বিভিন্ন দেশের জাতীয় মহিলা ফুটবল দল অংশ নেয়। সেখান থেকে ১৬টি দল চূড়ান্ত পর্যায়ে খেলতে পারে।

চূড়ান্ত প্রতিযোগিতাটি ৩ সপ্তাহ ধরে চলে। গ্রুপ পর্যায়ে ১৬টি দল চারটি গ্রুপে (এ, বি, সি এবং ডি) বিভক্ত হয়ে রাউন্ড-রবিন পদ্ধতিতে খেলে থাকে। প্রতি গ্রুপের শীর্ষস্থানীয় ২টি দল কোয়ার্টার ফাইনালে উত্তীর্ণ হয়। কোয়ার্টার ফাইনালের বিজয়ী চারটি দল সেমিফাইনালে যায় এবং সেখানকার বিজয়ী দল দু'টি ফাইনালে খেলে। সেমিফাইনালে হেরে যাওয়া দল দু'টি ৩য় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে খেলে থাকে।

মহিলা বিশ্বকাপ ফুটবল, ২০১১ইং

সম্পাদনা

জার্মানিতে অনুষ্ঠিত ২০১১ সালে ফিফা মহিলা বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্যায়ে মেক্সিকো জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের বিরুদ্ধে হ্যাট্রিক করেছিলেন জাপান জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের অধিনায়ক হোমারে সাওয়া

ফ্রাঙ্কফুর্টে অনুষ্ঠিত চূড়ান্ত খেলায় জাপান জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের প্রতিপক্ষ ছিল যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় মহিলা ফুটবল দল। পিছিয়ে পড়া অবস্থায় থেকে ১১৭তম মিনিটে সাওয়া'র গোলে জাপান ২-২ গোলে খেলায় ফিরে আসে। পরবর্তীতে টাইব্রেকারে পেনাল্টি শ্যুটআউটের মাধ্যমে ৩-১ ব্যবধানে যুক্তরাষ্ট্র দলকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ফিফা মহিলা বিশ্বকাপ ফুটবল প্রতিযোগিতায় জয়ী হয় দলটি।

ঐ প্রতিযোগিতায় সাওয়া অধিনায়ক হিসেবে ফিফা মহিলা বিশ্বকাপ ট্রফি জয় করেন। পাশাপাশি ৫ গোল করে গোল্ডেন বুট এবং প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড় হিসেবে গোল্ডেন বল জয় করেন।

সামগ্রিক ফলাফল

সম্পাদনা
সাল স্বাগতিক দেশ চ্যাম্পিয়ন ফলাফল রানার্স-আপ ৩য় স্থান ফলাফল ৪র্থ স্থান দলের সংখ্যা
১৯৯১   চীন   মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২–১   নরওয়ে   সুইডেন ৪–০   জার্মানি ১২
১৯৯৫   সুইডেন   নরওয়ে ২–০   জার্মানি   মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২–০   গণচীন ১২
১৯৯৯   যুক্তরাষ্ট্র   মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ০–০ (অ.স.প.)
৫–৪ (পে.)
  গণচীন   ব্রাজিল ০–০
৫–৪ (পে.)[ক]
  নরওয়ে ১৬
২০০৩   যুক্তরাষ্ট্র   জার্মানি ২–১ (অ.স.প.)   সুইডেন   মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৩–১   কানাডা ১৬
২০০৭   চীন   জার্মানি ২–০   ব্রাজিল   মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৪–১   নরওয়ে ১৬
২০১১   জার্মানি   জাপান ২–২ (অ.স.প.)
৩–২ (পে.)
  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র   সুইডেন ২–১   ফ্রান্স ১৬
২০১৫   কানাডা   মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৫–২   জাপান   ইংল্যান্ড ১–০ (অ.স.প.)   জার্মানি ২৪
২০১৯   ফ্রান্স   মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২–০   নেদারল্যান্ডস   সুইডেন ২–১   ইংল্যান্ড ২৪
২০২৩   অস্ট্রেলিয়া
  নিউজিল্যান্ড
  স্পেন ১–০   ইংল্যান্ড   সুইডেন ২–০   অস্ট্রেলিয়া ৩২
  1. অতিরিক্ত সময়ের খেলা অনুষ্ঠিত হয়নি।[১]
 
বিভিন্ন দেশের সর্বোত্তম ফলাফল

কনফেডারেশন ভিত্তিক

সম্পাদনা
যে পর্বে পৌঁছেছে
কনফেডারেশন এএফসি ক্যাফ কনকাকাফ কনমেবল ওএফসি উয়েফা মোট
ফাইনাল ১৬
সেমি-ফাইনাল ১৭ ৩২
কোয়ার্টার-ফাইনাল ১৪ ১০ ৩৫ ৬৪
১৬ দলের পর্ব (২০১৫ থেকে) ১৫ ৩২
মোট অংশগ্রহণ ২৯ ১৬ ২০ ১৫ ৪৮ ১৩৬

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Brazil takes third"। SI/CNN। ১০ জুলাই ১৯৯৯। ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জুলাই ২০১১ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা