প্রবেশদ্বার:সংস্কৃতি


সংস্কৃতি প্রবেশদ্বার

আজারবাইজানে পাওয়া প্রাগৈতিহাসিক গুহাচিত্রটি প্রাচীন সংস্কৃতির একটি নিদর্শন।
ইংরেজি Culture-এর প্রতিশব্দ হিসেবে সংস্কৃতি শব্দটি ১৯২২ সালে বাংলায় প্রথম ব্যবহার করা শুরু হয়। কোন স্থানের মানুষের আচার-ব্যবহার, জীবিকার উপায়, সঙ্গীত, নৃত্য, সাহিত্য, নাট্যশালা, সামাজিক সম্পর্ক, ধর্মীয় রীতি-নীতি, শিক্ষা-দীক্ষা ইত্যাদির মাধ্যমে যে অভিব্যক্তি প্রকাশ করা হয়, তাই সংস্কৃতি। উক্ত বিষয়গুলোকে আবার দু’ভাগে ভাগ করা যায়। প্রথমভাগ নিত্যদিনকার জীবনযাপনের সাথে সরাসরি সম্পর্কিত। আর দ্বিতীয়ভাগ জীবন উপভোগের ব্যবস্থা এবং উপকরণের সাথে সম্পকির্ত। সংস্কৃতি হল টিকে থাকার কৌশল এবং পৃথিবীতে মানুষই একমাত্র সংস্কৃতিবান প্রাণী। মানুষের এই কৌশলগুলো নির্ভর করে ভৌগোলিক, সামাজিক, জৈবিকসহ নানা বৈশিষ্ট্যের উপর নির্ভর করে। পূর্বপুরুষদের যেমন এই কৌশলগুলো ছিল তা থেকে উত্তরপুরুষেরা এই কৌশলগুলো পেয়ে থাকে। অধিকন্তু সময় ও যুগের প্রেক্ষিতেও তারা কিছু কৌশল সৃষ্টি করে থাকে। তাই বলা যায় সংস্কৃতি একদিকে যেমন আরোপিত অর্থাৎ উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত তেমনি তা অর্জিতও বটে।

নৃবিজ্ঞানী টেইলরের ভাষ্যমতে,

সমাজের সদস্য হিসেবে অর্জিত নানা আচরণ, যোগ্যতা এবং জ্ঞান, বিশ্বাস, শিল্পকলা, নীতি, আদর্শ, আইন, প্রথা ইত্যাদির এক যৌগিক সমন্বয় হল সংস্কৃতি।

ম্যালিনোস্কির মতে ভাষ্যমতে,

সংস্কৃতি হল মানব সৃষ্ট এমন সব কৌশল বা উপায় যার মাধ্যমে সে তার উদ্দেশ্য চরিতার্থ করে।

বিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে যুক্তরাজ্যের সমাজবিজ্ঞানীগণ এবং স্টুয়ার্ট হল ও রেইমন্ড উইলিয়ামসের মত মার্ক্সবাদে প্রভাবিত কিছু পণ্ডিত সংস্কৃতি অধ্যয়ন-র উন্মেষ ঘটান। মার্ক্সবাদ ও সমালোচক তত্ত্বের মত দর্শনের কিছু পাঠশালা দাবি করেন যে, সংস্কৃতিকে প্রায়শই রাজনৈতিকভাবে অভিজাত-শ্রেণীর একটি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয় যা নিম্ন শ্রেণীর মানুষদের নিয়ন্ত্রণ করে এবং একটি "ভ্রান্ত চেতনা"র সৃষ্টি করে; সংস্কৃতি অধ্যয়নের পাঠ্যক্রমে এ ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি বহুলভাবে প্রচলিত।

নির্বাচিত নিবন্ধ

সাংস্কৃতায়ন (বা সংস্কৃতিকরণ, ইংলিশে, Acculturation) হলো একটি আর্থ-সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক পরিবর্তন প্রক্রিয়া, যাতে কোন সমাজ বা সংস্কৃতি অন্য সমাজের মধ্যে পরিবর্তন সূচিত করে। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে আমেরিকাতে এ প্রত্যয়টি বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করে।

সাধারণত উন্নত মানের সংস্কৃতি নিম্নমানের সংস্কৃতিকে তিনভাবে প্রভাবিত করে:

  • উন্নত সংস্কৃতির কিছু উপাদান গ্রহণ করে
  • উন্নত সংস্কৃতির কিছু উপাদান বর্জন করে, এবং
  • দেশীয় সংস্কৃতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেবার জন্য কিছু সংশোধন করে গ্রহণ করে।

এ প্রক্রিয়ার ফলে সাংস্কৃতিক সংঘাতও ঘটে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি এবং ক্রমবর্ধমান আর্থ-সামাজিক প্রয়োজনের ফলে বিভিন্ন দেশ ও জাতি একে অপরের সংস্পর্শে আসছে, এবং একে অপরের সংস্কৃতি তথা সমাজ ও জীবন দর্শন দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে। ফলে সাংস্কৃতায়ন প্রক্রিয়ার প্রভাব বর্তমানে সহজে লক্ষ্যণীয়।

নির্বাচিত চিত্র


নির্বাচিত নিবন্ধের তালিকা

বিষয়শ্রেণীসমূহ

সকল উপবিষয়শ্রেণীসমূহ দেখার জন্য [►] এ চাপুন

উইকিপ্রকল্পসমূহ

আপনি যা যা করতে পারেন

আপনি জানেন কি

ক্যাশ পরিষ্কার করুন