চিত্রাঙ্কন (স্পষ্টতর অর্থে রংচিত্র অঙ্কন) বলতে কোনও সমতল পৃষ্ঠের উপর সাধারণত তুলি বা আঙুলের মাধ্যমে এক বা একাধিক রঙ (বিশেষ পদার্থে মিশ্রিত রঞ্জক পদার্থ) লেপন করে কোনও চিত্র অঙ্কন করাকে বোঝায়। চিত্রাঙ্কন প্রক্রিয়ার শেষে যে শিল্পকর্ম সৃষ্টি হয়, তাকে চিত্রকর্ম বলে। একজন শিল্পী যিনি পেশাগত কাজ অথবা শখের বশে চিত্রাঙ্কনের কাজ করেন তাকে চিত্রকর বা চিত্রশিল্পী বলা হয়। রংচিত্র অঙ্কন একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্যকলা, যা অঙ্কন, অঙ্গভঙ্গি (অঙ্গভঙ্গি চিত্রকর্ম হিসেবে) কিংবা যে কোনো রচনা বিমূর্ত করে তোলে। চিত্রকর্ম হতে পারে স্বতঃস্ফূর্ত এবং প্রতিনিধিত্বমূলক (যেমনটি পাওয়া যায় স্থিরচিত্রে(Still Life) কিংবা প্রাকৃতিক চিত্রকর্মে, বিমূর্ত, বর্ণনামূলক, প্রতীকী কিংবা আবেগপুর্ণ। প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্য উভয়ের চিত্রাঙ্কনের ইতিহাসের একটি অংশ ধর্মীয় চিত্রকলা দ্বারা প্রভাবিত। এই ধরনের চিত্রকর্মের নিদর্শন পাওয়া যায় মৃৎশিল্পের ওপর আঁকা পৌরাণিক চরিত্রের, বাইবেলে উল্লেখিত চরিত্রের, বুদ্ধের জীবন নিয়ে আঁকা দৃশ্যপটে কিংবা অন্যান্য ধর্মীয় চিত্রক্রমে যা পূর্বাঞ্চলের দেশগুলো থেকে জন্ম নিয়েছে।
চিত্রকলার ইতিহাস প্রাগতিহাসিক মানুষের থেকে প্রাপ্ত শিল্পকর্মগুলি থেকে শুরু হয় এবং সমস্ত সংস্কৃতিকেই পরিব্যপ্ত করে ৷ এটি প্রাচীনকাল থেকে অবিরাম চলে আসা ও পর্যায়ক্রমিক বিরতির প্রতিনিধিত্ব করে। সংস্কৃতিব্যপী , বিস্তৃত মহাদেশ ব্যপী এবং সহস্রাব্দব্যপী চিত্রকলার এই ইতিহাস সৃজনশীলতার একটি চলমান নদী, যা একবিংশ শতাব্দীতেও অব্যাহত রয়েছে। বিশ শতকের গোড়ার দিকে এটি প্রধানত প্রতিনিধিত্বমূলক, ধর্মীয় এবং ধ্রুপদীয় বিষয় নির্ভর ছিল, কিন্তু পরবর্তী সময়ে আরও বিশুদ্ধ বিমূর্ত এবং ধারণাগত পদ্ধতি প্রাধান্য পেয়েছিল। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)
ফ্রিদা কাহলো ডি রিভেরা (স্পেনীয়: Frida Kahlo de Rivera, স্পেনীয় উচ্চারণ: [ˈfɾiðaˈkalo]; জুলাই ৬, ১৯০৭ – জুলাই ১৩, ১৯৫৪), জন্ম নাম: মাগদালেনা কারমেন ফ্রিদা কাহলো ই ক্যালদেরোন, ছিলেন একজন মেক্সিকীয় চিত্রশিল্পী, যিনি তার আত্ম-প্রতিকৃতি ঘরণার চিত্রের জন্য আলোচিত। কাহলোর জীবন অতিবাহিত হয় মেক্সিকো শহরে, তার বাড়িতে, যেটি "লা কাসা আজুল" বা নীল ঘর নামে পরিচিত। তার কাজ আন্তর্জাতিকভাবে বিখ্যাত মেক্সিকোর জাতীয় ও দেশীয় ঐতিহ্যের প্রতীকস্বরূপ, এবং নারীবাদীদের কাছে তার চিত্রকর্ম খ্যাতি পেয়েছে