প্রবেশদ্বার:উসমানীয় সাম্রাজ্য
|
ভূমিকা

উসমান প্রথমের সাথে বাইজেন্টাইনদের বিরোধ থেকে শুরু করে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শেষের পরও সামান্যকিছু কাল যাবত মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা সাম্রাজ্যটি তার ইতিহাসে কম চড়াই-উৎরাইয়ের সম্মুখীন হয়নি। আনুমানিক ১২৯৯ খ্রিস্টাব্দে শুরু হওয়া সাম্রাজ্যটির সর্বশেষ সূর্য খেলাফত বিলুপ্তি হয় ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে। সর্বপ্রথম প্রথম উসমান বাইজেন্টাইনদের সাথে লড়ে প্রকাশ্যে আসেন। তার নামেই উসমানীয় সাম্রাজ্য বা সালতানাত বা খিলাফতের নামকরণ করা হয়। তারপর ১৪৫৩ খ্রিস্টাব্দে দ্বিতীয় মুহাম্মদের হাতে পতন ঘটে বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের। এরপরই ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য সময় শুরু হয় উসমানীয়দের। সুলাইমান দ্য ম্যাগনিফিসেন্টের শাসনামলে ইউরোপ, এশিয়া ও আফ্রিকা; এই তিনটি মহাদেশ পর্যন্ত এই সাম্রাজ্যের বিস্তার ঘটে। তবে ১৮শ শতকের পর থেকে সাম্রাজ্যটির পতনের সুর বেজে উঠে। লোভ, সিংহাসনকেন্দ্রিক ঝগড়া আর উজিরদের রাজনীতির চালের ভারে নুয়ে পড়ে সালতানাতটি। অবশেষে এই সমস্যাগুলো থাকার মধ্যেই প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগে ও পরে ভুল পক্ষ ও অক্ষকে সমর্থন করে পুরোপুরি বিলুপ্তি ঘটে এই সাম্রাজ্যের। উসমানীয় সাম্রাজ্য সুদীর্ঘ ছয়শত বছরেরও বেশি ধরে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের যোগাযোগের কেন্দ্র হিসেবে কাজ করেছে। তবে দীর্ঘদিনব্যাপী ইউরোপীয়দের তুলনায় সামরিক ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ে। ধারাবাহিক অবনতির ফলে সাম্রাজ্য ভেঙে পড়ে এবং প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয়ে যায়। এরপর আনাতোলিয়ায় নতুন প্রজাতন্ত্র হিসেবে আধুনিক তুরস্কের উদ্ভব হয়। বলকান ও মধ্যপ্রাচ্যে সাম্রাজ্যের সাবেক অংশগুলো প্রায় ৪৯টি নতুন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
ভালো নিবন্ধ
কনস্টান্টিনোপলে বিজয়কে ১৫০০ বছরের মত টিকে থাকা রোমান সাম্রাজ্যের সমাপ্তি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। উসমানীয়দের এই বিজয়ের ফলে উসমানীয় সেনাদের সামনে ইউরোপে অগ্রসর হওয়ার পথে আর কোনো বাধা থাকল না। খ্রিষ্টানজগতে এই পতন ছিল বিরাট ধাক্কার মত। বিজয়ের পর সুলতান মুহাম্মদ তার রাজধানী এড্রিনোপল থেকে সরিয়ে কনস্টান্টিনোপলে নিয়ে আসেন। শহর অবরোধের আগে ও পরে শহরের বেশ কিছু গ্রীক ও অগ্রীক বুদ্ধিজীবী পালিয়ে যায়। তাদের অধিকাংশ ইতালিতে চলে যায় এবং ইউরোপীয় রেনেসাতে সাহায্য করে।
নির্বাচিত উক্তি
- — কনস্টান্টিনোপল বিজয়ের সময়ে শুষ্কপথে জাহাজ টেনে নেওয়ার আগে মুহাম্মাদ ফাতিহ

নির্বাচিত ছবি
![]() |
চিত্রটি দ্বিতীয় আবদুল মজিদ অংকন করেছেন। তিনি উসমানীয় খিলাফতের শেষ খলিফা ছিলেন। চিত্রাংকন তার শখ ছিল। এই চিত্রটিতে তিনি তার স্ত্রী-পুত্রসহ পরিবারকে অংকন করেছেন।
আপনি জানেন কি...

- ... উসমানীয় সাম্রাজ্যের সম্রাট হওয়ার জন্য রাজবংশের উত্তরসূরীদের যুদ্ধ করতে হত?
বিষয়শ্রেণী
মূল আলোচ্য বিষয়
উল্লেখযোগ্য সম্রাট | উল্লেখযোগ্য যুদ্ধসমূহ | সাম্রাজ্যের পদসমূহ | উল্লেখযোগ্য অন্যান্য ব্যক্তি | আরও দেখুন |
আপনি যা যা করতে পারেন
নিবন্ধ | সহায়ক উইকি নিবন্ধ | ভাষা |
---|---|---|
মুস্তাফা চেলেবি | Mustafa Çelebi | ইংরেজি |
তৃতীয় আহমেদ | Ahmed III | ইংরেজি |
তৃতীয় উসমান | Osman III | ইংরেজি |
অনুবাদ আবশ্যক | সম্প্রসারণ আবশ্যক |
---|---|
উসমানীয় সুলতানদের তালিকা | উসমানীয় রাজবংশ · উসমানীয় নৌবাহিনী |