নারীর অভিজ্ঞতা ও রুপের আপোষহীন প্রকাশের জন্য। ফ্রিদা কাহলোর কাজে মেক্সিকোর সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য বেশ গুরুত্ব পেয়েছে, যার কারণে তার চিত্রকর্ম কখনো কখনো অর্বাচীন শিল্প বা লোকশিল্প হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তার কাজকে পরাবাস্তবাদ এর অন্তর্গতও করা হয়েছে, এবং ১৯৩৮ সালে পরাবাস্তববাদী আন্দোলনের প্রধান আঁদ্রে ব্রেটন, ফ্রিদার কাজকে "রিবন অ্যারাউন্ড এ বোম্ব" আখ্যা দিয়েছিলেন। ফ্রিদা, ব্রেটন এর দেওয়া পরাবাস্তববাদী আখ্যা অস্বীকার করেন, কেননা তার মতে, তার চিত্রকর্মে পরাবাস্তব এর চেয়ে তার বাস্তব অবস্থার প্রতিফলনই প্রবল। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)
এটি একটি ভালো নিবন্ধ, যা উচ্চ সম্পাদকীয় মানদণ্ডের মূল শর্তগুলো পূরণ করে।
রশিদ চৌধুরীর আলোকচিত্র
রশিদ হোসেন চৌধুরী, যিনি রশিদ চৌধুরী নামে পরিচিত, (১ এপ্রিল ১৯৩২–১২ ডিসেম্বর ১৯৮৬) ছিলেন বাংলাদেশী চিত্রশিল্পী, ভাস্কর, লেখক এবং অধ্যাপক। বাংলাদেশে শিল্পচর্চার ক্ষেত্রে জয়নুল আবেদীন প্রবর্তিত উত্তর-উপনিবেশিক পর্বে সৃজনশীল ও মৌলিকত্বে তিনি ছিলেন সর্বজন প্রশংসিত ব্যক্তিত্ব। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রজন্মের শিল্পীদের মধ্যেও অন্যতম এবং পঞ্চাশের দশকে বাংলাদেশের আধুনিক শিল্প-আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ হিসেবে স্বকীয় শিল্পচর্চার সূচনা করেছিলেন।
ভারত উপমহাদেশে, বিংশ শতাব্দীর তাপিশ্রী শিল্পী হিসেবে তিনি অন্যতম অগ্রগামী। এ-মাধ্যমেই তিনি সর্বাধিক মৌলিক এবং আধুনিক শিল্পধারার চর্চাকারী হিসেবে অগ্রগণ্য। তাপিশ্রীর পাশাপাশি প্রচলিত তেলরঙ ছাড়াও তিনি কাজ করেছেন টেম্পেরা, গুয়াশ এবং জলরঙ ইত্যাদি অপ্রচলিত মাধ্যমসমূহে। দেশে এবং বিদেশে বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি এবং রাষ্ট্রীয় ও সাধারণ ভবনসমূহে তাপিশ্রী মাধ্যমে বহুসংখ্যক কাজ করেছেন তিনি। এই তাপিশ্রী শিল্পে বিশেষ অবদানের জন্য ১৯৭৭ সালে তাকে বাংলাদেশের জাতীয় এবং সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদক এবং ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার প্রদান করা হয়। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)
Image 19হিলমাএফ ক্লিন্ট, সভেনেন ( দ্য সোয়ান ), নং 17, গ্রুপ আইএক্স, সিরিজ SUW, অক্টোবর 1914-মার্চ 1915. এই বিমূর্ত কাজটি কখনো ক্লিন্টের জীবদ্দশায় প্রদর্শিত হয় নি। (বিমূর্ত শিল্প থেকে)